ছবি প্রতীকী
উপসর্গ
মাংসপেশি শুকিয়ে যাওয়া, অনুভূতি কমে যাওয়া, হাত-পা ঝিনঝিন করা, পায়ের শক্তি কমে যাওয়া, হাত ও পায়ের শেষভাগে অনুভূতি কমে যাওয়া, যেমন— অনেকের পা কেটে রক্ত বের হলেও তিনি বুঝতে পারেন না।
কী করণীয়
ডায়াবেটিস ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভালো একজন ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির রোগীদের পেশির ক্ষমতা কিছুটা উন্নত করা সম্ভব। নিয়মিত অনুশীলন নিউরোপ্যাথির ব্যথা হ্রাস করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।
ডায়াবেটিক ফুট ও ফ্রোজেন শোল্ডার
আমরা অনেকেই শুনেছি ডায়াবেটিক ফুট কথা। ডায়াবেটিক ফুট-এর সমস্যায় সেনসেশন অর্থাৎ অনুভূতি বা বোধশক্তি কম থাকার কারণে অনেক সময় হাতে গরম জল পড়লে বা পায়ে কেটে গেলেও বুঝতে পারে না। আবার সুগার থাকার কারণে ওই জায়গা সারতেও সময় লাগে।
এছাড়া ফ্রোজেন শোল্ডারের একটা অন্যতম কারণ হল ডায়াবেটিস। হঠাৎ অনেকের কাঁধে ব্যথা হতে দেখা যায়। হাত একটু নাড়াচাড়া করলেই ব্যথা আরও বাড়তে থাকে। সুতরাং ডায়াবেটিস হওয়ার প্রথম থেকেই যদি শরীরচর্চা এবং ফিজিওথেরাপি করা যায় তাহলে এই সমস্যা অনেকটাই এড়ানো সম্ভব।
পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি
অনেকে আবার পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি-র সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা পায়ের পাতা, হাতের আঙুল থেকে শুরু হতে পারে। যেখানে অসাড় ভাব, শিরশিরানি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। পরে আস্তে আস্তে শরীরের উপরের দিকে ব্যথা অনুভব হয়। আবার অনেক সময় ব্যথা অনুভব নাও হতে পারে। যদি ব্যথা করে সেক্ষেত্রে তো চিকিৎসা শুরু করতেই হবে। কিন্তু ব্যথা না হলে আমরা জানতে পারি না যে, ডায়াবেটিস শুরু হচ্ছে কিনা। সেই জন্যই সুগার ধরা পড়লেই ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিয়ে সঠিক শরীরচর্চা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধের খাওয়ার পাশাপাশি ফিজিওথেরাপিও শুরু করতে হবে। পুরোপুরি না সারলেও এই সমস্যার অগ্রগতি ও তীব্রতা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
যোগাযোগ: ৯০৫১৮৪৩৫৩১