বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


শ্রদ্ধা ওয়ালকরের আরও একটি ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে রাজধানী দিল্লিতে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি পূর্ব দিল্লি এলাকার। শ্রদ্ধার মতো এক্ষেত্রেও এক ব্যক্তিকে খুন করে তাঁর দেহকে টুকরো করা হয়। এখানেই শেষ নয়, ফ্রিজে সেই সব টুকরোকে সংরক্ষণ করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়! এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশ নিহতের স্ত্রী এবং পুত্রকে গ্রেফতার করেছে।
গত ১৮ মে শ্রদ্ধা খুন হয়েছিলেন। লিভ ইন সঙ্গী আফতাব শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহ ৩৫টি টুকরো করে কেটেছিলেন। সেই সব দেহাংশও ফ্রিজে সংরক্ষণ করেছিলেন আফতাব। পরে সুযোগ বুঝে রোজ রাতে তিনি সেই দেহাংশ মেহরৌলীর জঙ্গলে ফেলে আসতেন। পুলিশ আফতাবকেও গ্রেফতার করেছে। ভয়ংকর রোমহর্ষক এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে দেশকে। এর মধ্যে আবারও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এল।
তবে এখনও শ্রদ্ধার সব দেহাংশ পাওয়া যায়নি। দিল্লির সব থানায় নির্দেশ জারি করা হয়েছে সেই সব দেহাংশ খুঁজতে বার করতে। সে সময়ই জানা যায়, গত জুনে পাণ্ডব নগরে দেহাংশের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু সেই সব দেহাংশ পচে যাওয়ায়, তা কার তা শনাক্ত কর সম্ভব হয়নি। তবে শ্রদ্ধা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসায় পুলিশ ওই ঘটনা নিয়েও শুরু করে তদন্ত। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হয়, গত জুন মাসে পাওয়া দেহাংশ শ্রদ্ধার কি না। সে সময়ই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।
আরও পড়ুন:

রাজাবাজারে আচমকা চলন্ত গাড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন

কলকাতার তাপমাত্রা নিম্নমুখী, ডিসেম্বরের শুরুতেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা! কী বলছে হাওয়া দফতর?

তদন্তে জানা গিয়েছে, যে দেহাংশ তখন পাওয়া গিয়েছিল সেটি আসলে অঞ্জন দাস নামে এক ব্যক্তির। তিনি পাণ্ডব নগরের বাসিন্দা। সম্প্রতি অঞ্জন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি অঞ্জনের স্ত্রী পুনম এবং ছেলে দীপক জেনে যান। এর পর মা ও ছেলে তাঁকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন।
পরিকল্পনা মতো অঞ্জনকে অচেতন করার জন্য তাঁকে প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেওয়া হয়। তার পর তাঁকে খুন করা হয়। শেষে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়। পরে সুযোগ সুবিধা মতো দেহাংশ বিভিন্ন জায়গায় ফেলে আসা হয়। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে মনে করছে অবৈধ সম্পর্কের জেরেই অঞ্জনকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। তাঁরা সেগুলি খতিয়ে দেখছেন।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-১৩: আশা-যাওয়ার পথের ধারে ‘নবীন যাত্রা’ [১১/০৯/১৯৫৩]

ইংলিশ টিংলিশ: I talk কিন্তু he talks কেন হয়? সঙ্গে আরও জেনে নাও be এবং have verb-এর সঠিক প্রয়োগ

উল্লেখ্য, প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও। বারুইপুরে গত ১৪ নভেম্বর প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে খুন করেন তাঁর স্ত্রী এবং পুত্র। শ্রদ্ধার মতো প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বলকেও খুনের পর ছয় টুকরো করেছিলেন তাঁর স্ত্রী শ্যামলী চক্রবর্তী এবং পুত্র জয়। এমনই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। এই ঘটনায় পুলিশ শ্যামলী এবং জয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশ জানতে পেরেছে, শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড থেকে ‘অনুপ্রাণিত’ হয়ে উজ্জ্বলকে খুন করে তাঁর দেহ তাঁরা টুকরো টুকরো করে একাধিক জায়গায় ফেলে দিয়েছিলেন।

Skip to content