বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী।

অনেকেই শরীর খারাপ হলে ডাক্তারবাবুর কাছে যাওয়া আগে চেনা-জানা ওষুধের উপর ভরসা রাখেন। এর জন্য আমরা অনেকেই আগে থেকে কিছু জরুরি ওষুধপত্র বাড়িতে কিনে রেখে দিই। প্যারাসিটামল, অ্যামোক্সিলিন এর মতো ওষুধ তো প্রায় সবারই বাড়িতে থাকে।

একগুচ্ছ ওষুধের দাম বাড়ছে। ১ এপ্রিল, শনিবার থেকে তা কার্যকর হচ্ছে। আগের চেয়ে প্রায় ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ওষুধের দাম। ১ এপ্রিল থেকে ওষুধের দামে ১২.১২১৮ শতাংশ বৃদ্ধিতে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ) সবুজ সঙ্কত দিয়েছে।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের কথায়, ১২ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি এক বছরের হিসাবে সর্বোচ্চ। মূলত যে সব ওষুধ দাম নিয়ন্ত্রণের তালিকার মধ্যে পড়ে, সে সবেরই দাম বৃদ্ধি হচ্ছে। এনপিপিএ-র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমপক্ষে ৮০০টি জরুরি ওষুধের পাইকারি মূল্যকে প্রভাবিত করবে এই দাম বৃদ্ধি।

১ এপ্রিল থেকে যে সব ওষুধের দাম বেড়ে যাচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে আইসোফ্লুরেন, হ্যালোথেন, নাইট্রস অক্সাইড, কেটামাইন, আইবুপ্রোফেন, বেনজিলপেনিসিলিন, মেফেনামিক অ্যাসিড, ডাইক্লোফেনাক।

অ্যামোক্সিলিন, প্যারাসিটামল, মরফিন, অ্যামপিসিলিন ট্যাবলেটেরও দাম বাড়ছে। অল্প হলেও দাম ব্রিদ্দি হচ্ছে সেফাড্রক্সিল, সেফাজোলিন, সেফট্রিঅ্যাক্সোম, বুদেসোনাইডের। কোভিডের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, এমন ওষুধের দামও বেড়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:

চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-১৩: বাইগা বস্তি হয়ে ভোরামদেব মন্দির

গাড়ি রাখলে প্রতি ঘণ্টায় গুনতে হবে বাড়তি টাকা, কলকাতায় শনিবার থেকেই বৃদ্ধি পার্কিং ফি, কোন গাড়িতে কত?

এনপিপিএ-র মূল্যবৃদ্ধির যে তালিকায় প্রকাশ করেছে, সেখানে বেডাকিলিন, অ্যামিকাসিন, ক্ল্যারিথ্রোমাইসিনের মতো যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধকারী ওষুধও রয়েছে। ছত্রাকঘটিত রোগের চিকিৎসায় লাগে যেমন ফ্লুকোনাজোল, ক্লোট্রিমেজোল, মিউপিরোসিন প্রভৃতি অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধেরও ১ এপ্রিল থেকে দাম বাড়ছে।

দাম বাড়ছে এডসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যাবাকাভির, লামিভুডাইন, জিডোভুডাইন, এফাভিরেঞ্জ প্রভৃতি ওষুধেরও। গ্যাসের ওষুধ, ওআরএস, ল্যাকটুলোজ, বিসাকোডাইল দামি হচ্ছে।
আরও পড়ুন:

রোজদিন অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন? অভ্যাস বদলে সকাল উঠবেন কী করে

শাশ্বতী রামায়ণী, শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব-৪১: চরৈবেতি—গভীর বনপথে জীবন বহমান

এনপিপিএ-র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জন্মনিরোধক বড়ি, বিভিন্ন হরমোনের ওষুধ এবং হেপাটাইটিস বি, র্যা বিস প্রভৃতি ভ্যাকসিনেরও দাম বাড়ছে। চর্মরোগ প্রতিরোধকারী কয়েকটি ওষুধের ক্ষেত্রেও বেশি টাকা গুনতে হবে। স্নায়ুর রোগের ওষুধের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে।

আগের চেয়ে কিছুটা দামি হচ্ছে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত কুইনাইন, প্রিম্যাকুইন, আর্টেসুনেট, ক্লোরোকুইন, আর্টেমেথার প্রভৃতি ওষুধ। আগের থেকে দাম বাড়ছে অ্যানিমিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ যেমন ফোলিক অ্যাসিড, আয়রন সুক্রোজ, হাইড্রক্সোকোবালামিনের প্রভৃতির। ক্যানসারের চিকিৎসায় লাগে যেমন, ক্যালসিয়াম ফোলিনেট, অ্যাকটিনোমিসিন ডি, ফ্লুরোউরাসিল, আর্সেনিক ট্রাইঅক্সাইড এর মতো ওষুধও মহার্ঘ হচ্ছে।

Skip to content