বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’-র তথ্য অনুযায়ী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাশাস্ত্র বিশ্বের দ্বিতীয় জনপ্রিয়তম চিকিৎসা। কিন্তু এত জনপ্রিয়তা এবং কার্যকারিতা থাকা সত্ত্বেও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। এই প্রতিবেদনে সেসব নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করব।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা অবৈজ্ঞানিক
● হোমিওপ্যাথি ওষুধ পটেনটাইজেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা হয়, ফলে দ্রবণ প্রক্রিয়ায় মূল ওষুধের উপাদান ন্যানো পার্টিকল অবস্থায় পাওয়া যায়। যে কারণে খুব সহজেই রোগ প্রতিরোধ তন্ত্রের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ঘটিয়ে রোগ সারিয়ে তোলে এই ওষুধ। হোমিওপ্যাথি ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণার জন্য ভারত সরকারের আয়ুষ মন্ত্রকের অধীনে ১৯৭৯ সালে ‘কেন্দ্রীয় হোমিওপ্যাথি অনুসন্ধান সংস্থান’ স্থাপিত হয়। এই সংস্থা হোমিওপ্যাথি নিয়ে অসংখ্য গবেষণাপত্র নিয়মিতভাবে প্রকাশ করে। তাই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক, এ নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই৷
ওষুধ খুব ধীরে গতিতে কাজ করে
● হোমিওপ্যাথি ওষুধ কত তাড়াতাড়ি কাজ করবে তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে রোগ প্রকৃতির ওপর। সর্দি, কাশি, জ্বর ইত্যাদির ক্ষেত্রে সঠিক হোমিওপ্যাথি ওষুধ প্রয়োগ করলে অল্প সময়ের মধ্যেই তা সেরে যায়। যদিও এগজিমা, অ্যাজমা, বাত ইত্যাদি পুরানো রোগের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত বেশি সময় লাগে। এছাড়াও পটেন্সি, ওষুধ ও ডোজ নির্বাচনের ওপর রোগ কতটা তাড়াতাড়ি সারবে, তাও নির্ভর করে। এ বিষয়ে রোগীকে একজন দক্ষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ঠিক ভাবে সাহায্য করতে পারবেন। তাই যে কোনও শারীরিক সমস্যা হলেই নিজে থেকে ওষুধ নির্বাচন না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
ওষুধে ভারী ধাতু ও স্টেরয়েড মেশানো থাকে
● হোমিওপ্যাথি ওষুধে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উৎস—উদ্ভিজ্জ, প্রাণিজ, খনিজ পদার্থ ইত্যাদি থেকে। পটেনটাইজেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উচ্চমানের গুণগত মান বজায় রেখেই ওষুধ তৈরি করা হয়। তাই হোমিওপ্যাথি ওষুধে ভারী ধাতু এবং স্টেরয়েড মেশানো থাকে এই ধারণা ভ্রান্ত।