বিডন স্ট্রিটের স্টার থিয়েটারে নাট্যাচার্য গিরিশচন্দ্র নতুন যে ভক্তি রসাত্মক বা ভক্তিমূলক পৌরাণিক নাটক মঞ্চস্থ করেছিলেন তার নাম ‘প্রভাস যজ্ঞ’। প্রথম অভিনীত হয়েছিল ৩০মে শনিবার ১৮৮৫ সালে।
পুরাকালে দ্বারকাপুরীতে সরস্বতী নদীর তীরে সমুদ্র সঙ্গমস্থলে প্রভাস তীর্থ অবস্থিত ছিল। প্রাচীন ভারতের পবিত্র তীর্থক্ষেত্র।
শাপগ্রস্ত চন্দ্রদেব এখানে তপস্যা করে প্রভা লাভ করেছিলেন বলেই এই তীর্থের নাম প্রভাস তীর্থ। চন্দ্রদেব সোম নামেও পরিচিত সেই জন্য অন্য নাম হল সোমতীর্থ। অতীতের বৃহত্তম বন্দর হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিল। বর্তমান গুজরাত রাজ্যের সমুদ্র উপকূলে এর অবস্থান। এখানে শ্রীকৃষ্ণের পিতা বসুদেব এক যজ্ঞ করেন। সেই যজ্ঞস্থলে শ্রীদামের অভিশাপে শতবর্ষব্যাপী বিরহের অবসানে পরমাপ্রকৃতি শ্রীরাধিকা ও তার সঙ্গিনীদের সঙ্গে পরম পুরুষ শ্রী কৃষ্ণের মিলন সংঘটিত হয়েছিল। এই মিলন প্রভাস মিলন নামে খ্যাত।
‘শ্রীব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ’ গ্রন্থের যে বর্ণনা রয়েছে নাট্যকার গিরিশচন্দ্র।
কিন্তু এই গ্রন্থ থেকে অপর কোন পুরাণ থেকে তাঁর ‘প্রভাস যজ্ঞ’ নাটকের কাহিনী চয়ন করেননি। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের লোকগাথায় রাধাকৃষ্ণ কাহিনীর বহুল প্রচলন ছিল। তাছাড়া বটতলা প্রকাশিত বৃহৎ ও বিশুদ্ধ প্রভাসখন্ডের সঙ্গে গিরিশচন্দ্রের নাট্য কাহিনীর যথেষ্ট মিল রয়েছে। সম্ভবত নাট্যকার লোককথা ও বটতলার গ্রন্থ অবলম্বন করে তাঁর এই ‘প্রভাস যজ্ঞ’ নাটকটি রচনা করেছিলেন।
পুরাকালে দ্বারকাপুরীতে সরস্বতী নদীর তীরে সমুদ্র সঙ্গমস্থলে প্রভাস তীর্থ অবস্থিত ছিল। প্রাচীন ভারতের পবিত্র তীর্থক্ষেত্র।
শাপগ্রস্ত চন্দ্রদেব এখানে তপস্যা করে প্রভা লাভ করেছিলেন বলেই এই তীর্থের নাম প্রভাস তীর্থ। চন্দ্রদেব সোম নামেও পরিচিত সেই জন্য অন্য নাম হল সোমতীর্থ। অতীতের বৃহত্তম বন্দর হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিল। বর্তমান গুজরাত রাজ্যের সমুদ্র উপকূলে এর অবস্থান। এখানে শ্রীকৃষ্ণের পিতা বসুদেব এক যজ্ঞ করেন। সেই যজ্ঞস্থলে শ্রীদামের অভিশাপে শতবর্ষব্যাপী বিরহের অবসানে পরমাপ্রকৃতি শ্রীরাধিকা ও তার সঙ্গিনীদের সঙ্গে পরম পুরুষ শ্রী কৃষ্ণের মিলন সংঘটিত হয়েছিল। এই মিলন প্রভাস মিলন নামে খ্যাত।
‘শ্রীব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ’ গ্রন্থের যে বর্ণনা রয়েছে নাট্যকার গিরিশচন্দ্র।
কিন্তু এই গ্রন্থ থেকে অপর কোন পুরাণ থেকে তাঁর ‘প্রভাস যজ্ঞ’ নাটকের কাহিনী চয়ন করেননি। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের লোকগাথায় রাধাকৃষ্ণ কাহিনীর বহুল প্রচলন ছিল। তাছাড়া বটতলা প্রকাশিত বৃহৎ ও বিশুদ্ধ প্রভাসখন্ডের সঙ্গে গিরিশচন্দ্রের নাট্য কাহিনীর যথেষ্ট মিল রয়েছে। সম্ভবত নাট্যকার লোককথা ও বটতলার গ্রন্থ অবলম্বন করে তাঁর এই ‘প্রভাস যজ্ঞ’ নাটকটি রচনা করেছিলেন।
বিনোদিনী
‘প্রভাস যজ্ঞ’ নাটকের প্রথম অভিনয় রজনীতে বিভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন বসুদেবের চরিত্রে অমৃতলাল বসু, নন্দের ভূমিকায় উপেন্দ্রনাথ মিত্র, শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রে অমৃতলাল মুখোপাধ্যায়, যশোদার ভূমিকায় গঙ্গা মনি, রাধিকার চরিত্রে বনবিহারিনী, সত্যভামা চরিত্রে বিনোদিনী, জটিলা চরিত্রে ক্ষেত্রমনি অভিনয় করেছিলেন।
সঙ্গীত প্রধান এই নাটকটিতে গানের সংখ্যা খুব বেশি। মোট ২২টি গান এতে সংযোজিত করা হয়েছিল। বিশিষ্ট সঙ্গীতাচার্য সংগীত শিক্ষক রামতারণ সান্যাল ছিলেন এর সুরকার। বিভিন্ন রাগ ও তাল সন্নিবিষ্ট হয়ে তাঁরই প্রদত্ত অনবদ্য সুরে গানগুলি পরিবেশিত হয়েছিল। বিখ্যাত গান গুলির মধ্যে রয়েছে বাজরে বিনা জয় রাধে শ্রী রাধে, ধুলায় লুটায় সোনার কিশোরী, এসো রে কানাই কোথা আছো ভাই, অঞ্চলের মনি এসো রে নীলমণি, জয় গোবিন্দ কৃষ্ণচন্দ্র মধুসূদন, প্রাণকৃষ্ণ কই, কোথায় গোপাল আছি পথ চেয়ে, প্রভাসে তোর রাখাল মরে, আয়রে গোপাল কোথায় গোপাল, প্রাণে বয় প্রেমের তুফান, সয় বলে কি এতই প্রাণে সয়, এই সব গানগুলো ছিল এই নাটকটির মধ্যে। সঙ্গীত বহুল প্রভাস যজ্ঞ নাটকের অন্যতম সম্পদ তার গান। ২২টি গানের মধ্যে একক কন্ঠে গানের সংখ্যা রাধিকা রুপিনি বিখ্যাত গায়িকা ও অভিনেত্রী বনবিহারিনীর সবচেয়ে বেশি ছিল।
সঙ্গীত প্রধান এই নাটকটিতে গানের সংখ্যা খুব বেশি। মোট ২২টি গান এতে সংযোজিত করা হয়েছিল। বিশিষ্ট সঙ্গীতাচার্য সংগীত শিক্ষক রামতারণ সান্যাল ছিলেন এর সুরকার। বিভিন্ন রাগ ও তাল সন্নিবিষ্ট হয়ে তাঁরই প্রদত্ত অনবদ্য সুরে গানগুলি পরিবেশিত হয়েছিল। বিখ্যাত গান গুলির মধ্যে রয়েছে বাজরে বিনা জয় রাধে শ্রী রাধে, ধুলায় লুটায় সোনার কিশোরী, এসো রে কানাই কোথা আছো ভাই, অঞ্চলের মনি এসো রে নীলমণি, জয় গোবিন্দ কৃষ্ণচন্দ্র মধুসূদন, প্রাণকৃষ্ণ কই, কোথায় গোপাল আছি পথ চেয়ে, প্রভাসে তোর রাখাল মরে, আয়রে গোপাল কোথায় গোপাল, প্রাণে বয় প্রেমের তুফান, সয় বলে কি এতই প্রাণে সয়, এই সব গানগুলো ছিল এই নাটকটির মধ্যে। সঙ্গীত বহুল প্রভাস যজ্ঞ নাটকের অন্যতম সম্পদ তার গান। ২২টি গানের মধ্যে একক কন্ঠে গানের সংখ্যা রাধিকা রুপিনি বিখ্যাত গায়িকা ও অভিনেত্রী বনবিহারিনীর সবচেয়ে বেশি ছিল।
৮৭নম্বর বিডন স্ট্রিটের স্টার থিয়েটার।
স্টার থিয়েটারে ‘প্রভাস যজ্ঞ’ প্রথম রজনীর অভিনয় দেখে ইংরেজি দৈনিক সংবাদ পত্রিকা দ্য স্টেটসম্যান খুবই প্রশংসা করেছিল। কিন্তু নাটকটির সেই ভাবে কিন্তু মঞ্চ সাফল্য ঘটেনি। গিরিশচন্দ্রের প্রভাস যজ্ঞ নাটকটি এরপরে মিনার্ভা থিয়েটারে পুনরাভিনীত হয় ৩০ নভেম্বর ১৯৪১ সালে।
স্টার থিয়েটারে প্রথম অভিনয়ের সাড়ে ষোল বছর বাদে আবার এই পুনরাভিনীত হয়েছিল। এই পুনরাভিনীত নাটকটিকে অবশ্য দর্শক মন্ডলীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা লাভ করেছিল। এখানকার ভূমিকাগুলিতে অভিনেত্রীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। প্রতিষ্ঠাত্রি অভিনেত্রী তিনকড়ির অভিনয় প্রতিভা, কোকিলকণ্ঠী গায়িকা-অভিনেত্রী সুশীলাবালার সুমধুর কন্ঠে মাধুর্য, প্রসিদ্ধ গায়িকা-অভিনেত্রী হিরণবালার সংগীত দক্ষতা প্রভৃতি এর সাফল্যের মূল কারণ বলে মনে করা হয়েছিল।
স্টার থিয়েটারে প্রথম অভিনয়ের সাড়ে ষোল বছর বাদে আবার এই পুনরাভিনীত হয়েছিল। এই পুনরাভিনীত নাটকটিকে অবশ্য দর্শক মন্ডলীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা লাভ করেছিল। এখানকার ভূমিকাগুলিতে অভিনেত্রীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। প্রতিষ্ঠাত্রি অভিনেত্রী তিনকড়ির অভিনয় প্রতিভা, কোকিলকণ্ঠী গায়িকা-অভিনেত্রী সুশীলাবালার সুমধুর কন্ঠে মাধুর্য, প্রসিদ্ধ গায়িকা-অভিনেত্রী হিরণবালার সংগীত দক্ষতা প্রভৃতি এর সাফল্যের মূল কারণ বলে মনে করা হয়েছিল।