ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
বেশির ভাগ দেশে যুগ যুগ ধরে রসুনের ব্যবহার হয়ে আসছে
এ ভাবেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংস্কার সংস্কৃতি তথা লোকবিশ্বাসের সঙ্গে রসুন মিলেমিশে রয়েছে প্রাচীনকাল থেকেই।
হাত বাড়ালেই বনৌষধি: কাঁচা মিঠে আমের এই সব গুণাগুণ জানতেন?
বিধানে বেদ-আয়ুর্বেদ: আমে কী কী পুষ্টিগুণ আছে? ফলের রাজা শরীরের লাভ না ক্ষতির কারণ? কী বলছে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র?
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩৫: যে ছিল আমার ‘ব্রতচারিণী’
এক নজরে
কী কী উপাদানে ভরপুর?
প্রতি ১০০ গ্রাম রসুনে থাকে ৩৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২.১ গ্রাম ফাইবার, ০.৫ গ্রাম ফ্যাট, ৬.৩৯ গ্রাম প্রোটিন। এছাড়াও রয়েছে ৫ মাইক্রগ্রাম বিটা ক্যারোটিন, ১৫৩ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৪০১ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৭ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ১.৭ মিলিগ্রাম আয়রন, ১৮১ ক্যালশিয়াম। ১০০ গ্রাম রসুনে মোট শক্তির পরিমাণ হলো ১৪৯ কিলো ক্যালরি।
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১১: ‘কটি পতঙ্গ’ ছবিতে পঞ্চমের সুরে কিশোর নিজেকে উজাড় করে দেন
ভৌতিক উপন্যাস: মিস মোহিনীর মায়া, পর্ব-৩: এরকম ভুল হল কী করে? তবে কি আমাকে কিছুতে বশ করেছে?
ফল কালারের রূপ-মাধুরী, পর্ব-৬: গাড়ির সান রুফ খুলে চালিয়ে দিলাম ‘সুহানা সফর হ্যায় ইয়ে মৌসম হাসি, হামে ডর হ্যায় কে…’
চিকিৎসাশাস্ত্রে এর ব্যবহার
ক্যানসার নিরাময়ে
রসুন দেহে ফ্রি রেডিক্যাল ধ্বংস করে এবং উৎপত্তিতেও বাধা দেয়। রসুন এ উপস্থিত চারটি যৌগ হলো অ্যালিন, অ্যালাইল সিস্টিন, অ্যালাইল ডাইসালফাইড এবং অ্যালিসিন যেগুলি ফ্রি রেডিক্যালকে ধ্বংস করে দেহকোষকে রক্ষা করে। এগুলির সঙ্গেও রসুনের সঙ্গে উপস্থিত থাকে কয়েরসেটিন নামক আন্টি অক্সিডেন্ট জেটি কার সিনোজেনিক এজেন্টকে ব্লক করে দেয়। পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে যে যারা প্রতিদিন কাচা বা রান্নায় রসুন খান তাদের স্টমাক, লিভার এবং ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়।
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি
রসুনের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি থাকায় এটিই স্টেফাইলোকক্কাস, সিউডোমোনাস, সালমোনেলা ইত্যাদি ক্ষতিকর জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
হৃদরোগে
রসুনে অ্যান্টি হাইপারটোসিস, অ্যান্টিলিপিডিমিক, অ্যান্টিকোলেস্টেরলিমিক গুণ থাকার জন্য হৃদরোগের সম্ভাবনা কম থাকে। রসুন ধমনীর মধ্যে দিয়ে রক্ত সংবহনের হার বৃদ্ধি করে। রসুনে থাকা পলিসালফাইড যৌগ মানুষের লোহিত রক্তকণিকায় প্রবেশ করে হাইড্রোজেন সালফাইডে (H2S) পরিণত করে যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধে
আধুনিক গবেষণায় জানা গিয়েছে, রসুনে দেহের লিম্ফোসাইট এবং ম্যাক্রোফাজ এর কাজকে উদ্দিপীত করে এবং ইন্টারলিউকিন ওয়ান এবং ন্যাচারাল কিলার কোষের সংখ্যা বাড়িয়ে তোলে, যা দেহকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। এই ভাবেই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রসুন অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে
প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আরো জানা যায়, রসুন মেধা ও স্মৃতি বৃদ্ধি কারক, দীপ্তিকারক, গাত্রবর্ণ প্রসাধক, চক্ষুর জ্যোতিরক্ষক, কেশ রক্ষক, প্রচণ্ড বলকারক ও আয়ুবর্ধক। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আরো বলা হয়েছে যে রসুন পৌরষ্য প্রবৃত্তির ধারক ও বাহক এবং শুক্রধাতুবর্ধক। নারীর পক্ষে রসুন সন্তানপ্রদ ও আয়ুষ্কর এবং যুবতী জীবনের অঙ্গসৌষ্ঠবের সমতারক্ষক।
শ্বাসনালী ও ফুসফুসের সংক্রমণ
সর্দি কাশি গলা ব্যথা গলায় ঘা, টনসিলাইটিস, ইনফুয়েনঞ্জা ইত্যাদি শ্বাসনালী সংক্রমঞ্জনিত সুখে রসুন কিন্তু দারুণহিতকর খাদ্য। গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ রসুনের বিশেষ অ্যান্টিভাইরাল প্রপার্টি থাকায় এটি ফুসফুস শ্বাসনালী সংক্রান্ত অসুস্থতা অনেকটাই কমিয়ে আনে।
কন্ডোম ছাড়া মিলনে সুখ বেশি, কিন্তু বিপদের ভয়ও অনেক, কোন ৫টি ভুল মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে?
ইংলিশ টিংলিশ: ‘নিজের পায়ে নিজে কুড়ুল মারা’ বা ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে’কে ইংরেজিতে কী বলে?
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি: পর্ব-৬৩: গগনেন্দ্রনাথের ঘুড়ি ওড়ানো
ডায়াবেটিস
টাইপ-টু ডায়াবেটিস বা নন ইনসুলিন ডিপেন্ডেন্ট ডায়াবেটিস মেলিটাসে আক্রান্ত ব্যাক্তিরা নিয়মিত রসুন খেতে পারলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসার পাশাপাশি রোগের জটিলতা অনেকটা কমে যায়। তবে এক্ষেত্রে ডায়েট, শরীরচর্চা ইত্যাদি করারও প্রয়োজন আছে।
দাঁতে ব্যথা
দাঁতের গোড়ায় ব্যথা, মাড়ি ফুলে থাকা মুখে ঘা ইত্যাদি সমস্যার সমাধানে দিনে দুই থেকে তিন বার করে আক্রান্ত স্থানে সরাসরি রসুনের রস লাগালে ব্যথা অনেকটা উপশম হয়। রসুনের মধ্যে বিশেষ অ্যান্টিবায়োটিক থাকায় এটি দাঁতের সমস্যায় বিশেষ উপকারী।
উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে
প্রতিদিন দুটো তাজা রসুনের কোয়া জলখাবারের সময় চিবিয়ে খেলে উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলজনিত সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়। ধমনিতে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এবং টাইগ্লিসারাইড সঞ্চয়ের ফলে যে হৃদরোগ জনিত সমস্যা হতে পারে তা রসুন অনেকটাই দূর করে।
আর্থ্রাইটিস
অস্টিওআর্থারাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং আউট আর্থ্রাইটিস সমস্যায় যারা ভুগছেন যারা নিয়মিত কাঁচা বা রান্নায় দুই থেকে চার কোয়া রসুন খেলে উপকার পাবেন।
স্থূলতা
লো ক্যালরি ব্যালেন্সড ডায়েট ও শরীরচর্চার সঙ্গে যদি নিয়মিত রসুন খাওয়া যায় তাহলে দেহে ফ্যাটের মাত্রা অনেকটাই কমে এবং দৈহিক ওজনও কমে আসে। রসুনে 1, 2DT এলিসিন ও সালফার জাতীয় যৌগ থাকায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
জন্ডিস
জন্ডিস এবং লিভারজনিত সমস্যা থাকলে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেয়ে এক গ্লাস ফ্যাট ফ্রি দুধের ঘোল খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
জ্বর
কিউবারকিউলোসিস ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগের চিকিৎসাতেও বহু প্রাচীনকাল থেকেই রসুনের প্রয়োগ চলে আসছে। ঋতু পরিবর্তনের সময় যদি দু’ কোয়া করে রসুন খাওয়া যায় তবে সর্দি, কাশি, জ্বর বা অ্যালার্জিজনিত ঠান্ডা লাগা থেকে অনেকটাই মুক্তি পেতে পারন।
ত্বকের সমস্যা
ত্বকের যেকোনও আঘাত বা সংক্রমণের ক্ষেত্রে রসুন খেলে তা দ্রুত সরে ওঠে। ব্রণ, ফোঁড়া, একজিমা, পিগমেন্টেশন, দাগ-ছোপ কমানোর ক্ষেত্রে রসুন খুবই উপকারী।
কোষ্ঠকাঠিন্য
কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যথা পেট ভার ইত্যাদি সমস্যা থাকলে তারা সকালে খালিপেটে এক কোয়া রসুনকে কুচি কুচি করে জলের সাথে খেলে এই সমস্যা অনেকটাই দূর হয়।
স্বাদে-গন্ধে: একঘেয়ে কাতলা? স্বাদবদল করুন ‘কমলা কাতলা’ রেসিপিতে! রইল সহজ রেসিপি
দশভুজা: ‘পুরুষ মানুষের কাজে হাত দিলে এমনই হবে, মহিলাদের এসব সাজে না’
শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন? জানুন চিকিৎসকের জরুরি পরামর্শ
সাবধানতা