বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

ডায়াবিটিস ধরা পড়লে জীবনে নানা বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। দৈনন্দিন জীবনযাপন থেকে খাওয়াদাওয়া সব কিছুতেই কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হয়। কারণ, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকে আরও অনেক সমস্যা এসে হাজির দেয়। সে কারণে সব সময় সাবধান থাকা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, শর্করার মাত্রা বিপদসীমা পেরলে তার প্রভাব কিডনিতেও প্রভাব পড়তে পারে। তাই ডায়াবিটিস ধরা পড়লে সচেতন এবং সাবধান হওয়া ভীষণ জরুরি। এছাড়াও ডায়াবিটিস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হবে। তবে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললেও ভালো উপকার পাওয়া যাবে।
 

রোজকার ডায়েটে পাতে কী কী রাখবেন?

আমলকি

রক্তে শর্করার হার কমানোর একটি সেরা অস্ত্র হল ঘরোয়া উপায়ে আমলকির রস খাওয়া। আমলকিতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ডায়াবেটিকদের সুস্থ থাকতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তাই শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ওষুধের সঙ্গে আরও একটি ভালো পথ্য হতে পারে এই আমলকি।
 

জাম

মুশকিল হল ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হলে অনেক ফলই বাতিলের খাতায় চলে যায়। কারণ এমন অনেক ফলে আছে যাদের ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ (জিআই) অনেক বেশি। তবে ডায়াবেটিকরা চোখ বন্ধ করে যেটা খেতে পারেন সেটি হল জাম। ডায়াবিটিসে ভুগলে জাম খেলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশেষত জামের বীজ যদি গুঁড়ো করে জলে মিশিয়ে খালি পেটে খাওয়া যায় তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

আরও পড়ুন:

ডায়াবিটিসে ভুগছেন? রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম অবস্থা? এই ৩ ভেষজে ভরসা রাখতে পারেন

শম্ভু, শম্ভু, শিব মহাদেব শম্ভু, খুদার ইবাদত যাঁর গলায় তাঁর আর কাকে ভয়?

 

করলা

ডায়াবেটিসে ভুগলে করলা নিয়মিত পাতে রাখা জরুরি। করলাতে চ্যারিটিন এবং মোমোরডিসিন নামক দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। এই দুই উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। অনেকেই আছে যাঁরা ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য খালি পেটে করলার রস খান। তবে ভাতের সঙ্গেও করলা সেদ্ধ খেলেও উপকার মিলবে।

আরও পড়ুন:

তোমার ঋতুচক্রের তারিখ কবে? জানতে চেয়েছিলেন অনুরাগ! কেন? জানালেন ‘লাস্ট স্টোরিজ ২’ এর অভিনেত্রী অম্রুতা সুভাষ

ইতিহাস কথা কও, কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-১: রাজবাড়ির ইতিকথা—ইতিহাসের অন্তরে ইতিহাস

 

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার

রাতভর খালি পেটে থাকার জন্য ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীদের দেহে সকালে শর্করার মাত্রা কিছুটা হলেও বেশি থাকে। সে কারণে রাতে ঘুমনোর আগে দু’চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খেলে আর এই সমস্যা হবে না।
 

আদা

ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে আদাও খুবই উপকারী। এর বহুমুখী গুণ রয়েছে। এই আনাজ আমাদের দেহের শর্করার মাত্রা কমিয়ে ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। যদিও কেবল রান্নায় আদা খেলে হবে না, সঙ্গে আদা-চা খেতে হবে। তাহলে সুফল পাবেন।


Skip to content