রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।

২০১৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষার রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে যে, পাঁচ বছরের নীচে প্রতি এক হাজার জন শিশুর মধ্যে ৩০ জন শিশু আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। ২০১৭ সালে সেই সংখ্যাটা আরও বেড়ে হয়েছে প্রতি হাজারে ৫০ জন। শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, অপরিণত শিশু অর্থা ৩৭ সপ্তাহের আগে জন্মগ্রহণ করলে তার শ্রবণ ক্ষমতা ক্ষতি হতে পারে। অনেক সময় দেরিতে বিয়ে করা অথবা বেশি বয়সে সন্তান ধারণ কিংবা সন্তানসম্ভবা মহিলার অত্যধিক কাজের চাপের কারণেই অপরিণত শিশুরা জন্মাচ্ছে বলে তাঁদের মত। অনেক সময় এই বিসয়গুলি শিশুর শ্রবণশক্তির ওপরও খারাপ প্রভাব ফেলে। শিশু চিকিৎসকদের মতে, শ্বাস-প্রশ্বাসের ত্রুটির কারণে সদ্যোজাত ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরেও কাঁদে না। ফলে তাদের শ্রবণযন্ত্র ক্ষতি হয়। এমনকী, শিশুর যদি জন্মাবস্থায় ম্যানেনজাইটিস বা জন্ডিস হয়ে থাকে তাহলেও শ্রবণশক্তির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। স্বাস্থ্য দপ্তরের খবর, রাজ্যে একমাত্র এসএসকেএম হাসপাতালেই সদ্যজাত এবং শিশুদের এই চিকিৎসার পরিকাঠামো রয়েছে। এখানে ২০০৩ সাল থেকে সদ্যোজাতের শ্রবণ শক্তি পরীক্ষা করা হয়। বিভিন্ন ধরনের থেরাপি ট্রেনিং এবং শ্রবণযন্ত্র দিয়েও চিকিৎসা করা হয়। এতে সাড়া না মিললে ককলিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়। বেসরকারি সংস্থায় ককলিয়া বসানোর খরচ কমবেশি দশ লক্ষ টাকার মতো। এসএসকেএম হাসপাতালে অনেক বাচ্চার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। শব্দদূষণ, শিশুদের অত্যধিক মোবাইলের ব্যবহার, সচেতনতার অভাবের জন্য ভবিষ্যতে শিশুদের কানে না শোনার এই সমস্যা আরও বড় আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেক চিকিৎসকরা।

Skip to content