বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫


জ্যাসমিন ডেভিড (বাঁদিকে)

এখনকার দিনে মহিলাদের স্তন ক্যানসার বেশ পরিচিত একটি শব্দ। যদিও অনেক মহিলা লোকলজ্জার জন্য এই রোগ গোপন করে থাকেন। এর ফলে দেখা দেয় সমস্যা। সারা বিশ্বে ক্যানসারের নানা রকম চিকিৎসাপদ্ধতি নিয়ে গবেষণা, ট্রায়াল চলছে। এর মধ্যেই লন্ডনের বিজ্ঞানীরা এক নতুন আলোর দিশা দেখিয়েছেন, যা কার্যকরী হলে ক্যানসার নিরাময়ে নতুন মাইলফলক তৈরি হবে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত জ্যাসমিন ডেভিডের বয়স ৫১ বছর। তাঁর স্তন ক্যানসার অ্যাডভান্স স্টেজে পৌঁছে গিয়েছিল। তিনি কর্মসূত্রে সপরিবারে লন্ডনে থাকেন। তাঁর ব্রেস্ট ক্যানসার ধরা পড়ে ২০১৭ সালে। স্তনবৃন্তে টিউমার বাসা বেঁধেছিল। সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ল এই মারণ রোগ। দু’ বছরের মধ্যেই ফুসফুস, লিম্ফ নোডেও ছড়িয়ে পড়েছিল ক্যানসার। এই দু’ বছর টানা রেডিওথেরাপি করা হয়। কিন্তু তাতে শরীরে আরও নানা রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করেছিল। ডেভিডের ক্রমশ বাঁচার আশা যখন ফুরিয়ে আসছে, তখনই আশার আলো দেখালেন ম্যাঞ্চেস্টারের ক্রিস্টি হাসপাতালের একদল গবেষক। ওই হসপিটালের অনকোলজিস্ট, গবেষকরা একটি ড্রাগ ট্রায়ালে রাখেন মহিলাকে। ওই মহিলার শরীরে ইমিউনোথেরাপি ড্রাগ ট্রায়ালে ওষুধের টেস্ট করানো হয়। ইমিউনোথেরাপি ড্রাগের সঙ্গে অ্যাটেজোলিজুমাব নামে বিশেষ ধরনের ওষুধ দেওয়া হয় তাঁকে। আর তাতেই ম্যাজিক, ধীরে ধীরে ক্যানসার কোষগুলি মিলিয়ে যেতে থাকে। গবেষকদের রিপোর্ট বলছে, ডেভিডের স্তন ক্যানসার পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে।
গবেষকদের কথায়, এই ধরনের রোগীকে ইমিউনোথেরাপি ড্রাগ ওষুধের মতো খাওয়ানো যায়, যা টিউমার কোষের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম হয়। শরীরে ঘাতক ‘টি-কোষ’ বা ‘সাইটোটক্সিক টি-লিম্ফোসাইট’ কোষ সক্রিয় হয়ে ওঠে ইমিউনোথেরাপির সাহায্যে। ইমিউনোথেরাপি পদ্ধতিতে দ্রুত ও যন্ত্রণাহীনভাবে এই মারণ রোগের চিকিৎসা সম্ভব। ক্যানসার কোষ নষ্ট করার জন্য কেমো দেওয়ার দরকার পড়ে না।

Skip to content