ছবি: সংগৃহীত।
সুপ্রিম কোর্ট নরেন্দ্র মোদী সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পকে ‘বৈধ’ বলে ঘোষণা করল। ক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগের এই প্রকল্পকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে দু’টি আবেদন জমা পড়েছিল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, ‘‘জনস্বার্থে অগ্নিপথ প্রকল্পের বৈধতা বজায় রাখা দরকার।’’
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ গত বছর জুন মাসে চার বছরের চুক্তিতে ‘অগ্নিবীর’ নিয়োগের সিদ্ধান্ত ঘোষণার করেন। সেই ঘোষণার পর থেকেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। অগ্নিপথ প্রকল্পকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালত এবং দিল্লি হাই কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল। এমন অভিযোগও জানানো হয়, সেনাবাহিনীর নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একাংশকে কাজে যোগদানের সুযোগ না দিয়ে এই প্রকল্প চালু করা হয়।
আরও পড়ুন:
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩১: মরুভূমির উপল পারে বনতলের ‘হ্রদ’
টিকায় আটকে দেওয়া যাবে ক্যানসার, হৃদ্রোগ! এই প্রতিষেধক কবে থেকে পাওয়া যাবে?
শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, অগ্নিপথ প্রকল্প কোনও স্বেচ্ছাচারী কর্মসূচি নয়। সেই সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ, যাঁরা এই প্রকল্প চালুর আগে প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য শারীরিক সক্ষমতা এবং মেডিক্যাল পরীক্ষা ইত্যাদির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছিলেন, তাদের নিয়োগ পাওয়ার অর্জিত অধিকার নেই। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লি হাই কোর্ট অগ্নিপথ প্রকল্পের সাংবিধানিক বৈধতার কথা জানিয়ে যে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট সোমবার তা বহাল রেখেছে।
আরও পড়ুন:
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫৮: রবীন্দ্রনাথ সাঁতার কাটতেন, সাঁতার শেখাতেন
রোজ প্রাতরাশে ডিমের সঙ্গে কলা খাচ্ছেন? এর ফলে কী হচ্ছে জানেন
অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই প্রকল্পে হস্তক্ষেপ করার মতো যথাযথ কোনও কারণ নেই। এ নিয়ে আদালতের যুক্তি, দেশের স্বার্থে এবং প্রতিরক্ষামূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী এবং সংগঠিত করতেই এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়। আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের রায়, ‘‘দুঃখিত, আমরা হাই কোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না।’’ তবে সুপ্রিম কোর্ট অগ্নিপথ প্রকল্পে বায়ুসেনায় নিয়োগের বিরোধিতায় দায়ের হওয়া তৃতীয় আবেদনটির শুনানিতে রাজি হয়েছে।