ছবি: প্রতীকী।
মাইটোকনড্রিয়াল রোগটি কী?
মাইটোকনড্রিয়াল রোগ নিরাময়যোগ্য নয়। জন্মের কয়েক দিন বা এমনকি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেও মারাত্মক হয়ে হতে পারে। এমনকি এর ফলে মৃত্যুও হতে পারে। বেশ কিছু পরিবার এই মাইটোকনড্রিয়াল সমস্যার জন্য একাধিক সন্তান হারিয়েছেন। এখন এ ভাবে বাবা-মা এবং দাতার ডিএনএ নিয়ে কৃত্রিম প্রজনন কৌশলের সাফল্য সে সব পরিবারের একটি সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়ার একমাত্র বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মাইটোকনড্রিয়া কেন হয়?
মাইটোকনড্রিয়া হল আমাদের শরীরের প্রায় প্রতিটি কোষের অভ্যন্তরে থাকা ক্ষুদ্র একটি অংশ, যা খাদ্যকে ব্যবহারযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরিত করে। ত্রুটিপূর্ণ মাইটোকনড্রিয়া শরীরকে জ্বালানি দিতে ব্যর্থ হয়, যার ফলে মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ হয় না। পেশীর গঠনও ঠিক মতো হয় না। এর ফলে জন্মের সময় হার্ট ফেলিওরের সম্ভাবনা থাকে। অনেক সময় অন্ধত্বের সমস্যা নিয়েও শিশু জন্ম নেয়।
মাইটোকনড্রিয়া ডোনেশন ট্রিটমেন্ট
এই ধরনের মাইটোকনড্রিয়াল রোগ শুধু মায়ের জিন থেকেই সন্তানের মধ্যে আসে। তাই মাইটোকনড্রিয়া ডোনেশন ট্রিটমেন্ট হল আইভিএফ বা কৃত্রিম প্রজননের একটি পরিবর্তিত রূপ, যা একটি সুস্থ দাতার ডিম্বাণু থেকে মাইটোকনড্রিয়া ব্যবহার করে এটি করা হয়। মাইটোকনড্রিয়া দান করার জন্য দুটি পদ্ধতি রয়েছে, একটি বাবার শুক্রাণু দ্বারা মায়ের ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পরে। অন্যটি নিষিক্ত হওয়ার আগে করা হয়।
প্রসঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, জিনই মানুষকে অনন্য করেছে, শতাধিক স্তন্যপায়ীর জিন বিশ্লেষণে মিলল চমকপ্রদ তথ্য
ভৌতিক উপন্যাস: মিস মোহিনীর মায়া, পর্ব-৫: চেয়ারে বসতে গিয়ে নজর গেল বিছানায়, দেখি সেই পুতুলের সবুজ চোখ দুটো আমাকে দেখছে
নিউ ক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা প্রথম এই চিকিৎসা-পদ্ধতিতে সাফল্যের দাবি করে ব্রিটিশ সরকারের অনুমতি চায়। বহুল আলোচিত-সমালোচিত সেই বিলের নাম ছিল ‘থ্রি-পারসনস বেবি’। বিল শেষ পর্যন্ত হাউস অব কমন্স পর্যন্ত গড়ায়। এমপিদের বলা হয় তাঁরা যেন দলীয় নীতি চিন্তা না করে এই প্রস্তাবের ‘নৈতিক দিক’ বিবেচনা করে ‘বিবেকের’ সাড়ায় এ ভোটে অংশ নেন। পরে ২০১৫ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের আইনপ্রণেতারা এই পদ্ধতি প্রয়োগের অনুমোদন দেন। তবে আইন পাস হলেও শুরুতে যুক্তরাজ্য এই পদ্ধতি প্রয়োগ করেনি। এ পদ্ধতিতে প্রথম শিশুর জন্ম হয় ২০১৬ সালে, যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রে চিকিত্সা নেওয়া জর্ডানের একটি পরিবারে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রথম শিশুর জন্ম হয়।
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-২২: স্টেরয়েড বড় ভয়ঙ্কর ওষুধ?
বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-২২: সামাজিক প্রতিবন্ধকতার দ্বিচারিতা
রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-২: এই প্রথম বার মনে হল জীবন কঠিন হতে চলেছে, তাই মনে মনে প্রস্তুত হতে শুরু করলাম
অজানার সন্ধানে, অঙ্কই ধ্যানজ্ঞান, মোটা বেতনের চাকরি নির্দ্বিধায় ছেড়ে দেন আইআইটি-র শ্রবণ
প্রযুক্তিগতভাবে প্রত্যাবর্তনের একটি ঝুঁকি তো রয়েছে, সেই সঙ্গে কোনও ত্রুটিপূর্ণ মাইটোকনড্রিয়া ব্যবহার করলে পরবর্তীকালে এই ধরনের সমস্যার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়াও সেখান থেকে নানা মাইটোকনড্রিয়াল রোগ ও হতে পারে। তবে যাই হোক না কেন, মাইটোকনড্রিয়া ডোনেশন ট্রিটমেন্ট আগামী দিনে কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে সুস্থ সন্তান জন্মানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি নতুন দিশা দেখাতে পারে।