ছবি: প্রতীকী।
কেউ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হলে তাঁর জীবনযাপনে পরিমিত খাওয়াদাওয়া, নিয়ম করে ওষুধ খাওয়া, মিষ্টিজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা—এই নিয়মগুলির নতুন করে সংযোজন হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেলেই নানা বিধিনিষেধ আমাদের মেনে চলতেই হয়। বদলে যায় নিত্যদিনের রুটিন। কারণ, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেকারণেই চিকিৎসকেরা সর্বদা সতর্ক থাকতে বলেন।
নিয়মিত শরীরচর্চা হলে ডায়াবেটিকদের সুস্থ থাকার চাবিকাঠি। রোজদিন নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করলে সুস্থ থাকা সম্ভব। অনেকে মনে করেন শরীরচর্চা মানে জিমে ঘাম ঝরানো। সেটা কেউ করতে পারলে ভালো। ডায়াবিটিস ধরা পড়লে বলে জিমে যেতেই হবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে রোজদিন নিয়ম মেনে হাঁটা কিন্তু জরুরি। নিয়মিত হাঁটাহাঁটির অনেক সুফল পাওয়া যায়। ডায়াবিটিসে ভুগলে নিয়মিত হাঁটলে অচিরেই শর্করার মাত্রা কমবে।
আরও পড়ুন:
মাধুরী দীক্ষিতের রেশমের মতো চুলের রহস্য কি? সেই তেল কিন্তু বাড়িতেই বানাতে পারেন
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১৬: ‘ও হানসিনি, মেরি হানসিনি কাঁহা উড় চলি’—কিশোর-পঞ্চম ম্যাজিক চলছেই
প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করলে ডায়াবেটিকরা অবশ্যই সুফল পাবেন। অন্তত ১০ হাজার পা হাঁটলে শুধু ডায়াবিটিস কেন, সঙ্গে আরও অনেক অসুস্থতার আশঙ্কা কমবে। তবে দশ হাজার পা হাঁটা সবার পক্ষে ততটা সহজ নয়। যদি হাঁটাহাঁটির বিষয়টি অভ্যাসের ব্যাপার। এক দিনে সম্ভব নয়, রোজ হাঁটতে শুরু করলে ধীরে ধীরে লক্ষ্যে পৌঁছনো যাবে।
আরও পড়ুন:
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১: সুন্দরবনের শেকড়ের খোঁজে
বাস্তুবিজ্ঞান, পর্ব-২০: বাড়িতে ঠাকুর প্রতিষ্ঠা করতে চান? কোন দিকে দেবদেবীদের রাখা শাস্ত্রসম্মত?
চিকিৎসকদের বক্তব্য, একদম শুরুতে চেষ্টা করতে হবে ৫ হাজার পা হাঁটাহাঁটি করা। কারও কারও মনে হতে পারে, এতক্ষণ হাঁটলে অফিস যাবেন কখন। ৫ হাজার সকালেই হাঁটতে হবে এমন কোনও মানে নেই। বরং আপনার সুবিধা মতো তিনটি সময় ভাগ করে নিন। যেমন সকালে ১০ মিনিট, বিকালে ১০ মিনিট হাঁটুন, আর রাতে খাওয়াদাওয়ার পর ১৫ মিনিট হাঁটলেই যথেষ্ট।
এই রোজদিন নিয়ম করে হাঁটার অভ্যাসে আমাদের হাড়ের নানান সমস্যার ঝুঁকিও কমাবে। ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম না হলে খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথাই নয়। মনে রাখবেন, নিয়মিত হাঁটাহাঁটির গুণে সু্স্থ এবং রোগমুক্ত থাকবে আমাদের শরীর।
এই রোজদিন নিয়ম করে হাঁটার অভ্যাসে আমাদের হাড়ের নানান সমস্যার ঝুঁকিও কমাবে। ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম না হলে খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথাই নয়। মনে রাখবেন, নিয়মিত হাঁটাহাঁটির গুণে সু্স্থ এবং রোগমুক্ত থাকবে আমাদের শরীর।