
৭৫ মাইক্রনের কম প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বন্ধের পর এবার ‘সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক’ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। গত শুক্রবার ১ জুলাই থেকে দেশ জুড়ে ‘সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক’ তৈরি, সরবরাহ, আমদানি ও বিক্রিতে সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।

পরিবেশ মন্ত্রক যে নির্দেশিকা করেছে তাতে বলা হয়েছে, সারা দেশে এখন থেকে ‘এক্সপ্যান্ডেড পলিস্টিরিন’, ‘পলিস্টিরিন’-সহ ‘সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক’-এর উৎপাদন, আমদানি, বিক্রি, বিতরণ পুরোপুরি নিষিদ্ধ। পরিবেশ মন্ত্রক যে নির্দেশিকা না মেনে ‘সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক’ ব্যবহারে পরিবেশ সুরক্ষা আইন (ইপিএ)-এর ১৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জেল কিংবা জরিমানা, অথবা দুই-ই হতে পারে।

দেশে সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিকই তৈরি হয় ‘এক্সপ্যান্ডেড পলিস্টিরিন’ উপাদান দিয়ে। ‘এক্সপ্যান্ডেড পলিস্টিরিন’ দিয়েই সাবানের বোতল থেকে মাস্ক, ময়লা ফেলার প্যাকেট, মিষ্টি ও সিগারেটের বাক্স, চিপসের প্যাকেট, শ্যাম্পু প্রভৃতি তৈরি হয়। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযোগ জানানো যাবে।

এই প্লাস্টিক এফএমসিজি সেক্টরে প্যাকেজিংয়ের ব্যবহারের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা রয়েছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের রিপোর্ট বলছে, দেশে প্রতি বছরে প্রায় ২.৪ লক্ষ টন ‘সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক’ উতপাদন করা হয়। মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহার ০.১৮ কেজি!

‘সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক’ তৈরি রোধে নজরদারি চালাতে প্রশাসন বিশেষ দল তৈরি করেছে। পদক্ষেপ করা হয়েছে রাজধানী দিল্লিতে। বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কলকাতাতেও। পুরসভাগুলিও আমজনতাকে সচেতন করছে। বিলি করা হচ্ছে লিফলেট।
