রোগী ভর্তি করলে নিজেই পাখা নিয়ে আসুন! প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে পোস্টার ঘিরে শোরগোল ক্ষীরপাইয়ে

হাসপাতালে রোগী ভর্তি করাতে এলে পরিবারের সদস্যদের অবশ্যই সঙ্গে করে পাখা নিয়ে আসতে হবে! তীব্র গরমের জেরে এমন নির্দেশ দিয়ে পোস্টার পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের ক্ষীরপাই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে। সেই পোস্টারে লেখা আছে, ‘‘ক্ষীরপাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের করুণ দশা। রোগী ভর্তি করিতে আসিলে সঙ্গে করে পাখা বা ফ্যান আনিবেন।’’

এরকম একটি পোস্টারকে ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। যদিও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, হাসপাতালের পক্ষ থেকে এরকম কোনও পোস্টার লাগানো হয়নি। কে বা কারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তার খোঁজ শুরু করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, ‘‘৬০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটির মাথায় টিনের চাল রয়েছে। পাখাও রয়েছে। তবে তীব্র গরমের জন্য পাখার বাতাস যথেষ্ট নয় বলে মনে হতেই পারে। কোন কোন জায়গায় আরও পাখা লাগানোর দরকার আছে কিনা তা দেখে সেখানে পাখা লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

এদিকে, রোগীর পরিজনেরা ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত পাখার ব্যবস্থা না করার অভিযোগ এনেছেন। রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, এই হাসপাতালে সব জায়গায় ঠিক মতো পাখা নেই। ফলে রোগীরা গরমে হাঁসফাঁস করছেন। পরিস্থিতি এমনই যে, রোগীর পরিবারকে বাড়ি থেকে পাখা এনে কাজ চালাতে হচ্ছে।’’ রোগীর আত্মীয়রা দাবি করেছেন, অসহনীয় গরমের জেরেই ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালের এই বেহাল পরিস্থিতি প্রকাশ্যে এসেছে।

এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের ব্লক মেডিক্যাল অফিসার (বিএমওএইচ) নিরঞ্জন কুতি জানান, ‘‘হাসপাতালের সব পাখাই ঘুরছে। অতিরিক্ত পাখা লাগানো যায় কিনা তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে ওই পোস্টার নিয়ে আমার কিছু জানা নেই।’’

চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারীর কথায়, ‘‘এ বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ জানাননি। তবে বিষয়টি শুনেছি। হাসপাতালে রোগীদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় বিএমওএইচকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দ্রুত পাখার ব্যবস্থা করতে।’’