![](https://samayupdates.in/wp-content/uploads/2022/04/Diabetic-foot-2.jpg)
ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
আজকে আমরা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব৷ সেটা হল ডায়াবেটিক ফুট অর্থাৎ ডায়াবেটিক রোগীদের পায়ের সংক্রমণ কেমন করে হয় ও কীভাবে তার প্রতিকার করা যায়৷ ডায়াবেটিস যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে অর্থাৎ এইচবিএ১সি ৭-এর নীচে না নামে তাহলে শরীরের যেকোনও জায়গায় সংক্রমণ হতে পারে৷ সে ফুসফুসেই হোক, কি মূত্রনালীতেই হোক, কিডনি হোক বা পায়েই হোক৷ এমনকী কোভিড সংক্রমণও বেশি হতে পারে, যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকে৷
প্রথমে কী করতে হবে?
● আমাদের ডায়াবেটিস রোগটিকে ঠিকঠাক চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে৷ এরপর নিয়মিত পায়ের যত্ন নিতে হবে৷ ডায়াবেটিক রোগীদের পা ফেটে যাওয়ার প্রবণতা থাকে৷ এর সঙ্গে অনেকের থাইরয়েডের সমস্যা থাকে৷ ফলে পা শুকিয়ে যায় এবং পা ফেটে যায়, বিশেষত পায়ের আঙুল বা গোড়ালি৷ আমরা যারা বেশি জল ঘাঁটি, যেমন কাপড় কাচা, বাসন ধোয়া, ঘর মোছা বা অন্যান্য জলের কাজকর্ম করি তারা পা’কে ঠিকঠাক পরিষ্কার করি না৷ অর্থাৎ পায়ের আঙুলের ফাঁকগুলো আমরা তোয়ালে বা গামছা দিয়ে ভালো করে মুছি না৷ এর ফলে পায়ের আঙুলের ফাঁকগুলো সাদা হয়ে ছত্রাক জন্মাতে পারে এবং পায়ের যদি গোড়ালি ফেটে যায় সেখান থেকে জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে সংক্রমণ হতে পারে৷ আবার অনেক সময় আমরা পায়ে ঠিকঠাক জুতো পরি না৷ তার থেকে পায়ে কড়া হতে পারে বা ফোসকা হতে পারে৷ সেখান থেকেও জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে৷
এগুলো প্রতিহত করার জন্য আমাদের স্নান করার পর প্রতিদিন আয়না দিয়ে পা দুটো একটু ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে পা ফেটে গিয়েছে কি না বা পায়ের আঙুলের ভেতরটা সাদা হচ্ছে কি না। খেয়াল রাখতে হবে ছত্রাক হয়েছে কি না তাও৷ এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে তখন পায়ের চিকিৎসা করাতে হবে৷ সেক্ষেত্রে পা ফেটে গেলে পায়ে ক্রিম লাগাতে হবে৷ যদি পায়ের আঙুলের ফাঁকা জায়গায় ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম লাগাতে হবে৷ পায়ের জুতো পরে যদি দেখা যায় পায়ে ফোসকা পড়ে যাচ্ছে তাহলে সেই জুতো তৎক্ষণাৎ খুলে রাখবেন৷ আপাতত সেই জুতো কিছুদিন পরবেন না। যদি পায়ে কড়া পড়ে যায় তাহলে নিজে হাতে সেই কড়া কাটতে যাবেন না৷ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাবেন বা ওষুধ লাগাবেন৷
পায়ে গরম সেঁক দেবেন না
● একটা জিনিস আমরা প্রায় ভুল করে থাকি পা ফুলে গেলে বা ব্যথা হলে গরম সেঁক বা হটপ্যাড নিই৷ ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে কিন্তু গরম সেঁক বা হটপ্যাড দেওয়া যাবে না৷ তার কারণ, ডায়াবেটিক রোগীদের স্নায়ুর সমস্যা হয়৷ অর্থাৎ সাধারণ মানুষদের ক্ষেত্রে যেটা বেশি গরম, ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে কমবেশি স্নায়ুর সমস্যার জন্য সেটা আরামদায়ক মনে হবে৷ অর্থাৎ স্নায়ু ঠিক বুঝতে পারছে না কতটা গরম লাগছে৷
এগুলো প্রতিহত করার জন্য আমাদের স্নান করার পর প্রতিদিন আয়না দিয়ে পা দুটো একটু ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে পা ফেটে গিয়েছে কি না বা পায়ের আঙুলের ভেতরটা সাদা হচ্ছে কি না। খেয়াল রাখতে হবে ছত্রাক হয়েছে কি না তাও৷ এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে তখন পায়ের চিকিৎসা করাতে হবে৷ সেক্ষেত্রে পা ফেটে গেলে পায়ে ক্রিম লাগাতে হবে৷ যদি পায়ের আঙুলের ফাঁকা জায়গায় ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম লাগাতে হবে৷ পায়ের জুতো পরে যদি দেখা যায় পায়ে ফোসকা পড়ে যাচ্ছে তাহলে সেই জুতো তৎক্ষণাৎ খুলে রাখবেন৷ আপাতত সেই জুতো কিছুদিন পরবেন না। যদি পায়ে কড়া পড়ে যায় তাহলে নিজে হাতে সেই কড়া কাটতে যাবেন না৷ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাবেন বা ওষুধ লাগাবেন৷
এছাড়া যেটা করণীয়, সেটা হচ্ছে যে রোজ পা দুটো পর্যবেক্ষণ করা৷ যদি পায়ে কোনও উপসর্গ দেখা যায় বা ফোসকা পড়ে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন৷
সুতরাং সে সমাধানগুলো বললাম তা ঠিকঠাক মেনে চললে কিন্তু পায়ের সমস্যা আপনার শরীরে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না৷ এর পরেও যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে আপনার ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিন৷ তিনি যেভাবে পরামর্শ দেবেন তা মেনে চলবেন৷ তাহলে আপনার পায়ে কোনও সমস্যা হবে না৷