রবিবার ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫


ছবি প্রতীকী

একটি বয়সের পর শরীরের বিপাকহার তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই কমে যায়। তাই ঝট করে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। ওজন বেশি হয়ে গেলে শরীরের অনেক অঙ্গের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। গাঁটে ব্যথাও হতে পারে। হৃদরোগ এবং কিডনির সমস্যার প্রবণতা তৈরি হতে পারে। তাই বয়স ৫০ পেরিয়ে গেলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বয়স বাড়লে শরীরচর্চা করতে ইচ্ছা হয় না। তাই ওজন বেড়ে যেতে বেশি সময় লাগে না। কিন্তু আমরা সকলেই জানি যে ওজনই আদতে সব রোগের মূলে। তাই এই বয়সে ওজনকে বাগে আনতে খাওয়াদাওয়ায় ওপর নজর দিতে হবে। কী কী খাওয়া যাবে না, সেই বিষয়ে ধারণা থাকলেও কোন কোন খাবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তা জানেন না অনেকেই।
ফলে পুরুষ ও মহিলা নির্বিশেষে কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হন। এই বয়সে বেশি করে সবুজ শাক-সব্জি, ফলমূল খাওয়ার দিকে নজর দিন। নুন ও চিনি একেবারেই বাদ দিন রোজের খাদ্যতালিকা থেকে।
আরও পড়ুন:

করোনার নতুন উপরূপকে রুখতে দেশবাসীকে মাস্ক পরার আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

বুকে কফ জমে খুব কষ্ট পাচ্ছেন! রেহাই পেতে চুমুক দিন এই পানীয়তে?

 

কী কী রাখবেন আপনার খাবারের তালিকায়?

 

ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার

এই জাতীয় খাবার বিপাকক্রিয়ায় ব্যাপক ভাবে সাহায্য করে। হজমশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি ফাইবার ওজন কমাতে, কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। বিনস, বিভিন্ন শস্য, ব্রাউন রাইস, বেরি জাতীয় ফল ও বাদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে।

শীতের আমেজে ভোরবেলা লেপ ছাড়তে ইচ্ছা করে না? জানেন, কোন ব্যায়ামগুলি বিছানায় বসেই করা যায়?

শীতের আমেজে লোভনীয় কিছু খাওয়ার ইচ্ছা? রেস্তরাঁর মতো ঝটপট বানিয়ে ফেলুন সুখা মরিচ মাটন

 

প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার

প্রোটিন শরীরের পেশি মজবুত করে। অতিরিক্ত চর্বি কমাতেও প্রোটিন অত্যন্ত সহায়ক। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারে থাকা উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। দুগ্ধজাত খাবার, ডিম এবং ফল, সবুজ শাকসব্জির মতো খাবারে প্রচুর প্রোটিন থাকে।
 

ওমেগা-থ্রি সমৃদ্ধ খাবার

পেটের অতিরিক্ত মেদ ও চর্বি কমাতে ওমেগা-৩ জাতীয় খাবার বেশ উপকারী। সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ পাওয়া যায়। এ ছাড়াও আখরোট, চিয়া বীজ, সয়াবিন, সয়াবিন তেলে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ পাওয়া যায়।
তাই ডায়েটে কার্বজাতীয় খাবার কমিয়ে বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখুন।


Skip to content