বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫


ছবি : ঔর্ব চক্রবর্তী

বাড়ি শৌখিন রাখতে কে না চায়। যদি সুন্দরভাবে সাজানো হয়, তবে বাড়ি যতই ছোট হোক না কেন নজর কাড়বেই। বাড়ির মধ্যে থাকা প্রত্যেকটা জায়গায়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই বাকি ঘরগুলোর মতো সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলুন আপনার বাড়ির প্রবেশদ্বারকেও। অনেক সময় প্রবেশদ্বার আকর্ষণীয় হলে বাড়িতে অতিথি আগমনের অভাব হবে না। আর বাড়ির প্রবেশদ্বারের অংশটি ছোট হওয়ার কারণে খুব সহজেই সাজানো যায়। অল্প আসবাব কিংবা আধুনিকতার ছোঁয়ায় আপনি বাড়ির প্রবেশদ্বারের নতুন লুক তৈরি করতে পারবেন। আর বাড়িতে প্রবেশ করার সময় এহেন রূপই আপনার রুচির সঙ্গে অতিথিদের পরিচয় করিয়ে দেবে। তাই বাড়ি তো মনের মতো সাজাচ্ছেন, কিন্তু প্রবেশদ্বারের যত্ন নিচ্ছেন কি না সেটা একবার ভেবে দেখুন। আর বাড়ির প্রবেশদ্বার কীভাবে সাজাবেন যদি বুঝতে না পারেন তার জন্য নীচের টিপসগুলো তো রইলই।

১. সিটিং স্টোরেজ
বাড়ির প্রবেশদ্বারের একপাশে রাখতে পারেন সিটিং স্টোরেজ। প্রয়োজনে বেছে নিন বাড়ির একটা কর্নার। আর সেখানেই রাখুন সিটিং স্টোরেজ। এতে যেমন একদিকে আরামে বসা যাবে, তেমন অন্যদিকে, বসার জায়গার নীচে বিভিন্ন জিনিসও যত্নসহকারে রাখতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন প্রবেশদ্বারে সিটিং স্টোরেজ রাখলে যদি বাড়ির শৌখিনতা নষ্ট হয়, তাহলে এটি রাখবেন না। প্রবেশদ্বারে এমন কিছু রাখুন যেটা আপনার ঘরের সঙ্গে মানানসই।

২. আয়না
বাড়ির প্রবেশপথে রাখতে পারেন আয়নাও। এটি যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করবে তেমনই আয়নাটি আলো প্রতিফলন করে ওই জায়গাটিকে উজ্জ্বল করে তুলবে। এক্ষেত্রে সাধারণ আয়না না ব্যবহার করে ঘরের সৌন্দর্য ধরে রাখতে নতুন ধরনের আয়না ব্যবহার করুন। যেমন, বাড়ির প্রবেশদ্বারের ফাঁকা দেওয়ালে লাগাতে পারেন পুরনো দিনের মোটিফওয়ালা কাঠের সুন্দর আয়না। আয়নার চারপাশে দেওয়ালের যে অংশটি ফাঁকা থাকবে সেখানেও প্রিন্ট করে নিতে পারেন। তাহলে প্রবেশদ্বারের দেওয়ালও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। এছাড়াও, বাজারে এখন ওয়াল হ্যাঙ্গিং হিসাবে বাহারি আয়না পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলোও লাগাতে পারেন। এতে প্রবেশদ্বারে আসবে নতুন লুক।

১৩. ওয়াল স্টিকার
প্রবেশদ্বার সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন নানা রঙের ওয়াল স্টিকার। এই ধরনের স্টিকার আপনার ঘরে প্রবেশের পথকে এক নতুন লুক দেবে। আগে বাজারে এই ধরনের রঙিন ওয়াল স্টিকার প্রচুর পাওয়া যেত। এখন অনলাইনেও পাওয়া যায় এই স্টিকারগুলো। এগুলো দেওয়ালের কোনও ক্ষতি করে না। বরং বাড়ির বিশেষ অংশকে উজ্জ্বল এবং রঙিন করে তোলে এই ওয়াল স্টিকার।

১৪. গাছ
বাড়ির প্রবেশদ্বারে রাখুন শৌখিন সতেজ গাছ। সবুজ সতেজ গাছ যে শুধুমাত্র সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে, তা নয়। গাছ বাইরের সতেজতা ঘরের মধ্যে নিয়ে আসে। এক্ষেত্রে আপনি পাতাবাহার গাছ রাখতে পারেন আপনার বাড়ির প্রবেশদ্বারে। এদের বেশি সময় নিয়ে যত্ন করতে হয় না। তবে দেখতে খুব সুন্দর হয়। হোয়াইট লিলিও প্রবেশদ্বারে রাখতে পারেন। বাড়ির প্রবেশপথ গাছ দিয়ে সাজালে অতিথিদের কাছ থেকেও আপনি প্রশংসা কুড়াবেন।

১৫. বাহারি টব বা শোপিস
প্রবেশদ্বার সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে হলে দরজার পাশের দেওয়ালে বৈচিত্র আনতে আপনি রাখতে পারেন বাহারি টব বা শোপিস। দেওয়ালে রাখা সেই বাহারি টবে পাতাবাহার গাছ যেমন মানিপ্ল্যান্ট রাখতে পারেন। এছাড়াও রাখতে পারেন সুন্দর শোপিস। এক্ষেত্রে কাঠের বা মাটির বা কাচের শোপিসও প্রবেশদ্বারে ভালো মানাবে।

১৬. ছোট শোফা
প্রবেশদ্বারের একপাশে যদি জায়গা থাকে তাহলে ছোট সোফাও রাখতে পারেন। আর তার পাশেই যদি থাকে গাছ এবং ওই দেওয়ালে যদি শোপিস বা বাহারি টবও রাখেন তাহলেও বাড়ির সৌন্দর্য আরও বেড়ে যাবে।

১৭. রঙিন আলো
রঙিন আলো দিয়েও সাজাতে পারেন আপনার বাড়ির প্রবেশদ্বার। এক্ষেত্রে ছোট টুনি লাইট ব্যবহার করতে পারেন। ঘরে থাকা পুরনো ওয়াইনের বোতলে নানারকম রং করে ওই বোতলের মধ্যে আলোর তার ভরে জ্বালালে আলোকময় হয়ে উঠবে প্রবেশদ্বার। এছাড়াও, প্রবেশদ্বারে যদি গাছ রাখেন তাহলে তার চারপাশটাও টুনি লাইট দিয়ে সাজাতে পারেন। পর্দার গায়ে টুনি লাইট পেঁচিয়ে দিয়েও সাজাতে পারেন আপনার বাড়ির প্রবেশদ্বার।

৮. দরজার রং
বাড়ির প্রধান দরজার রং বাদামি হলে খুব ভালো হয়। এ ছাড়া চকলেট, নীল, হলুদ, সবুজ, গোলাপি, সাদা হলেও ভালো। অনেক সময় দরজার রংও অতিথিদের মন জয় করে নেয়। আর রঙিন দরজায় নকশা করা থাকলে তো কোনও কথাই নেই। অনেকেই কাঠের দরজায় নানারকমের নকশা করেন। অনেকের বাড়িতেই দরজায় শকুন্তলার আদলে নকশা করা থাকে আবার কোনও কোনও বাড়ির দরজায় থাকে মিশরের একটুকরো চিত্র। রঙিন দরজার পাশাপাশি দরজার নকশাও অতিথিদের চমকে দিতে পারে।

Skip to content