অলঙ্করণ: গৌতম চক্রবর্তী।
গরমে প্রাণ আই ঢাই। যাঁরা শুধু ঘরের কাজ করেন তাঁদের কথা একরকম। কিন্তু যাঁদের রোদে তেতে পুড়ে ঘুরে ফিরে কাজ করতে হয়, এই গরমে সুযোগ পেলেই তাঁরা ঢক ঢক করে নানা ধরনের পানীয় গলায় ঢালেন। আখের রস, লস্যি, কোল্ড ড্রিংক, ডাবের জল, নিম্বু পানি, রাস্তাঘাটে বিক্রি হওয়া রঙিন জল— কিছুই বাদ যাচ্ছে না। এতে সাময়িক তেষ্টা নিবারণ হলেও নানা ধরনের বিপত্তি দেখা দিচ্ছে। অনেকের ধারণা, গরমকালে যত ঠান্ডা খাওয়া যায়, ততই নাকি শরীর ঠান্ডা থাকে, অসুখ-বিসুখ হয় না। এ ধারণা কিন্তু ঠিক নয়। সহজলভ্য আখের রসের কথাই আগে বলি।
রাস্তাঘাটে আপনার হামেশাই চোখে পড়বে আখ মাড়াইয়ের কল। মেশিনের মধ্যে গোটা আখ ঢুকে যাচ্ছে, ছিবড়ে হয়ে গিয়ে ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে আসছে রস, জমা হচ্ছে একটি টিনের অথবা স্টিলের মগে। সেখান থেকে কাচের গ্লাসে বরফ এবং একটু বিট নুন মিশিয়ে খদ্দেরদের পরিবেশন করা হচ্ছে। খেয়ে সবাই পরিতৃপ্তির ঢেকুর তুলছে। তাছাড়া অনেকের ধারণা আখের রসে জন্ডিস কমে, শরীর ঠান্ডা হয়, রোগ জীবাণু দেহে ঢুকতে বাধা পায়— কাজেই গরম পড়লে আখের রস খাওয়া ভালো।
রাস্তাঘাটে আপনার হামেশাই চোখে পড়বে আখ মাড়াইয়ের কল। মেশিনের মধ্যে গোটা আখ ঢুকে যাচ্ছে, ছিবড়ে হয়ে গিয়ে ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে আসছে রস, জমা হচ্ছে একটি টিনের অথবা স্টিলের মগে। সেখান থেকে কাচের গ্লাসে বরফ এবং একটু বিট নুন মিশিয়ে খদ্দেরদের পরিবেশন করা হচ্ছে। খেয়ে সবাই পরিতৃপ্তির ঢেকুর তুলছে। তাছাড়া অনেকের ধারণা আখের রসে জন্ডিস কমে, শরীর ঠান্ডা হয়, রোগ জীবাণু দেহে ঢুকতে বাধা পায়— কাজেই গরম পড়লে আখের রস খাওয়া ভালো।
আখের রসে কিছু পুষ্টি অবশ্যই থাকে। তবে এনার্জি পাওয়া যায় মাত্র ৩৯ কিলো ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট থাকে মাত্র ৯.১ গ্রাম। সে দিক দিয়ে দেখতে গেলে জন্ডিসের আদর্শ পথ্য কখনওই আখের রস নয়। তবে খাওয়া যেতেই পারে, কিন্তু রাস্তার আখের রস নয়। বাজার থেকে আখ কিনে এনে টুকরো টুকরো করে কেটে খোসা ছাড়িয়ে তারপর খাবেন। রাস্তায় বিক্রি হওয়া আখের রস বিষ ছাড়া কিছু নয়। আন্ত্রিক, জন্ডিস-সহ নানা রোগ এর থেকে শরীরে ঢুকে বাসা বাঁধতে পারে।
গরমে অনেকেই ৪০-৫০ টাকা দামের ডাব খান। নিঃসন্দেহে ডাবের জল প্রকৃতির বিশুদ্ধতম জল। এতে কোনও দূষণ থাকে না। কিন্তু ডাবের জল কখনওই আদর্শ পানীয় নয়। নানা খনিজ লবণ এতে সুষম পরিমাণে থাকে না, সব ভিটামিনও থাকে না, উপরন্ত পটাশিয়াম বেশি থাকার পরে হৃদ রোগীদের পক্ষে ডাবের জল নিরাপদ নয়। পেট খাবারের পথ্য হিসাবে অনেকে ডাবের জলকে নির্বাচন করেন। এর চেয়ে চিনি-নুন-লেবুর শরবত বা ওরাল রিহাইড্রেশন ফ্লুইড পেট খারাপে অনেক উপকারি, যা কখনওই ডাবের জল নয়। পকেটে রেস্ত থাকলে ডাবের জল নিশ্চয়ই খেতে পারেন। কিন্তু ডাবের জল খেয়ে শরীর ঠান্ডা হবে, পেট ঠান্ডা হবে— এসব আজগুবি ধারণাকে প্রশ্রয় দেবেন না।
গরমে অনেকেই ৪০-৫০ টাকা দামের ডাব খান। নিঃসন্দেহে ডাবের জল প্রকৃতির বিশুদ্ধতম জল। এতে কোনও দূষণ থাকে না। কিন্তু ডাবের জল কখনওই আদর্শ পানীয় নয়। নানা খনিজ লবণ এতে সুষম পরিমাণে থাকে না, সব ভিটামিনও থাকে না, উপরন্ত পটাশিয়াম বেশি থাকার পরে হৃদ রোগীদের পক্ষে ডাবের জল নিরাপদ নয়। পেট খাবারের পথ্য হিসাবে অনেকে ডাবের জলকে নির্বাচন করেন। এর চেয়ে চিনি-নুন-লেবুর শরবত বা ওরাল রিহাইড্রেশন ফ্লুইড পেট খারাপে অনেক উপকারি, যা কখনওই ডাবের জল নয়। পকেটে রেস্ত থাকলে ডাবের জল নিশ্চয়ই খেতে পারেন। কিন্তু ডাবের জল খেয়ে শরীর ঠান্ডা হবে, পেট ঠান্ডা হবে— এসব আজগুবি ধারণাকে প্রশ্রয় দেবেন না।
আরও পড়ুন:
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-১৩: সারাদিন যত পারেন জল খান! এতে শরীরের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে না তো? কী করে বুঝবেন?
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৪৯: মিশ্র মাছচাষ পদ্ধতিতে শুধু ফলন বাড়েনি, মাছের বৈচিত্রের সমাহারও নজর কেড়েছে
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫৭: কবির লেখা, লেখার গল্প
গরমে লেবু জল শরীরের পক্ষে ভীষণ উপকারি। হরেক রকম লেবু পাওয়া যায় বাজারে। পাতিলেবু, কমলা লেবু, মোসাম্বি লেবু, গন্ধরাজ এবং বাতাবি লেবু। ১০০ গ্রাম পাতি বা কাগজি লেবু থেকে শক্তি পাওয়া যায় ৫২ কিলো ক্যালরি, ৯০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ২০ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন সি ৬৩ মিলিগ্রাম—যা আপেলের ৩২ গুণ এবং আঙুরের দ্বিগুণ। এছাড়া নানা ধরনের ভিটামিন বি, নিয়াসিন ও অন্যান্য খাদ্য উপাদানও লেবুতে থাকে। কাজেই লেবু অবশ্যই দেহের পক্ষে উপকারি ফল।
লেবু খেলে টক লাগে সাইট্রিক অ্যাসিডের উপস্থিতির জন্য, অথচ লেবু খেলে অ্যাসিড হয় না, উল্টে অ্যাসিড কমে। যেজন্য ভোজবাড়িতে ভুরিভোজ খাওয়ার পর অনেককেই দেখবেন এক গ্লাস জলে এক টুকরো লেবু চটকে পান করেন। ব্যাপারটা কি ঘটে? লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড পাকস্থলীর সোডিয়াম লবণের সঙ্গে বিক্রিয়া করে সোডিয়াম সাইট্রেট নামক একটি যৌগ তৈরি করে। এই যৌগটি ক্ষারধর্মী, যা পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে সেই অ্যাসিডের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে লেবুর জল পান করলে অ্যাসিডিটি— বদহজম ইত্যাদি কমে।
লেবু খেলে টক লাগে সাইট্রিক অ্যাসিডের উপস্থিতির জন্য, অথচ লেবু খেলে অ্যাসিড হয় না, উল্টে অ্যাসিড কমে। যেজন্য ভোজবাড়িতে ভুরিভোজ খাওয়ার পর অনেককেই দেখবেন এক গ্লাস জলে এক টুকরো লেবু চটকে পান করেন। ব্যাপারটা কি ঘটে? লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড পাকস্থলীর সোডিয়াম লবণের সঙ্গে বিক্রিয়া করে সোডিয়াম সাইট্রেট নামক একটি যৌগ তৈরি করে। এই যৌগটি ক্ষারধর্মী, যা পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে সেই অ্যাসিডের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে লেবুর জল পান করলে অ্যাসিডিটি— বদহজম ইত্যাদি কমে।
আরও পড়ুন:
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৫: আরডি-র ‘লাকড়ি কি কাঠি কাঠি পে ঘোড়া’ আজও ছোটদের মধ্যে সমানভাবে জনপ্রিয়
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩০: দিনের পরে দিন গড়ে যায় ‘বিধিলিপি’
দশভুজা: তিনিই সারস্বত সাধনার প্রতিরূপা সত্যিকারের দশভুজা
এছাড়া চর্ম রোগ, সর্দি-কাশি, মাথার খুশকি, পেটের রোগ, মাড়ির অসুখ, গরমে অস্বস্তি, বাত-সহ নানা রোগে লেবু রীতিমতো ওষুধের ভূমিকা গ্রহণ করে। আন্ত্রিক রোগে শরীরে লবণ জলের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ওরাল রিহাইড্রেশন ফ্লুয়িডের প্রয়োজন হয়। এখানেও লেবুর রসের লা জবাব।
বেলের পানা, আমের শরবত, দইয়ের ঘোল বা লস্যি যে গরমকালে শুধু ক্লান্তি দূর করে তাই নয় পুষ্টিরও যোগান দেয়। এদের পুষ্টিমূল্য অপরিসীম। শুধু অনুরোধ, রাস্তাঘাটে এগুলো খাবেন না। যে জল দিয়ে এগুলো তৈরি হয় তা কখনওই ভালো নয়। আান্ত্রিক হতে পারে যে কোনও মুহূর্তে। বাড়িতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করা জল মাটির কুজোতে রেখে আরও ঠান্ডা করে নিয়ে এই শরবত তৈরি করে খান, অপরকেও খাওয়ান।
বেলের পানা, আমের শরবত, দইয়ের ঘোল বা লস্যি যে গরমকালে শুধু ক্লান্তি দূর করে তাই নয় পুষ্টিরও যোগান দেয়। এদের পুষ্টিমূল্য অপরিসীম। শুধু অনুরোধ, রাস্তাঘাটে এগুলো খাবেন না। যে জল দিয়ে এগুলো তৈরি হয় তা কখনওই ভালো নয়। আান্ত্রিক হতে পারে যে কোনও মুহূর্তে। বাড়িতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করা জল মাটির কুজোতে রেখে আরও ঠান্ডা করে নিয়ে এই শরবত তৈরি করে খান, অপরকেও খাওয়ান।
আরও পড়ুন:
চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-১৩: বাইগা বস্তি হয়ে ভোরামদেব মন্দির
বিধানে বেদ-আয়ুর্বেদ, রক্তাল্পতায় ভুগছেন? জানুন আয়ুর্বেদ মতে প্রতিকারের উপায়
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৮: ‘বাইরে বেরুলেই বিপদ!’
গরমে আমাদের কোল্ড ড্রিংক ছাড়া চলে না। পকেট গরম থাকলেই ঢক ঢক করে গলায় ঢালি। এতে ৯৫ শতাংশই থাকে জল, ৪ ভাগ চিনি বা অন্য কোনও মিষ্টি থাকে। থাকে সাইট্রিক অ্যাসিড, ফসফরিক অ্যাসিড, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, সোডিয়াম বা পটাশিয়াম ক্লোরাইড। এছাড়া সুগন্ধি এবং রং। টাটকা ফলের রস কখনওই থাকে না, থাকলে পচন দেখা দিত। অবশ্য চিনির দ্রবণের পচন রোধ করতে এতে পচনরোধক প্যারাবেন জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে স্টেরিলাইজড করে তাতে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস মিশিয়ে মেশিনে সিল করা হয়। স্বাদ এবং রঙে আকর্ষণীয় করার জন্য অনেক কোম্পানি কোল্ড ড্রিঙ্কে ফ্লোরিন এবং ব্রোমিন যুক্ত নানা ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করছেন। এগুলো কিন্তু শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। অল্প খেলে দোষের কিছু নেই। মনে হয় ক্লান্তি দূর হয়ে বেশ একটা তরতাজা ভাব লাগছে। বেশি খেলেই বিপত্তি। অতিরিক্ত সোডিয়াম ও পটাশিয়াম এবং অ্যাসিড শরীরের ক্ষতি করে, বিশেষ করে হৃদরোগী ও গ্যাস্ট্রিকের রোগীদের। রং ও অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ লিভার এবং কিডনির ক্ষতি করে। কোলেস্টেরল এবং সুগার বাড়তে পারে, প্রেসার বাড়তে পারে, ঘা দেখা দিতে পারে পাকস্থলীতে।
আরও পড়ুন:
খাই খাই: বাড়িতেই চিকেন ভর্তা বানাতে চান? জেনে নিন সহজ রেসিপি
মেদ নিয়ে দুশ্চিন্তা? চিন্তা নেই, খেলাচ্ছলেই সুঠাম এবং সুগঠিত দেহের অধিকারী হয়ে উঠতে পারেন
হাত বাড়ালেই বনৌষধি: সারা বছরের বন্ধু ‘কলা’
আরেকটা কথা। বিজ্ঞাপনে যেমন দেখায় ঠিক তেমনিভাবে কোল্ড ড্রিঙ্ক কখনোই ঢক ঢক করে সরাসরি গলায় ঢালবেন না। কারণ, অতিরিক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড পাকস্থলীতে হঠাৎ করে গ্যাসের চাপ বাড়িয়ে হার্টের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বয়স্কদের হার্টের অসুখ থাকলে অঘটন ঘটা অসম্ভব নয়।
গরমে আরেকটি লোভনীয় খাবার হল আইসক্রিম। কি থাকে একটি আইসক্রিমে? দুগ্ধজাত নানা পদার্থ, কর্ন সিরাপ, সুগন্ধি, জল, বাতাস, কখনও কোকো। শতকরা হিসেবে থাকে ১৫ শতাংশ চিনি, ১২ শতাংশ ফ্যাট, ১১ শতাংশ ফ্যাট নয় এমন দুগ্ধজাত পদার্থ, ভিটামিন এ ও অন্যান্য কয়েকটি উপাদান। শক্তির দিক থেকে এক কাপ আইসক্রিমে থাকে প্রায় ২০০ কিলো ক্যালোরি, প্রোটিন পাওয়া যায় ৪ গ্রাম। এ ছাড়া ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লোহা ইত্যাদি খনিজ লবণ। সস্তার আইসক্রিমের জলে থাকে ই-কোলাইয়ের মতো মারাত্মক আন্ত্রিকের জীবাণু, শতকরা ৩৭ ভাগ আইসক্রিমে। তাছাড়া আইসক্রিমে যেসব রং মেশানো হয়— যেমন ডায়মন্ড গ্রিন, কঙ্গো রেড, রোডামিন বি, অরেঞ্জ টু, কেশরি রং— এরা সবই কিন্তু বিষাক্ত রং। এগুলো থেকে শরীরের অপূরণীয় ক্ষতি হয়, বিশেষত শিশুদের। কাজেই সস্তার আইসক্রিম কখনওই দেবেন না শিশুদের।
শেষ কথা হল, গরমে রাস্তাঘাটের পানীয় না খেয়ে বাড়িতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করা জল বেশি করে খান।
গরমে আরেকটি লোভনীয় খাবার হল আইসক্রিম। কি থাকে একটি আইসক্রিমে? দুগ্ধজাত নানা পদার্থ, কর্ন সিরাপ, সুগন্ধি, জল, বাতাস, কখনও কোকো। শতকরা হিসেবে থাকে ১৫ শতাংশ চিনি, ১২ শতাংশ ফ্যাট, ১১ শতাংশ ফ্যাট নয় এমন দুগ্ধজাত পদার্থ, ভিটামিন এ ও অন্যান্য কয়েকটি উপাদান। শক্তির দিক থেকে এক কাপ আইসক্রিমে থাকে প্রায় ২০০ কিলো ক্যালোরি, প্রোটিন পাওয়া যায় ৪ গ্রাম। এ ছাড়া ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লোহা ইত্যাদি খনিজ লবণ। সস্তার আইসক্রিমের জলে থাকে ই-কোলাইয়ের মতো মারাত্মক আন্ত্রিকের জীবাণু, শতকরা ৩৭ ভাগ আইসক্রিমে। তাছাড়া আইসক্রিমে যেসব রং মেশানো হয়— যেমন ডায়মন্ড গ্রিন, কঙ্গো রেড, রোডামিন বি, অরেঞ্জ টু, কেশরি রং— এরা সবই কিন্তু বিষাক্ত রং। এগুলো থেকে শরীরের অপূরণীয় ক্ষতি হয়, বিশেষত শিশুদের। কাজেই সস্তার আইসক্রিম কখনওই দেবেন না শিশুদের।
শেষ কথা হল, গরমে রাস্তাঘাটের পানীয় না খেয়ে বাড়িতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করা জল বেশি করে খান।
* এগুলো কিন্তু ঠিক নয় (Health Tips): ডাঃ অমিতাভ ভট্টাচার্য (Amitava Bhattacharrya), বিশিষ্ট স্বাস্থ্য বিজ্ঞান লেখক। পেশায় কান নাক গলা (ক্যানসার) বিশেষজ্ঞ হলেও মানুষটি আদতে ভীষণ আড্ডাবাজ এবং নাটক প্রাণ। এ পর্যন্ত ছোট বড় মিলিয়ে শতাধিক নাটক লিখেছেন। পরিচালনা করেছেন ৩০টিরও বেশি নাটক। দূরদর্শন এবং আকাশবাণীর অভিনয় পুরস্কার পেয়েছেন। বেলঘরিয়া থিয়েটার আকাডেমি নামে নিজে একটি নাটকের দল পরিচালনা করেন। দে’জ পাবলিশিং থেকে এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৫২। নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রাখেন বছর ভর।