ছবি প্রতীকী
গত ৪ জুন ভিঝিনজামের এলএমএসএলপি প্রাথমিক স্কুলের কিছু পড়ুয়া হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে এই নোরোভাইরাসের হদিশ মিলেছে দু’জনের শরীরে। সম্ভবত মিড ডে মিলের খাবার খেয়েই পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে অনুমান। তবে নতুন নয়, এই ভাইরাসে সংক্রমণের ঘটনা ২০২১ সালেও হয়েছিল।
উপসর্গ কী?
এই সংক্রমণে ভুগলে সাধারণত গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা হয়। এর জেরে প্রদাহ হয় অন্ত্রে। ফলস্বরূপ শুরু হয় বমি ও ডায়ারিয়া। এছাড়াও মাথা ব্যথা, জ্বর, শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হতে পারে।
কাদের ঝুঁকি বেশি?
নোরোভাইরাসে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে। তাই আগাম সতর্ক না হলে শিশু হোক বা বয়স্ক উভয়ের শরীরেই মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে এই ভাইরাস।
অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে?
সরকাররে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নোরোভাইরাসে সংক্রমিত কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে জল ও খাবারের মাধ্যমেও। পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির মল ও বমি থেকেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।
নোরোভাইরাসের কারণ
রোগের কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি, সে কারণে এর সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়েও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। আপাতত করোনার মতো এক্ষেত্রেও পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।