ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়ার পর আমাদের শরীরে যখন মেটাবলিজম তৈরি হয় অর্থাৎ শরীরে ভেঙে যায় তখন প্রোটিন থেকে যে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মলিউকলগুলি আমাদের শরীরে উৎপন্ন হয়, তার মধ্যে একটি হল ইউরিক অ্যাসিড। শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ যত বেশি থাকবে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণও তত বেশি হবে। আমাদের শরীরে এমন কিছু অঙ্গ আছে যেমন কিডনি, সেখান দিয়ে ইউরিক অ্যাসিড বেরিয়ে যায়।
এই ইউরিক অ্যাসিড যদি বেড়ে যায় তাহলে কিডনি বা মূত্রনালীতে পাথর হতে পারে। দেখা গেছে যে কিডনিতে স্টোন হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া।
ধরা যাক, একটি ২৫ বছরের ছেলের ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়েছে কিন্তু তার কোনও উপসর্গ নেই। তখন ডাক্তারবাবুরা বলেন রুগিকে সজাগ হতে অর্থাৎ ধীরে ধীরে দৈহিক ওজন কমাতে। টেস্ট করে দেখতে হবে তার ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ব্লাড প্রেশার সব কিছু ঠিক থাকছে কি না। এগুলি যদি না হয় তাহলে ইউরিক অ্যাসিডের চিকিৎসা করার কোনও প্রয়োজন নেই। যদি গাঁটে ব্যথা বা কিডনির সমস্যা না হয় তাহলেও আমরা বলি যে কারণগুলির জন্য ইউরিক অ্যাসিড বাড়ছে সেই কারণগুলিকে অনুসন্ধান করতে। সেই কারণ দেখেই চিকিৎসা করতে হয়। ইউরিক অ্যাসিড যখন আমাদের মূত্রের মধ্য দিয়ে নির্গমন হয় তখন করণীয় হল যাতে বেশি পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড নির্গমন করে।
যদি কিডনির সমস্যা আপনার শরীরে থাকে তাহলে ইউরিক অ্যাসিডের জন্য অবশ্যই চিকিৎসা করতে হবে। কারণ এই ইউরিক অ্যাসিড কিডনির মধ্যে গিয়ে তার সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যদি মহিলাদের ক্ষেত্রে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ৬.৫ মিলিগ্রাম এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ৭ মিলিগ্রামের বেশি হয় তাহলে তা অবশ্যই চিকিৎসা করতে হবে। কারণ যদি কিডনির সমস্যা থাকে তাহলে ইউরিক অ্যাসিড কিডনির মধ্যে প্রবেশ করে সেই সমস্যাটাকে আরও বাড়িয়ে ফেলতে পারে৷ কিডনিতে স্টোন পর্যন্ত হতে পারে৷
এই সাধারণ বিষয়গুলি যদি আমরা মনে রাখতে পারি তাহলে আমরা ইউরিক অ্যাসিডের হাত থেকে বাঁচতে পারি।