ছবি প্রতীকী
বাড়িতে অনেক দিন আলু জমে গিয়েছে। ফলে তার গায়ে অঙ্কুর গজাতে শুরু করেছে। অনেকে যাকে বলেন, আলুর কল গজানো। কিন্তু এই অঙ্কুর গজানো আলু কি খাওয়া উচিত? কী বলছে বিজ্ঞানের গবেষণা ?
জীববিজ্ঞানীরা বলছেন, আলু গাছ নিজেই চেষ্টা করে, যাতে কোনও পোকা বা জীবাণু আলুর ক্ষতি করতে না পারে। তাই গাছ নিজেই এতে সোলানাইন নামক বিষ উৎপাদন করে। যদিও আমরা যে অবস্থায় আলু খাই, তখনও পর্যন্ত এই সোলানাইন তৈরি হতে শুরু করে না। তাই কোনও ক্ষতি হয় না। কিন্তু যখনই এতে অঙ্কুর গজাতে শুরু করে, তখনই তাতে তৈরি হতে থাকে এই বিষ।
অনেকে আলুর অঙ্কুর কেটে ফেলে দিয়ে বাকিটা রান্না করেন। এটিও একেবারে নিরাপদ নয়। কারণ, সোলানাইন শুধু অঙ্কুরে তৈরি হয় না, গোটা আলুতেই তৈরি হয়। ফলে বাকি আলু পেটে গেলেও শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে।
অনেকে আলুর অঙ্কুর কেটে ফেলে দিয়ে বাকিটা রান্না করেন। এটিও একেবারে নিরাপদ নয়। কারণ, সোলানাইন শুধু অঙ্কুরে তৈরি হয় না, গোটা আলুতেই তৈরি হয়। ফলে বাকি আলু পেটে গেলেও শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন:
আপনার হোটেলের ঘরে কোনও ক্যামেরা লুকনো নেই তো? জানিয়ে দেবে স্মার্টফোনই
জ্যোতির্লিঙ্গ যাত্রাপথে, পর্ব-৪: কাশীর পথে-ঘাটে
এখন আমাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কী হতে পারে এই অঙ্কুর গজানো আলু খেলে? এই আলুতে থাকা সোলানাইন অল্প পরিমাণে শরীরে গেলে বিশেষ সমস্যা হবার কথা নয়। বড় জোর পেটের খুব সামান্য গণ্ডগোল হতে পারে। কিন্তু বেশি পরিমাণে গেলে তা আন্ত্রিকের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। অনেকের মাথাব্যথা পর্যন্ত শুরু হতে পারে। আর এই পরিমাণ যদি খুব বেশি পরিমাণে হয় তাহলে কেউ কোমায় চলে যেতে পারেন। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন:
ডায়াবিটিস বাগে আনতে কোন প্রোটিন খেতেই হবে, আর কী কী এড়াতেই হবে?
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-২৩: মোর সাধের বাসরে ঘটল ‘গৃহ প্রবেশ’
দীর্ঘ দিন ধরে শরীরে সোলানাইন গেলে স্নায়ুর অত্যন্ত ক্ষতি হতে পারে। আপাত ভাবে নিরীহ আলুই হয়ে উঠতে পারে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তবে আলুর মধ্যে এই সোলানাইন উৎপাদন ঠেকিয়ে রাখা খুব কষ্টসাধ্য কোনও কাজ নয়। এ জন্য অন্ধকার এবং ঠান্ডা জায়গায় আলু সংরক্ষণ করতে হয়।