হাওড়া ব্রিজের উপরে হাঁটাচলা করছেন এক যুবক! পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং দমকলের কর্মীদের তৎপরতায় তাঁকে ব্রিজ থেকে নামানো সম্ভব হয়। ব্রিজের উপর থেকে নেমে আসার পর পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞেস করে কেন তিনি হাওড়া ব্রিজের উপরে উঠেছিলেন। পুলিশের প্রশ্নে যুবকের সোজাসাপটা উত্তর, ‘‘আমার বাড়ি দেখা যায় কি না, দেখছিলাম।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক কলকাতার দিক থেকে হাওড়া ব্রিজের উপর উঠেছিলেন। আবার হাওড়ার দিক থেকে তিনি হেঁটে চলেও আসেন। তাঁকে দেখতে সেখানে ভিড় জমে যায়। পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং দমকলের কর্মীদের তৎপরতায় প্রায় ঘণ্টাখানেক পর যুবককে ব্রিজের উপর থেকে নামানো হয়।
আপাতত হাওড়া জেলা হাসপাতালে যুবক চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ তাঁর চিকিৎসা করবেন। চেষ্টা চলছে যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার।
আপাতত হাওড়া জেলা হাসপাতালে যুবক চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ তাঁর চিকিৎসা করবেন। চেষ্টা চলছে যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার।
ব্রিজের মাথায় উঠে পড়েছিলেন এই যুবক।
আচমকাই ওই যুবককে ব্রিজের ৭ নম্বর পিলারে উপর দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দেখেন স্থানীয়রা। তাঁর কর্মকাণ্ড মোবাইলবন্দি করতে পথচারীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। নিচে থিকথিক করছে মানুষের ভিড়। পুলিশ কোনওভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে। তিনি হাওড়ার দিকের একেবারে শেষ অংশ উঠে পড়েছিলেন। যুবক কার্যত নগ্ন অবস্থায় ব্রিজের উপর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে হাঁটতে শুরু করেন। ফলে ব্রিজের উপর থেকে তিনি যেকোনও সময় লাফ মারতে পারেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কখনও কখনও তিনি মই বেয়ে কিছুটা নেমে আবার উপরে উঠে পড়ছেন। পুলিশ ও দমকল বাহিনী যুবককে নামানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করে।
হাওড়া ফায়ার অফিসের সাব অফিসার সৌম্য বসু জানান, হাওড়া ব্রিজের উপর এক জন যুবক উঠে পড়েছিলেন। মাঝের প্লাটফর্মে তিনি নেমেছিলেন। তাঁকে আমরা বোঝাই। সেব শেষে তিনি কথা শুনে নিচে নেমে আসেন।
হাওড়া ফায়ার অফিসের সাব অফিসার সৌম্য বসু জানান, হাওড়া ব্রিজের উপর এক জন যুবক উঠে পড়েছিলেন। মাঝের প্লাটফর্মে তিনি নেমেছিলেন। তাঁকে আমরা বোঝাই। সেব শেষে তিনি কথা শুনে নিচে নেমে আসেন।
আরও পড়ুন:
গিরিশ মঞ্চে নাটক চলাকালীন অগ্নিকাণ্ড, আতঙ্কে হুড়োহুড়ি, উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও
শীতের হাঁচি-কাশি সারাতে ভরসা থাকুক আয়ুর্বেদে, কখন কী খাবেন?
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। ঘটনাটি ঘটে বুধবার বিকেল ৪টে নাগাদ। হঠাৎ দেখা যায়, হাওড়া ব্রিজের উপর কেউ একজন দিব্যি হাঁটাচলা করছেন। মাঝে মধ্যে উপর থেকে হাতো নাড়ছেন। কিছু বলার চেষ্টা করছেন। কখনও আবার হাত জোড় করে নমস্কার করছেন। ঘটনার কথা জানতে পেরেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং দমকলের কর্মীরা।
আরও পড়ুন:
দিন চারেকের মধ্যেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা! বৃহস্পতি থেকে পারদপতন, শীতের আমেজ সপ্তাহশেষে
দশভুজাঃ ‘ওগো তুমি যে আমার…’— আজও তাঁর জায়গা কেউ নিতে পারেনি/২
যুবককে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পেরেছে, সাধি কুমার নামে ওই যুবকের বয়স ২২ বছর। বিহারের বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা তিনি। এখানে তিনি কাজ করতে এসেছিলেন। সাধি কুমার জানান, হাওড়া ব্রিজের মাথা থেকে তাঁর বাড়ি দেখা যাচ্ছে কি না, ব্রিজের উপর উঠে তাই-ই দেখার চেষ্টা করছিলেন তিনি। সাধি কুমার কেন, কী ভাবে বিহার থেকে বাংলায় এলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ব্যস্ত সময়ে এই ঘটনার জেরে তীব্র যানজট তৈরি হয়। বুধবারের এই ঘটনার পর আরও একবার হাওড়া ব্রিজের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কীভাবে সবার নজর এড়িয়ে ওই ব্যক্তি হাওড়া ব্রিজের মাথায় চড়ে বসলেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
ব্যস্ত সময়ে এই ঘটনার জেরে তীব্র যানজট তৈরি হয়। বুধবারের এই ঘটনার পর আরও একবার হাওড়া ব্রিজের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কীভাবে সবার নজর এড়িয়ে ওই ব্যক্তি হাওড়া ব্রিজের মাথায় চড়ে বসলেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।