শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

প্রায় ২০ ফুট গভীর একটি শুকনো পাতকুয়ো পড়ে গিয়েছিল একরত্তি শিশু। সারা রাতই সে ওভাবেই পাতকুয়োর মধ্যে ছিল। পরের দিন সকালে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুর কান্নার শব্দ শুনে গ্রামবাসীরা সেখানে জড়ো হন। এক গ্রামবাসী ওই শিশুকে কুয়ো থেকে উদ্ধার করেন। তাকে উদ্ধারের পরে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কী ভাবে ওই শিশু কুয়োয় পড়ে গেল, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
এর মধ্যে ওই একরত্তি গ্রামে এক অদ্ভুত ‘মিরাকল’-এর জন্ম দিয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলায়। বছর ৫০-এর প্রেম রাজ শুক্রবার ওই শিশুটিকে কুয়ো থেকে উদ্ধার করেন। মাঠে কাজ করার সময় তিনি ওই শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। প্রেম রাজ জানান, তিনি কুয়োতে নেমে দেখেন, একটি সাপ শিশুটির পাশে ফণা তুলে বসে আছে। তাঁকে কুয়োর মধ্যে নামতে দেখে সাপটি সেখান থেকে সরে যায় বলে দাবি করেছেন রাজ। শেষমেশ তিনি শিশুটিকে নিরাপদে কোলে তুলে নিয়ে উপরে উঠে আসেন।
আরও পড়ুন:

১০ বছরের মধ্যে উঠে যাবে সিনেমা হল, বলিউড কী ভাবে বেঁচে থাকবে? এমনই আশঙ্কা নাসিরুদ্দিন শাহের

হেলদি ডায়েট: অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে শিশুদের মধ্যে! ভাইরাস এড়াতে খুদের পাতে কী কী রাখবেন?

প্রথমে ওই শিশুকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পরে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন শিশুটি এখন সুস্থ আছে। গ্রামবাসীরা মনে করছেন, কেউ হয়তো শিশুটিকে কুয়োর মধ্যে ফেলে গিয়েছিলেন। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, এত উঁচু থেকে শিশুটি কুয়োর মধ্যে পড়েও বেঁচে আছে, সত্যিই মিরাকল। শিশুটিকে সাপটিই যেন পাহারা দিয়ে রেখেছিল। ওর গায়ে আঁচই লাগেনি।

স্বাদে-আহ্লাদে: চিকেন প্রিয়? তাহলে এমন হায়দরাবাদি চিকেনে জমিয়ে দিন দুপুর

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৪৪: সুন্দরবনের সুন্দর কাঁকড়া

এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই শিশুটিকে নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। দূর দুরান্ত মানুষ এসে শিশুটিকে দেখতে ভিড় করছেন। সবারই বিশ্বাস, সাপের আশীর্বাদ ছাড়া শিশুটির জীবিত থাকা সম্ভব হতো না।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শিশুটির দেহে কিছু কাটাছেঁড়ার দাগ আছে। এত উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ায় শিশুর কপাল কিছুটা ফুলে গিয়েছিল। এ ছাড়া আর কোনও জায়গায় আঘাত লাগেনি। চিকিৎসকেরা এও জানিয়েছেন, কয়েক ঘণ্টা আগেই শিশুটি জন্মেছে।

Skip to content