মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে সাধের অনেক খাবারই জীবন থেকে বর্জন করে দিতে হয়। আর সেগুলি যদি আমরা না মানি তাহলে অনিবার্য গাঁটের ব্যথা সারা জীবনের জন্য সঙ্গী! পাঁঠার মাংস থেকে মসুর ডাল— বর্জনের তালিকাটা খুব ছোট নয় শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে! কিন্তু এর মানে কি আজীবন ওষুধ খেয়ে যেতে হবে? কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, তার আদৌ কোন দরকার নেই। ঘরোয়া কিছু উপায় মেনে চললেই সারতে পারে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা।
 

কী করবেন?

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা কমাতে রোজ অন্তত ৪৫ মিনিট শরীরচর্চা করুন। এর পাশাপাশি সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল খান। আপনার প্রতিদিনের ডায়েট থেকে গম, ডাল ও মটরশুঁটি বাদ রাখুন। রাতে ভারী খাবার খওয়া ছেড়ে দিন। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমলা, জাম ইত্যাদি সাইট্রাসজাতীয় ফল প্রচুর পরিমাণে খান। কোনও রকমের মানসিক চাপ বা উদ্বেগকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন রাতে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা করে ঠিকমতো ঘুমোন। এইগুলি মেনে চলার পাশাপাশি আপনার ইউরিক অ্যাসিড কমানোর মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে গুলঞ্চ। আয়ুর্বেদের মতে, ইউরিক অ্যাসিড কমানোর এর চেয়ে ভালো ওষুধ আর হয় না।

আরও পড়ুন:

নিয়মিত রোজ তিন বেলা এক গ্লাস করে গরম জল খাচ্ছেন? এর ফলে শরীরে কী হচ্ছে জানেন?

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৯: ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—ওড়া, কেওড়া, চাক কেওড়া ও কৃপাল

 

কী ভাবে খাবেন এই গুলঞ্চ?

বাড়িতে গুলঞ্চ গাছ থাকলে তার পাতা এবং কিছু ডাল কেটে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে এগুলি গুঁড়িয়ে নিয়ে ১ গ্লাস জলে সিদ্ধ করুন। ফুটতে ফুটতে জলের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গেলে ছেঁকে তা পান করুন। এই ভাবে খেতে না চাইলে গুলঞ্চের রস কিংবা গুলঞ্চ গুঁড়ো করেও খেতে পারেন।


Skip to content