শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী।

বাড়বাড়ন্ত পরিস্থিতি এইচ৩এন২ ভাইরাসের। মূলত বয়স্করা যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁদের সতর্ক থাকতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁদের জনবহুল এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

এক সাক্ষাৎকারে এমসের প্রাক্তন প্রধান চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, ‘‘প্রতি বছরই এইচ৩এন২ ভাইরাস রূপ পরিবর্তন করে ফিরে আসে। মুশকিল হল হাঁচি-কাশির মাধ্যমে রোগীর শরীর থেকে খুব সহজেই এই ভাইরাস অন্যের শরীরে বাসা বাঁধে।’’
এইচ৩এন২ ভাইরাসের জন্যে যে ফ্লু হয়, তাকে ‘হংকং ফ্লু’ বলা হয়। জ্বরের সঙ্গে কাশি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক থেকে জল পড়া, মাথাব্যথা এবং গলাব্যথার মতো উপসর্গ হাজির হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ডায়েরিয়া, বমি, সারা শরীরে যন্ত্রণাও হয়। সমস্যা হল, বাকি উপসর্গ তিন চারদিনের মধ্যে কমতে শুরু করলেও ১৫ দিনের বেশি সময় লাগছে কাশির সমস্যা সারতে।
আরও পড়ুন:

দিন কয়েকের মধ্যেই কালবৈশাখী! কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গ-সহ উত্তরবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস

অমিতাভের সঙ্গে কাজ করতে রাজি হওয়ায় অনেকেই জয়াকে ‘উন্মাদ’ বলেছিলেন!

প্রাক্তন প্রধান চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, ‘‘এমন পরিস্থিতি বয়স্কদের ভীষণ সতর্ক থাকতে হবে। যাঁদের শ্বাসকষ্ট ও হার্টের সমস্যা রয়েছে বা কিডনির রোগ রয়েছে, তাঁদের বাইরে বেরোলে সতর্ক হতে হবে। যথা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে ভিড়।

এইচ১এন১ ভাইরাস আমাদের দেশে অনেক আগে মহামারির আকার ধারণ করেছিল। সেই ভাইরাস রূপ বদলে এইচ৩এন২ উপরূপ নিয়েছে। মুশকিল হল এইচ৩এন২ ভাইরাসটি যত রূপ বদল করছে ততই এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমছে। বেড়ে যাচ্ছে সংক্রমণের প্রবণতাও। ফলে সচেতন না হলে এই রোগ আরও ছড়িয়ে পড়বে।’’
আরও পড়ুন:

হেলদি ডায়েট: রোজ টক দই খাচ্ছেন? খাওয়ার আগে কোন বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখবেন

হঠাৎ পায়ে ঝিঝি ধরেছে? কী ভাবে ছাড়াবেন? রইল ঘরোয়া টোটকা

ঠিক কী কী কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? রণদীপ বলেন, ‘‘ঋতু পরিবর্তনের সময় এই এইচ৩এন২ ভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এখন কোভিডের প্রকোপ তেমন নেই। ফলে আমরা এবার মাস্ক পরা ভুলেছি। ফলে এইচ৩এন২ ভাইরাস খুব সহজেই শরীরে বাসা বাঁধছে। মনে রাখতে হবে, হাত পরিষ্কারের জন্য জল ও সাবানের বিকল্প নেই। তবে কোথাও জল বা সাবানের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে ভরসা রাখতে হবে স্যানিটাইজারের উপর। সংক্রমণ এড়াতে হাত না ধুয়ে শুধু খাবার খাওয়াই নয়, স্পর্শ করা যাবে না চোখ-মুখ বা নাকও।’’

Skip to content