শুক্রবার ৫ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

১৫০ কিমি বেগে বইবে ঝড়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ গুজরাত এবং পাকিস্তানের মধ্যবর্তী উপকূলের উপর দিয়ে এগিয়ে গিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। এর পরে সে ধীরে ধীরে উত্তর দিকে অগ্রসর হবে। এমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন।

ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গুজরাত-সহ দেশের পশ্চিম উপকূলে সমুদ্র উত্তাল। ভারী বৃষ্টিও চলছে। বহু ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে উপকূল এলাকাগুলিতে। আবহাওয়া দফতর একাধিক জায়গায় লাল সতর্কতা জারি করেছে।
গুজরাতের উপকূল এলাকায় অনেক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। গুজরাতগামী অথবা গুজরাত থেকে রওনা দেওয়ার কথা এমন ৯৫টি ট্রেন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। পশ্চিম রেল কিছু ট্রেনের পথ সংক্ষিপ্ত করেছে। ঝড়ের তাণ্ডবে গুজরাতে ব্যাহত হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

উপকূল এলাকা থেকে প্রায় ৩৭ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৭টি দল এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দল গুজরাত উপকূলে মোতায়েন করা হয়েছে। চলছে উদ্ধারকাজ।

আরও পড়ুন:

বিয়ের কার্ড বিলোচ্ছেন ‘কুইন’ কঙ্গনা! তাহলে কি এ বার ছাঁদনাতলায় যাচ্ছেন অভিনেত্রী?

৭ জেলায় শীঘ্রই কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ! মনোনয়নের সময়সীমা নিয়ে মতামত দেবে না হাই কোর্ট

মৌসম ভবন জানিয়েছে, ‘বিপর্যয়ের’ প্রভাবে গুজরাতের কচ্ছ, দ্বারকা, পোরবন্দর, জামনগর, মোরবি, জুনাগড় এবং রাজকোটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। ইতিমধ্যে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে অনেক বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ পরিষেবা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত। বহু গাছও উপড়ে গিয়েছে।

সৌরাষ্ট্র, দ্বারকা এবং কচ্ছে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এই মুহূর্তে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রূপে ‘বিপর্যয়’ আরব সাগরে অবস্থান করছে। মঙ্গলবার সকালে অল্প বিস্তর শক্তিক্ষয় হয়েছিল। ‘বিপর্যয়’ ধীরে ধীরে উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যাবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, গুজরাতের মান্ডবী এবং পাকিস্তানের করাচির কাছে জখৌ বন্দরের উপর দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করার কথা ‘বিপর্যয়’-এর। তখন ‘বিপর্যয়’-এর গতি থাকবে ১২৫-১৩৫ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতি থাকতে পারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:

লাইট সাউন্ড ক্যামেরা অ্যাকশন, পর্ব-২: আইজেনস্টাইন, যুদ্ধজাহাজ ও মন্তাজ

বাড়িতেই ৭ ধাপে তৈরি করে ফেলুন অ্যালো ভেরা পাতার নির্যাস থেকে জেল

ঘূর্ণিঝড়ের জেরে গুজরাত ছাড়াও সতর্কতা জারি হয়েছে কেরল, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, দমন ও দিউ, লক্ষদ্বীপ এবং দাদর ও নগরহাভেলিতে। মঙ্গলবার মুম্বইয়ে জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। উত্তাল সমুদ্র। আপাতত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে হাওয়া দফতর।

‘বিপর্যয়’-এর জন্য কচ্ছ, পোরবন্দর, দ্বারকা, গির সোমনাথে দু’দিনের জন্য স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। একাধিক জায়গায় বহু ত্রাণশিবির এবং কন্ট্রোলরুম খলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘বিপর্যয়’ মোকাবিলায় প্রশাসনের প্রস্তুতি নিয়ে সোমবার বৈঠক করেছিলেন। এর পরে তিনি কথা বলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলের সঙ্গে।

Skip to content