বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

খ্রিস্টপূর্বাব্দ ২৫০০ বছর আগে থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন রসুনকে নিজেদের খাদ্যতালিকায় স্থান দিয়েছে। নানান রোগের প্রতিষেধক হওয়ায় রসুনকে মর্তের অমৃত নামে অভিহিত করা হয়। আমাদের দেশের পৌরাণিক উপাখ্যান অনুযায়ী সমুদ্র মন্থনের পর দেবতা এবং ওষুধের মধ্যে যখন অমৃত নিয়ে যুদ্ধ শুরু হয় তখনই দুজন অসুর অমৃতের কিছুটা অংশ মুখে পুরে দিয়েছিল। কিন্তু তৎক্ষণাৎ দেবতারা ওই দুই অসুরের মস্তক দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় ফলে মুখ থেকে অমৃত মাটিতে পড়ে যায়। এবং তা থেকেই রসুন উৎপন্ন হয় বলে জানা যায়। হয়তো এই কারণেই রসুনকে মরতে অমৃত বলা হয়। কাশ্যপ সংহিতা অনুযায়ী অবশ্য স্বর্গরাজ ইন্দ্রের পত্নী শচীদেবীর দীর্ঘদিন সন্তান না হওয়ায় ঋষির পরামর্শে ইন্দ্র তাকে অমৃত পান করান। কিন্তু ঠিক সেই সময়ই শচী দেবীর উদ্গার (বমি) ওঠে এবং অমৃতের বেশ কিছুটা অংশ পৃথিবীর মাটিতে পড়ে। সেইখান থেকেই জন্ম নেয় রসুন বৃক্ষ।
 

বেশির ভাগ দেশে যুগ যুগ ধরে রসুনের ব্যবহার হয়ে আসছে

● প্রথমত: মিশরের মানুষ প্রাচীনকালে রসুনকে দেবতা জ্ঞানে পূজা করতেন। ওখানকার ক্রীতদাসেদের আগে প্রতিদিন কাঁচা রসুন খাওয়ানো হতো। যাতে তারা নীরব থাকে এবং তাদের দৈহিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মিশরে পিরামিড নির্মাণকারী রাজাতে অসুস্থতার জন্য কাজ অসমাপ্ত রেখে না চলে যায় তার জন্য প্রতিদিন নির্মাণকারীদের বেশি বেশি কাঁচা রসুন ও পেঁয়াজ খাওয়ানো হতো। পাঠকদের শুনলেও অবাক লাগবে যে বর্তমানে সেই পরিমাণ রসুনের মূল্য প্রায় ১৪ কোটি টাকা।

● দ্বিতীয়ত: গ্রিক সৈন্যরা যুদ্ধের আগে এবং গ্রিক খেলোয়াড়রা প্রতিযোগিতার আগে রসুন খেতেন। অতীতে অলিম্পিক আসরে প্রাচীন গ্রিক অ্যাথলিটরা শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য রসুন খেতেন।

● তৃতীয়ত: কোরিয়ার মানুষজন পাহাড়ি জঙ্গল পার হওয়ার সময় রসুন খেতেন। তাদের বিশ্বাস ছিল যে রসুন খেলে সেই মানুষকে বাঘ অপছন্দ করে। এমনকি বুল ফাইটটাররা বুল ফাইটিং এর আগে গলায় রসুনের মালা পড়ে নিতেন যাতে তাদের কোন ক্ষতি না হয়।

● চতুর্থত: ইউরোপিয়ানরা বিশ্বাস করেন যে রসুন অপদেবতা এবং ভ্যাম্পায়ারকে দূরে রাখে। তাই তারা বাড়ির দরজা জানালা এবং চিমনির খোলা মুখে রসুন ঝুলিয়ে রাখে এমনকি দেওয়ালের কোন ফুটো-ফাটাতেও রসুন ঘষে রাখে। তাদের বিশ্বাস যে রসুনের উগ্র গন্ধে কোন অপশক্তি ভেতরে প্রবেশ করবে না।

● পঞ্চমত: ফিলিপাইন দেশের লোকজন দৈত্যদের তাড়ানোর জন্য রসুন ব্যবহার করতেন।

● ষষ্ঠত: প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মান ও রাশিয়ার সৈন্যবাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষত সংক্রমণ নিরাময়ে প্রচুর ব্যবহার করতেন। কারণটা হলো রাশিয়ার আদি চিকিৎসাশাস্ত্রে চিকিৎসকবৃন্দ মানুষের সংক্রমণজনিত রোগ সারাতে প্রাচীনকাল থেকেই রসুনকে ব্যবহার করে আসছেন।

● সপ্তমত: তবে ভারতের কথাই বা বাদ যাবে কেন? ভারতবর্ষের ঋকবেদে উল্লেখ আছে যে অতীতে নমুচি ও শম্বর নামে দুজন প্রবল পরাক্রমশালী অনার্য ডাকাত সর্দার ছিলেন। তারা আর্যদের গবাদি পশু বলপূর্বক কেড়ে নিয়ে যেতেন। পরবর্তীকালে তাদের বশ করে জানা যায় যে রসুন ও পেঁয়াজ প্রতিদিন বেশি পরিমাণ খাওয়ার ফলে তারা বলশালী হয়ে উঠেছে।

এ ভাবেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংস্কার সংস্কৃতি তথা লোকবিশ্বাসের সঙ্গে রসুন মিলেমিশে রয়েছে প্রাচীনকাল থেকেই।

আরও পড়ুন:

হাত বাড়ালেই বনৌষধি: কাঁচা মিঠে আমের এই সব গুণাগুণ জানতেন?

বিধানে বেদ-আয়ুর্বেদ: আমে কী কী পুষ্টিগুণ আছে? ফলের রাজা শরীরের লাভ না ক্ষতির কারণ? কী বলছে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র?

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩৫: যে ছিল আমার ‘ব্রতচারিণী’

 

এক নজরে

● বিজ্ঞানসম্মত নাম: অলিয়াম স্যাটিভাম
● বাংলা নাম: রসুন
● ইংরেজি নাম: গার্লিক
● গোত্র: লিলিয়েসি
● গাছের প্রকৃতি: রসুন গাছটি হলো বহুবর্ষজীবী, সপুষ্পক উদ্ভিদ যেটি বাল্ব নামক অংশ থেকে উপরের দিকে বৃদ্ধি পায়। গাছটিতে লম্বা খাড়া ফুলের মত কাণ্ড রয়েছে। পাতার ফলক রৈখিক, লম্বা, চ্যাপ্ট। উত্তর গোলার্ধে গাছটিতে গোলাপি অথবা বেগুনি রঙের ফুল হয় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত।
● গাছের বিস্তৃতি: রসুনের আদি উৎপত্তিস্থল হলো দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং ইরানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল। এশিয়া সহ প্রাচীন মিশরীয়দের কাছে খাবারের পথ এবং ঐতিহ্যবাহী ওষুধ হিসাবে রসুন প্রায় ৫ হাজার বছর আগে থেকেই নিজের জায়গা করে রেখেছে। আমাদের ভারতবর্ষেও রসুনের অস্তিত্ব পাওয়া যায় সমসাময়িক সময়। কিন্তু রসুনের প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত থাকে অ্যালিসিন নামক বর্ণহীন সালফার জাতীয় যৌগ। এই যৌগ নিঃশ্বাসে উগ্র গন্ধ তৈরি করে তাই প্রাচীনকালে উচ্চ বংশীয় ভারতীয়রা রসুনের ব্যবহার করতেন না।
 

কী কী উপাদানে ভরপুর?

প্রতি ১০০ গ্রাম রসুনে থাকে ৩৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২.১ গ্রাম ফাইবার, ০.৫ গ্রাম ফ্যাট, ৬.৩৯ গ্রাম প্রোটিন। এছাড়াও রয়েছে ৫ মাইক্রগ্রাম বিটা ক্যারোটিন, ১৫৩ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৪০১ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৭ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ১.৭ মিলিগ্রাম আয়রন, ১৮১ ক্যালশিয়াম। ১০০ গ্রাম রসুনে মোট শক্তির পরিমাণ হলো ১৪৯ কিলো ক্যালরি।

আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১১: ‘কটি পতঙ্গ’ ছবিতে পঞ্চমের সুরে কিশোর নিজেকে উজাড় করে দেন

ভৌতিক উপন্যাস: মিস মোহিনীর মায়া, পর্ব-৩: এরকম ভুল হল কী করে? তবে কি আমাকে কিছুতে বশ করেছে?

ফল কালারের রূপ-মাধুরী, পর্ব-৬: গাড়ির সান রুফ খুলে চালিয়ে দিলাম ‘সুহানা সফর হ্যায় ইয়ে মৌসম হাসি, হামে ডর হ্যায় কে…’

 

চিকিৎসাশাস্ত্রে এর ব্যবহার

 

ক্যানসার নিরাময়ে

রসুন দেহে ফ্রি রেডিক্যাল ধ্বংস করে এবং উৎপত্তিতেও বাধা দেয়। রসুন এ উপস্থিত চারটি যৌগ হলো অ্যালিন, অ্যালাইল সিস্টিন, অ্যালাইল ডাইসালফাইড এবং অ্যালিসিন যেগুলি ফ্রি রেডিক্যালকে ধ্বংস করে দেহকোষকে রক্ষা করে। এগুলির সঙ্গেও রসুনের সঙ্গে উপস্থিত থাকে কয়েরসেটিন নামক আন্টি অক্সিডেন্ট জেটি কার সিনোজেনিক এজেন্টকে ব্লক করে দেয়। পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে যে যারা প্রতিদিন কাচা বা রান্নায় রসুন খান তাদের স্টমাক, লিভার এবং ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়।
 

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি

রসুনের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি থাকায় এটিই স্টেফাইলোকক্কাস, সিউডোমোনাস, সালমোনেলা ইত্যাদি ক্ষতিকর জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
 

হৃদরোগে

রসুনে অ্যান্টি হাইপারটোসিস, অ্যান্টিলিপিডিমিক, অ্যান্টিকোলেস্টেরলিমিক গুণ থাকার জন্য হৃদরোগের সম্ভাবনা কম থাকে। রসুন ধমনীর মধ্যে দিয়ে রক্ত সংবহনের হার বৃদ্ধি করে। রসুনে থাকা পলিসালফাইড যৌগ মানুষের লোহিত রক্তকণিকায় প্রবেশ করে হাইড্রোজেন সালফাইডে (H2S) পরিণত করে যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
 

রোগ প্রতিরোধে

আধুনিক গবেষণায় জানা গিয়েছে, রসুনে দেহের লিম্ফোসাইট এবং ম্যাক্রোফাজ এর কাজকে উদ্দিপীত করে এবং ইন্টারলিউকিন ওয়ান এবং ন্যাচারাল কিলার কোষের সংখ্যা বাড়িয়ে তোলে, যা দেহকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। এই ভাবেই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রসুন অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে।
 

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে

প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আরো জানা যায়, রসুন মেধা ও স্মৃতি বৃদ্ধি কারক, দীপ্তিকারক, গাত্রবর্ণ প্রসাধক, চক্ষুর জ্যোতিরক্ষক, কেশ রক্ষক, প্রচণ্ড বলকারক ও আয়ুবর্ধক। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আরো বলা হয়েছে যে রসুন পৌরষ্য প্রবৃত্তির ধারক ও বাহক এবং শুক্রধাতুবর্ধক। নারীর পক্ষে রসুন সন্তানপ্রদ ও আয়ুষ্কর এবং যুবতী জীবনের অঙ্গসৌষ্ঠবের সমতারক্ষক।
 

শ্বাসনালী ও ফুসফুসের সংক্রমণ

সর্দি কাশি গলা ব্যথা গলায় ঘা, টনসিলাইটিস, ইনফুয়েনঞ্জা ইত্যাদি শ্বাসনালী সংক্রমঞ্জনিত সুখে রসুন কিন্তু দারুণহিতকর খাদ্য। গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ রসুনের বিশেষ অ্যান্টিভাইরাল প্রপার্টি থাকায় এটি ফুসফুস শ্বাসনালী সংক্রান্ত অসুস্থতা অনেকটাই কমিয়ে আনে।

আরও পড়ুন:

কন্ডোম ছাড়া মিলনে সুখ বেশি, কিন্তু বিপদের ভয়ও অনেক, কোন ৫টি ভুল মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে?

ইংলিশ টিংলিশ: ‘নিজের পায়ে নিজে কুড়ুল মারা’ বা ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে’কে ইংরেজিতে কী বলে?

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি: পর্ব-৬৩: গগনেন্দ্রনাথের‌ ঘুড়ি ওড়ানো

 

ডায়াবেটিস

টাইপ-টু ডায়াবেটিস বা নন ইনসুলিন ডিপেন্ডেন্ট ডায়াবেটিস মেলিটাসে আক্রান্ত ব্যাক্তিরা নিয়মিত রসুন খেতে পারলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসার পাশাপাশি রোগের জটিলতা অনেকটা কমে যায়। তবে এক্ষেত্রে ডায়েট, শরীরচর্চা ইত্যাদি করারও প্রয়োজন আছে।
 

দাঁতে ব্যথা

দাঁতের গোড়ায় ব্যথা, মাড়ি ফুলে থাকা মুখে ঘা ইত্যাদি সমস্যার সমাধানে দিনে দুই থেকে তিন বার করে আক্রান্ত স্থানে সরাসরি রসুনের রস লাগালে ব্যথা অনেকটা উপশম হয়। রসুনের মধ্যে বিশেষ অ্যান্টিবায়োটিক থাকায় এটি দাঁতের সমস্যায় বিশেষ উপকারী।
 

উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে

প্রতিদিন দুটো তাজা রসুনের কোয়া জলখাবারের সময় চিবিয়ে খেলে উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলজনিত সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়। ধমনিতে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এবং টাইগ্লিসারাইড সঞ্চয়ের ফলে যে হৃদরোগ জনিত সমস্যা হতে পারে তা রসুন অনেকটাই দূর করে।
 

আর্থ্রাইটিস

অস্টিওআর্থারাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং আউট আর্থ্রাইটিস সমস্যায় যারা ভুগছেন যারা নিয়মিত কাঁচা বা রান্নায় দুই থেকে চার কোয়া রসুন খেলে উপকার পাবেন।
 

স্থূলতা

লো ক্যালরি ব্যালেন্সড ডায়েট ও শরীরচর্চার সঙ্গে যদি নিয়মিত রসুন খাওয়া যায় তাহলে দেহে ফ্যাটের মাত্রা অনেকটাই কমে এবং দৈহিক ওজনও কমে আসে। রসুনে 1, 2DT এলিসিন ও সালফার জাতীয় যৌগ থাকায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
 

জন্ডিস

জন্ডিস এবং লিভারজনিত সমস্যা থাকলে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেয়ে এক গ্লাস ফ্যাট ফ্রি দুধের ঘোল খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
 

জ্বর

কিউবারকিউলোসিস ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগের চিকিৎসাতেও বহু প্রাচীনকাল থেকেই রসুনের প্রয়োগ চলে আসছে। ঋতু পরিবর্তনের সময় যদি দু’ কোয়া করে রসুন খাওয়া যায় তবে সর্দি, কাশি, জ্বর বা অ্যালার্জিজনিত ঠান্ডা লাগা থেকে অনেকটাই মুক্তি পেতে পারন।
 

ত্বকের সমস্যা

ত্বকের যেকোনও আঘাত বা সংক্রমণের ক্ষেত্রে রসুন খেলে তা দ্রুত সরে ওঠে। ব্রণ, ফোঁড়া, একজিমা, পিগমেন্টেশন, দাগ-ছোপ কমানোর ক্ষেত্রে রসুন খুবই উপকারী।
 

কোষ্ঠকাঠিন্য

কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যথা পেট ভার ইত্যাদি সমস্যা থাকলে তারা সকালে খালিপেটে এক কোয়া রসুনকে কুচি কুচি করে জলের সাথে খেলে এই সমস্যা অনেকটাই দূর হয়।

আরও পড়ুন:

স্বাদে-গন্ধে: একঘেয়ে কাতলা? স্বাদবদল করুন ‘কমলা কাতলা’ রেসিপিতে! রইল সহজ রেসিপি

দশভুজা: ‘পুরুষ মানুষের কাজে হাত দিলে এমনই হবে, মহিলাদের এসব সাজে না’

শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন? জানুন চিকিৎসকের জরুরি পরামর্শ

 

সাবধানতা

অনেকক্ষণ রোদে থাকার পর, কঠিন পরিশ্রম বা বয়্যামের পর রসুন খাওয়া উচিত নয়।

নাক থেকে মাঝে মধ্যে রক্তপাত হওয়ার বা মাথা ঘোরার সমস্যা যাদের আছে তারা কখনওই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রসুন খাবেন না।

মহিলারা যাঁরা ইস্ট্রোজেন যুক্ত হরমোনাল ওষুধ নিচ্ছেন তাঁরা কখনওই রসুন খাবেন না কারণ এতে ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস পায়।

দু’ বছরের ছোট বাচ্চাদের একেবারেই রসুন খাওয়াবেন না।

যাঁরা এইচআইভি বা এইডসের ওষুধ খাচ্ছেন তাঁদের রসুন চলবে না। কারণ রসুন এই ওষুধের গুনাগুন কমিয়ে দেয়।

যে কোনও রকম অস্ত্রোপচারের আগে রসুন খাওয়া চলবে না। কারণ রসুন ব্লিডিংয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

* হাত বাড়ালেই বনৌষধি (Herbs-and-seeds): স্বাতীলেখা বাগ (Swatilekha Bag), উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ।

Skip to content