শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


স্টিয়ারিং হাতে বাস চালানোর সময়ই বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলেন। সেই অবস্থায় ১৫ কিলোমিটার বাস চালিয়ে যান চালক। বাসের সব যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেন গুজরাতের সরকারি বাসের চালক ভারমল আহির। বয়েস ৪০ বছর। বাস থেকে নামার পরেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সোমবার গুজরাতের রাধানপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
সোমনাথ থেকে রবিরার রাত সাড়ে ৮টায় সরকারি বাস নিয়ে ভারমল বেরিয়েছিলেন। রাধানপুরে তাঁর সকাল ৭টায় পৌঁছনোর কথা ছিল। রাস্তায় ভারাহি নামে একটি জায়গায় বাস দাঁড় করান। সেখানে সবাই চা খান। ভারাহি থেকে বাস ছাড়ার পর ভারমলের শারীর খারাপ হতে শুরু করে। তাঁর অস্বস্তি শুরু হয়। ক্রমশ বুকে ব্যথা বাড়তে থাকে। সোজা হয়ে বসতে অসুবিধা হচ্ছিল। তবে এই পরিস্থিতিতেতেও বাস থামাননি ভারমল।
আরও পড়ুন:

সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি! এই নিয়ে মোট ছ’বার, ২৪ এপ্রিল পরবর্তী শুনানি

কলকাতায় আরও বাড়ল তাপমাত্রা, গরমে নাজেহাল শহরবাসী, কবে থেকে মিলবে স্বস্তি? কী বলছে হাওয়া দফতর

মাঝপথে বাস থামিয়ে দিলে যাত্রীরা সমস্যায় পড়বেন, তাই ভারমল শারীর খারাপ নিয়েই বাস চালিয়ে গন্তব্যে পৌঁছন। নির্দিষ্ট সময়ে রাধানপুরের বাস টার্মিনাসে বাস ঢোকে। যাত্রীরাও নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছন।

যদিও রাধানপুরের বাস টার্মিনাসে পৌঁছে চালকের আসন ছেড়ে ভারমল নামতে পারেননি। তাঁকে ধরে বাস থেকে নামানো হয়। এর পর তাঁকে স্থানীয় রাধানপুর সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন:

‘পুরুষ মানুষের কাজে হাত দিলে এমনই হবে, মহিলাদের এসব সাজে না’

পিসিওএস নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, শুধরে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা

ওই বাসের কন্ডাক্টর দীনেশ দেশাই-এর কথায়, ‘‘ভারাহির পর থেকে ভারমলের বুকে ব্যথা ক্রমশ বাড়তে থাকে। কিন্তু তিনি যাত্রীদের মাঝ রাস্তায় বিপদে ফেলতে চাননি। তাই বুকে ব্যথা নিয়েই তিনি বাস চালিয়ে নিয়ে আসেন। রাধানপুরে পৌঁছেই প্রাণ হারান ভারমল।’’

রাধানপুরের বাস টার্মিনাসে বাস ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই কন্ডাক্টর দীনেশ দ্রুত অন্যান্যদের ডেকে নিয়ে আসেন। যদিও তখনই চালকের আসনে ভারমল নিস্তেজ হয়ে পড়েছিলেন। সহকর্মীরা যখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।

ছবির নাম

ছবির নাম


Skip to content