শনিবার ৯ নভেম্বর, ২০২৪


অমরনাথে শুক্রবার বিকেল নাগাদ মেঘভাঙা ভয়ঙ্কর বৃষ্টিতে আটকে পড়েছেন ধূপগুড়ির ছ’জন বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে চারজনের খোঁজ পাওয়া গেলেও এখনও নিখোঁজ বাকী দু’জন। এই ছয় জন ট্রেনেই অমরনাথ গিয়েছিলেন। তারপর একসঙ্গে পায়ে হেঁটে অমরনাথ মন্দিরের দিকে রওনা দেন। হঠাৎই ভারী বৃষ্টির শুরু হয়, তার জেরে জলস্ফীতি বেড়ে গেলে ছ’জনই ছন্নছাড়া হয়ে পড়েন। প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে তাঁরা একে অপরকে খোঁজার চেষ্টা করেন। অবশেষে কোনও মতে চারজন ক্যাম্পে ফিরতে পেড়েছেন। বাকি দু’জনের খোঁজে তাঁরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগযোগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
নিরাপদে ক্যাম্পে ফিরা চারজন হলেন, ধূপগুড়ি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দেবব্রত দাস, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অপু পাল, খমাই গ্রামের বাসিন্দা অপু ভাওয়াল, নেতাজি পাড়ার বাসিন্দা টনি পাল। এই ঘটনায় চিন্তিত তাঁদের পরিবারের লোকেরা প্রতিনিয়ত প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
উল্লেখ্য এখনও এই মর্মান্তিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬। জম্মু ও শনিবার ভোর প্রায় পৌনে ৪টে পর্যন্ত আটক তীর্থযাত্রীদের উদ্ধারের কাজ চলে। সকাল থেকে আবার নিখোঁজদের সন্ধান শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) জানিয়েছে, ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ১৫ হাজারের বেশি তীর্থযাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ অন্তত ৪০ জন। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। উদ্ধারের কাজে নেমেছে সেনা, সিআরপিএফ, জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। এখনও পর্যন্ত ছ’টি দল নামিয়েছে ভারতীয় সেনা। নামানো হয়েছে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার। উদ্ধার করা তীর্থযাত্রীদের পঞ্চতরণীর বেসক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই দুর্ঘটনার জেরে জম্মু ও কাশ্মীর সরকার অমরনাথ যাত্রা স্থগিত করেখে। উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়ার পরে অমরনাথ যাত্রা শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

Skip to content