ডায়াবিটিসে ভুগলে জীবনে কী কী বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়, সে কথা অনেকেরই জানা। এখন আমের মরসুম। এমন সময়ে এই লোভনীয় ফলকে এড়িয়ে চলা মুশকিল। একদিকে ডায়াবেটিসে সাধারণ ভাবে আম খেতে না বলা হয়। সেই ভয়ে অনেকেই পাতে আম রাখছেন না। কিন্তু সত্যিই কি ডায়াবিটিসে ভুগলে আম খাওয়া একদমই বারণ?
চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবিটিস থাকলেও আম খেতে বাধা নেই। তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। তার পরেও ঝুঁকি থেকেই যায়। কারণ আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম নয়। সে কারণ আম যদি খেতেই হয় তাহলে কিছু নিয়মও মেনে চলতে হবে। কী সেই নিয়ম?
পর্যাপ্ত পরিমাণ জলপান
● খেয়াল রাখতে হবে ডায়াবেটিকদের শরীরে যেন আর্দ্রতার পরিমাণ না কমে যায়। তাহলে শরীরে ডায়াবিটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এই আশঙ্কা গ্রীষ্মকালে চবচেয়ে বেশি থাকে। সেই সঙ্গে অনিয়ম করলেও এই সমস্যা উপস্থিত হতে পারে। তাই আম খেতে ইচ্ছে করলে জলও প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।
সঠিক ডায়েট
● আমের মরসুম আমকে পাতে রাখতে হলে নিত্য দিনের অন্যান্য খাবারে রাশ টানতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, এমন খাবার পাতে রাখা ঠিক হবে না যাতে কার্বোহাইড্রেট এবং জিআই-এর পরিমাণ বেশি থাকে। যেমন যে দিন আম খাচ্ছেন, পরবর্তী দু’দিন কোনও রকম মিষ্টি খাবার না খাওয়া উচিত নয়।
ধারাবাহিক শরীরচর্চা
● শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। ডায়াবিটিসে ভুগলে শরীরচর্চা বাধ্যতামূলক। সারা দিনে অন্তত কয়েক মিনিটের শরীরচর্চায় ডায়াবিটিসের মাত্রাকে বশে রাখা যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পরেও আম খেলে অবশ্যই হাঁটাহাঁটি বা শরীরচর্চা করতেই হবে।