মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

রাজ্যের তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে। গরমে আরাম পেতে ভরসা রাখতে হচ্ছে বৈদ্যুতিক পাখা, কুলার, এসি-র উপর। এ সময় মাসের শেষে বিদ্যুতের বিলের কথা ভেবে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। ভাবছেন কী ভাবে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবেন? অন্যান্য যন্ত্রপাতির চেয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চালালে বিদ্যুতের বিল বেশি আসে। কিন্তু গরম থেকে খনিক স্বস্তি পেতে এসি না চালালে নয়। তবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চালিয়েও যদি বিদ্যুতের বিলের বোঝা বিল নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়? একটানা এসি চললেও কী ভাবে বিদ্যুতের বিল নিয়ন্ত্রণে থাকবে, রইল তার হদিস।
 

এসি-র তাপমাত্রা বেশি কমানো যাবে না

এসি-এর তাপমাত্রা ২৪ থেকে ২৬ সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রাখতে হবে। রাতে ঘুমনোর আগে অবশ্যই এসি স্লিপ মোডে দিয়ে রাখুন। অনেকটা বিদ্যুৎ খরচ কম হবে। এসি-এর তাপমাত্রা যত কমাবেন, বিদ্যুতের বিল ততই বাড়তে থাকবে। সব থেকে ভালো, আগে তাপমাত্রা কম করে ঘর ঠান্ডা করে নিন। তার পরে ঘুমোতে যাওয়ার তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিন।
 

নিয়মিত ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে

একটানা ব্যবহারের ফলে এসি-র ফিল্টারে প্রচুর ময়লা, ঝুল জমে যায়। মাথায় রাখতে হবে, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য নিয়মিত ফিল্টার পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতি সপ্তাহে একবার করে পরিষ্কার করে নিলে ভালো।

আরও পড়ুন:

আপনার ফোন হ্যাক হয়েছে কী করে বুঝবেন? রইল সহজ কিছু উপায়

রাতেরবেলায় কাজ শুরু হয়? কী ভাবে খাওয়া-দাওয়া করলে শরীর সুস্থ থাকবে

 

এসি-তে টাইমার সেট করে রাখুন

ঘুমনোর সময়ে এসি-তে টাইমার লাগিয়ে নিন। রাতে এসি চালিয়ে ঘুমনোর ঘণ্টা কিছুক্ষণের মধ্যে ঘর যথেষ্ট ঠান্ডা হয়ে যায়। তাই ঠিকঠাক ঠান্ডা হয়ে গেলেও গভীর ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের বন্ধ করা হয় না। তাই সারা রাত এসি চলে। তাই টাইমার সেট করে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার টাইমার সেট করে রাখলে নির্দিষ্ট সময় তা আপনাআপনি বন্ধ হয়ে যাবে।
 

নিয়মিত এসির সার্ভিসিং

প্রতি বছর অন্তত একবার এসি-র সার্ভিসিং করাতে হবে না। শীতকালে এসি ব্যবহার হয় না। এদিকে, গরমে একটানা এসি ব্যবহারের জন্য অনেকটাই নড়বড়ে হয়ে থাকে। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর একবার এসি সার্ভিসিং করতেই হবে। খরচ এড়াতে সার্ভিসিং এড়িয়ে যাওয়া মানে ইলেকট্রিক বিল চড়চড়িয়ে বাড়বে।

আরও পড়ুন:

পর্দার আড়ালে, পর্ব-৩০: সত্যজিৎ ও সুচিত্রা জুটির সেই ছবি তৈরি হলে তা মাইলস্টোন হয়ে উঠতে পারতো

অজানার সন্ধানে, মুছে যাক গ্লানি মুছে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা…

 

মোটা পর্দা লাগান

ঘরের তাপমাত্রা যত বেশি হবে, ঘর ঠান্ডা করতে তত বেশি সময় লাগবে। তাই অনেকক্ষণ ধরে এসি চালাতে হবে। ফলে বিদ্যুতের বিলও অনেকটা বাড়তে থাকবে। এক্ষেত্রে বুদ্ধিমানের কাজ হবে, ঘরে মোটা পর্দা লাগিয়ে নেওয়া। বাইরের গরম হাওয়া ও আলোকে যতটা সম্ভব আটকে দিতে হবে। তা হলেই ঘরও দ্রুত ঠান্ডা হবে। সাশ্রয় হবে বিদ্যুৎ ও অর্থ দুই-ই।


Skip to content