ছবি প্রতীকী।
সম্প্রতি রায়ুমুখের ক্যানসারের ঝুঁকি নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেই গবেষণাপত্র উল্লেখ করা হয়েছে, স্নায়ু এবং মানসিক সমস্যার সঙ্গে যুক্ত মনোরোগে ভোগা মহিলাদের জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, নিয়মিত চিকিৎসা বা পর্যবেক্ষণে উদাসীনতা।
সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের গবেষকদের কথায়, নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসার মাধ্যমেই জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। এই গবেষণায় ৪০ লক্ষ মহিলার উপর পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল যাঁদের জন্ম ১৯৪০ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে। দেখা গিয়েছে, মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত অনেক মহিলার শরীরেই জরায়ুমুখের ক্যানসারের লক্ষণ দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
বিধানে বেদ-আয়ুর্বেদ: আধুনিক আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় সায়াটিকার অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব
দুধ না মধু? চ্যবনপ্রাশের সঙ্গে কী খেলে বেশি উপকার মিলবে
গবেষক দলের সদস্য কেইজা হু বলেন, “দেখা গিয়েছে, একটা নির্দিষ্ট বয়েসের পরে মহিলাদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। বিশেষত যাঁরা মানসিক সমস্যায় ভোগেন তাঁদের আরও বেশি পর্যবেক্ষণে থাকা উচিত। কারণ, এঁরা নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা মনে রাখতেই পারেন না। এমনই, তাঁদের ব্যক্তিগত ভালো-মন্দের দিকেও কোনও খেয়াল থাকে না।”
আরও পড়ুন:
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-২৯: সুরের আকাশে ঘটালে তুমি স্বপ্নের ‘শাপমোচন’
মনের আয়না: হস্তমৈথুন স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, অযথা উদ্বিগ্ন হবেন না—মত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের
গবেষকরা আরও দুটি বিষয়ের কথা বলেছেন, যার জন্য এই ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। সেই দুটি বিষয় হল—এক, ধূমপান। অন্যটি হল জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধ। ধূমপান এবং জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধ অনিয়ন্ত্রিত হারে ব্যবহারের জন্যে জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন। যদিও নিশ্চিত হতে গেলে এ বিষয়ে আরও গবেষণার দরকার বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।