ছবি প্রতীকী
জন্মাষ্টমীতেই কোলে চাই গোপাল। ভাদ্রপদ কৃষ্ণ অষ্টমীতে সন্তানকে জন্ম দেওয়ার জন্য কলকাতায় অ্যাস্ট্রো সিজারে হুড়োহুড়ি পড়েছে। শুক্রবার দম ফেলার ফুরসত পাননি স্ত্রীবিশেষজ্ঞরা। আগে থেকেই ‘হাউসফুল’ হয়ে গিয়েছিল কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার। খরচের কথা তুড়ি মেরে উড়িয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ রবিবারের ডেলিভারি ডেট এগিয়ে এনেছেন শুক্রবারে। আবার কাউকে ডাক্তারবাবুরা জানিয়ে দিয়েছেন, এ দিন যা চাপ, তাতে তালিকায় আর নতুন নাম জোড়া সম্ভব নয়। তাই অনেকেই চিকিৎসক পর্যন্ত বদলে অন্য চিকিৎসককে দিয়ে সিজার করিয়েছেন। আবদার একটাই, ভাদ্রপদ কৃষ্ণ অষ্টমীতেই জন্ম দিতে হবে সন্তানকে! বহু বেসরকারি হাসপাতালে এদিন গড়ে দেড়-দু’গুণ বেশি সিজারিয়ান ডেলিভারি হয়েছে। যাদবপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে এদিন ফুটফুটে তিন শিশুর জন্ম হয়েছে। এছাড়াও এদিন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের লেবার ওটি-র সামনে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকে প্রবল ব্যস্ততা প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের।
এক ক্লিনিক্যাল ফার্মাকোলজিস্টের কথায়, যদি প্রসূতি এবং সন্তানের কোনও বিপদ না থাকে সেক্ষেত্রে অভিভাবকদের আবদার মানতে কোনও সমস্যা নেই। তবে আমরা কখনওই সিজার ডেলিভারিতে উৎসাহিত করি না। পার্ক স্ট্রিট এলাকার আর এক নামী বেসরকারি হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, ‘রোজই ৬-৭টা করে সিজার হয়। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ১০টা সিজার হয়েছে।
উল্লেখ্য, নির্দিষ্ট সময়ের আগে ও পরে সিজারের বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, প্রেগন্যান্সির চল্লিশ সপ্তাহে শিশুর জন্ম হওয়া স্বাভাবিক। ৩৮ সপ্তাহ পর্যন্ত চিকিৎসকরা তা মেনে নেন। বেশি হেরফের হলেই বিপদ। এছাড়া সময়ের আগে সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে তাঁর মস্তিষ্কের গঠন সম্পূর্ণ হয় না। আবার ধাজ্য সময়ের পরে সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে মায়ের অ্যামনিওটিক ফ্লুইড শুকিয়ে যেতে পারে। এসএসকেএম হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রধান ডাঃ সুভাষচন্দ্র বিশ্বাসের কথায়, জন্মাষ্টমী বলে নয়, বাংলা নববর্ষ, ইংরেজি নিউইয়ারেও অভিভাবকদের আবদার থাকে।
উল্লেখ্য, নির্দিষ্ট সময়ের আগে ও পরে সিজারের বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, প্রেগন্যান্সির চল্লিশ সপ্তাহে শিশুর জন্ম হওয়া স্বাভাবিক। ৩৮ সপ্তাহ পর্যন্ত চিকিৎসকরা তা মেনে নেন। বেশি হেরফের হলেই বিপদ। এছাড়া সময়ের আগে সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে তাঁর মস্তিষ্কের গঠন সম্পূর্ণ হয় না। আবার ধাজ্য সময়ের পরে সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে মায়ের অ্যামনিওটিক ফ্লুইড শুকিয়ে যেতে পারে। এসএসকেএম হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রধান ডাঃ সুভাষচন্দ্র বিশ্বাসের কথায়, জন্মাষ্টমী বলে নয়, বাংলা নববর্ষ, ইংরেজি নিউইয়ারেও অভিভাবকদের আবদার থাকে।