ছবি : প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
কোভিডকালে বয়স্কদের চোখের সমস্যা এড়াতে পরামর্শে দিশা আই হাসপাতালের সিনিয়র কনসাল্টেন্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ভাষ্কর ভট্টাচার্য।
প্রশ্ন : কোভিড পরবর্তী সময়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামক একটি চোখের অসুখের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে কীভাবে মানুষ চোখকে সুরক্ষিত রাখবে
উত্তর: ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সঙ্গে কোভিডের সরাসরি সম্পর্ক না থাকলেও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
প্রশ্ন : কোন কোন উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি?
উত্তর: চোখ ফুলে যাওয়া, চোখে ব্যথা অনুভব হওয়া, হঠাৎ করে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া—এসব উপসর্গ দেখা দিলে তখনই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
প্রশ্ন : করোনায় আক্রান্তরা কি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের শিকার হতে পারেন
উত্তর: হতে পারে। তবে করোনাতে আক্রান্ত না হলেও মানুষজন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের শিকার হতে পারেন।
প্রশ্ন : ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কি যেকোনও সময় যে কারও হতে পারে?
উত্তর: হ্যাঁ, যেকোনও সময়েই হতে পারে। তবে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিসের শিকার বা ক্যানসারে আক্রান্ত বা যারা ইমিউনো সাপ্রেসিভ ওষুধ খান তাদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে এর অতটা সম্পর্ক নেই।
প্রশ্ন : যাঁদের গ্লুকোমার সমস্যা রয়েছে তাঁরা এসময় কোন কোন বিষয়ে সতর্ক হবেন?
উত্তর: গ্লুকোমার সঙ্গে কোভিডের কোনও সম্পর্ক নেই।
প্রশ্ন : কোভিডকালে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপও কি চোখের ক্ষতির কারণ হতে পারে?
উত্তর: কোভিডকালেই যে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের কারণে চোখের ক্ষতি হবে এমনটা কিন্তু নয়। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের জন্য যেকোনও সময়ে চোখের যেকোনও সমস্যা আসতে পারে, বিশেষ করে চোখের রেটিনার সমস্যা।
প্রশ্ন : কোডিভ পরবর্তী সময়ে মানুষ অনেক বেশি সময় ধরে স্মার্টফোনে সময় কাটাচ্ছেন। স্মার্টফোন থেকে নির্গত হওয়া বিশেষ ধরনের নীল আলো তো চোখের পক্ষে ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে চোখের সুরক্ষার জন্য আমাদের কী কী করণীয়?
উত্তর: ক্ষতিকারক নীল আলো যতটা না কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে নির্গত হয় তার থেকে অনেক বেশি নির্গত হয় স্মার্টফোন থেকে। তাই কম্পিউটার স্ক্রিন বেশি নিরাপদ। নীল আলো চোখের পর্দার কিছুটা ক্ষতি করে যদিও তৎক্ষণাৎ কোনও প্রভাব ফেলে না। এটির প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি। ক্ষতিকারক নীল আলোকে আটকানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল নীল আলো প্রতিরোধক চশমা ব্যবহার করা।
প্রশ্ন : ল্যাপটপ, ডেস্কটপ ক্ষেত্রে কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে?
উত্তর: কম্পিউটারের পর্দা থেকে নির্গত হওয়া নীল আলো আটকানোর জন্য কম্পিউটার স্ক্রিনে কোনও প্রোটেক্টিভ শিল্ড অর্থাৎ স্ক্রিন গার্ড ব্যবহার করতে হবে। ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ ঘরের জানলার বিপরীতে রাখা উচিত, যাতে আলোটা পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। অন্ধকারে ঘরে কখনওই ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ব্যবহার করা উচিত নয়। ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের আলোর উজ্জ্বলতা কমিয়ে ব্যবহার করতে হবে। নীল আলো প্রতিরোধ করে এমন চশমা পরতে হবে।
প্রশ্ন : দীর্ঘক্ষণ ডিসপ্লেতে চোখ থাকার কারণে অনেকের বিভিন্ন ধরনের চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এক্ষেত্রে সমস্যা এড়াতে কী করা উচিত?
উত্তর: চোখ যাতে শুষ্ক না হয়ে যায় তার জন্য বারবার করে চোখে জলের ঝাপটা দেওয়া উচিত। মোবাইল বা কম্পিটার একটানা আধ ঘণ্টা বা এক ঘণ্টার ব্যবহার করার পর দশ মিনিটের মতো অন্তত একটু বিরতি নেওয়া খুব জরুরি। স্মার্টফোনের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে ব্যবহার করা উচিত। ঘরে পর্যাপ্ত আলো থাকলে তবেই মোবাইল ব্যবহার করা উচিত। অন্ধকার ঘরে একদমই ব্যবহার করা উচিত নয়। মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় ঘন ঘন চোখের পলক ফেলা উচিত। এটি চোখকে সহজে শুষ্ক হয়ে যাওয়ার থেকে আটকায়। কম্পিউটার স্ক্রিনে, নীল আলো প্রতিরোধ করে এমন স্ক্রিন গার্ড লাগানো উচিত। নীল আলো প্রতিরোধ করে এমন চশমা এখন বাজারে উপলব্ধ, সেটা ব্যবহার করা উচিত। এইগুলো করলে বিভিন্ন ধরনের চোখের সমস্যা খুব সহজেই এড়ানো যায়।
প্রশ্ন : যাঁদের ছানির সমস্যা রয়েছে বা ছানির অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁরা এসময় কেমন চোখের যত্ন নেবেন?
উত্তর: কোনও মানুষের যদি ছানি অপারেশন করার কথা থাকে কিন্তু দেখা গেল যে তিনি হঠাৎ করেই কোভিড আক্রান্ত হলেন, তাহলে সেই ক্ষেত্রে তাঁর অন্তত দেড় মাস বাদে অপারেশন করা উচিত। তবে ছানি অপারেশন হওয়ার পর করোনা আক্রান্ত হলে তেমন ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কোভিড হলেও ছানি অপারেশন করে আসা মানুষের ওপর কোনও প্রভাব পড়ে না।
উত্তর: ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সঙ্গে কোভিডের সরাসরি সম্পর্ক না থাকলেও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
প্রশ্ন : কোন কোন উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি?
উত্তর: চোখ ফুলে যাওয়া, চোখে ব্যথা অনুভব হওয়া, হঠাৎ করে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া—এসব উপসর্গ দেখা দিলে তখনই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
প্রশ্ন : করোনায় আক্রান্তরা কি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের শিকার হতে পারেন
উত্তর: হতে পারে। তবে করোনাতে আক্রান্ত না হলেও মানুষজন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের শিকার হতে পারেন।
প্রশ্ন : ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কি যেকোনও সময় যে কারও হতে পারে?
উত্তর: হ্যাঁ, যেকোনও সময়েই হতে পারে। তবে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিসের শিকার বা ক্যানসারে আক্রান্ত বা যারা ইমিউনো সাপ্রেসিভ ওষুধ খান তাদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে এর অতটা সম্পর্ক নেই।
প্রশ্ন : যাঁদের গ্লুকোমার সমস্যা রয়েছে তাঁরা এসময় কোন কোন বিষয়ে সতর্ক হবেন?
উত্তর: গ্লুকোমার সঙ্গে কোভিডের কোনও সম্পর্ক নেই।
প্রশ্ন : কোভিডকালে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপও কি চোখের ক্ষতির কারণ হতে পারে?
উত্তর: কোভিডকালেই যে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের কারণে চোখের ক্ষতি হবে এমনটা কিন্তু নয়। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের জন্য যেকোনও সময়ে চোখের যেকোনও সমস্যা আসতে পারে, বিশেষ করে চোখের রেটিনার সমস্যা।
প্রশ্ন : কোডিভ পরবর্তী সময়ে মানুষ অনেক বেশি সময় ধরে স্মার্টফোনে সময় কাটাচ্ছেন। স্মার্টফোন থেকে নির্গত হওয়া বিশেষ ধরনের নীল আলো তো চোখের পক্ষে ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে চোখের সুরক্ষার জন্য আমাদের কী কী করণীয়?
উত্তর: ক্ষতিকারক নীল আলো যতটা না কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে নির্গত হয় তার থেকে অনেক বেশি নির্গত হয় স্মার্টফোন থেকে। তাই কম্পিউটার স্ক্রিন বেশি নিরাপদ। নীল আলো চোখের পর্দার কিছুটা ক্ষতি করে যদিও তৎক্ষণাৎ কোনও প্রভাব ফেলে না। এটির প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি। ক্ষতিকারক নীল আলোকে আটকানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল নীল আলো প্রতিরোধক চশমা ব্যবহার করা।
প্রশ্ন : ল্যাপটপ, ডেস্কটপ ক্ষেত্রে কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে?
উত্তর: কম্পিউটারের পর্দা থেকে নির্গত হওয়া নীল আলো আটকানোর জন্য কম্পিউটার স্ক্রিনে কোনও প্রোটেক্টিভ শিল্ড অর্থাৎ স্ক্রিন গার্ড ব্যবহার করতে হবে। ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ ঘরের জানলার বিপরীতে রাখা উচিত, যাতে আলোটা পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। অন্ধকারে ঘরে কখনওই ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ব্যবহার করা উচিত নয়। ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের আলোর উজ্জ্বলতা কমিয়ে ব্যবহার করতে হবে। নীল আলো প্রতিরোধ করে এমন চশমা পরতে হবে।
প্রশ্ন : দীর্ঘক্ষণ ডিসপ্লেতে চোখ থাকার কারণে অনেকের বিভিন্ন ধরনের চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এক্ষেত্রে সমস্যা এড়াতে কী করা উচিত?
উত্তর: চোখ যাতে শুষ্ক না হয়ে যায় তার জন্য বারবার করে চোখে জলের ঝাপটা দেওয়া উচিত। মোবাইল বা কম্পিটার একটানা আধ ঘণ্টা বা এক ঘণ্টার ব্যবহার করার পর দশ মিনিটের মতো অন্তত একটু বিরতি নেওয়া খুব জরুরি। স্মার্টফোনের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে ব্যবহার করা উচিত। ঘরে পর্যাপ্ত আলো থাকলে তবেই মোবাইল ব্যবহার করা উচিত। অন্ধকার ঘরে একদমই ব্যবহার করা উচিত নয়। মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় ঘন ঘন চোখের পলক ফেলা উচিত। এটি চোখকে সহজে শুষ্ক হয়ে যাওয়ার থেকে আটকায়। কম্পিউটার স্ক্রিনে, নীল আলো প্রতিরোধ করে এমন স্ক্রিন গার্ড লাগানো উচিত। নীল আলো প্রতিরোধ করে এমন চশমা এখন বাজারে উপলব্ধ, সেটা ব্যবহার করা উচিত। এইগুলো করলে বিভিন্ন ধরনের চোখের সমস্যা খুব সহজেই এড়ানো যায়।
প্রশ্ন : যাঁদের ছানির সমস্যা রয়েছে বা ছানির অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁরা এসময় কেমন চোখের যত্ন নেবেন?
উত্তর: কোনও মানুষের যদি ছানি অপারেশন করার কথা থাকে কিন্তু দেখা গেল যে তিনি হঠাৎ করেই কোভিড আক্রান্ত হলেন, তাহলে সেই ক্ষেত্রে তাঁর অন্তত দেড় মাস বাদে অপারেশন করা উচিত। তবে ছানি অপারেশন হওয়ার পর করোনা আক্রান্ত হলে তেমন ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কোভিড হলেও ছানি অপারেশন করে আসা মানুষের ওপর কোনও প্রভাব পড়ে না।
* ডাঃ ভাষ্কর ভট্টাচার্য দিশা আই হাসপাতালের সিনিয়র কনসাল্টেন্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ।