শনিবার ৯ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

এখনও কোভিড আতঙ্ক কাটেনি। এরই মাঝে ফের নতুন ভাইরাসের সন্ধান চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসক মহলকে। কেন? পৃথিবীর বুকে আবার আছড়ে পড়তে পারে অতিমারি। সেই অতিমারি নাকি করোনার থেকে ৭ গুণ বেশি প্রাণঘাতী হতে পারে। এই মারাত্মক ভাইরাসকে ‘ডিজিস এক্স’ বলে নামে সম্মোধন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দফতর (হু)। যদি অদূর ভবিষ্যতে এই অসুখ আছড়ে পড়ে তাহলে বিশ্ব আরও বড় অতিমারির সাক্ষী হতে পারে। সেই সঙ্গে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ প্রাণ হারাতে পারেন বলে জানানো হয়েছে।
আশঙ্কা, এই রোগ কোভিডের থেকেও মারাত্মক ভাবে মানব শরীরে আঘাত হানতে পারে। করোনার তুলনায় অনেক বেশি ভয়ানক প্রাণঘাতী অসুখ নিয়ে এ বার সতর্কতা জারি করা হল ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। হু-এর রিপোর্ট বলছে, বিশ্বে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ কোভিড সঙ্ক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন:

বাংলার বাঘ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের নাতি শিবতোষ মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন প্রকৃত অর্থেই একজন প্রাণিবিদ্যার বাঘ

১০ দিন ধরে অভিনেত্রী শয্যাশায়ী, হঠাৎ কী হল জিনাত আমনের?

সম্প্রতি ব্রিটেনের ভ্যাকসিন টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডেম কেট বিংহাম জানিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ব আরও বড়সড় অতিমারির সাক্ষী হতে পারে। সেই অতিমারির প্রভাবে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ প্রাণ হারাতে পারেন।

ডিজিজ এক্সের জেরে করোনার থেকে প্রায় সাত গুণ বেশি মৃত্যু এবং ভয়াবহতা দেখতে পাবে বিশ্ব। হু’র মতে, ‘ডিজিজ এক্স’ কথাটির অর্থ, অতিমারি ঘটাতে পারে এমন একটি রোগ বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু রোগটির প্যাথোজেন মানব দেহে কী ভাবে ক্ষতি করতে পারে, সে সম্পর্কে জানা যায়নি। ডেম কেট বিংহামের কথায়, ‘‘আপাতত ২৫টি ভাইরাসের পরিবারকে বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করছেন। এগুলির প্রতিটিতেই হাজার হাজার পৃথক ভাইরাস আছে। এগুলির মধ্যে কোনও একটি মারাত্মক অতিমারিতে রূপান্তরিত হতেই পারে।’’
আরও পড়ুন:

অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-8: চলতি কা নাম কিশোর

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৯: খাবারে একদম মশলা নয়?

ইতিমধ্যেই ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা এই একেবারেই আজানা ‘ডিজিজ় এক্স’-এর জন্য টিকা তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। টিকে তৈরির এই প্রকল্পের সঙ্গে ২০০ জনেরও বেশি বিজ্ঞানী জড়িত আছেন। উইল্টশায়ারের হাই সিকিউরিটি পোর্টন ডাউন ল্যাবরেটরি কমপ্লেক্সে এই গবেষণার কাজ চলছে। বিজ্ঞানীরা মূলত যে সব ভাইরাস পশুর শরীর থেকে দ্রুত মানব শরীরে ছড়িয়ে অতিমারি তৈরি করতে পারে সেইগুলির উপরেই গবেষণা করছেন। সেগুলির মধ্যে মাঙ্কি ভাইরাস, বার্ড ফ্লু, হান্টা ভাইরাস অন্যতম বলে জানা গিয়েছে।

Skip to content