বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।

গরমের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই অস্বস্তিকর গরমের কারণে ফ্যান বা এসি ছাড়া ঘরে একমুহূর্তও টেকা দায় হয়ে পড়েছে। এই সময় সারাদিন বা সারারাত এসি চালালে তার প্রভাব পড়ে বিদ্যুতের বিলে। কিন্তু এই প্রচ—ণ্ড গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে সারারাত এসি চালালেও বিদ্যুতের বিল কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন, জেনে নিন তার কিছু উপায়৷

এসি চালানোর আগে প্রথমেই ঘরের জানলা দরজা ভালো করে বন্ধ করে নেবেন এবং জানলা-দরজায় মোটা পর্দা টেনে দেবেন। জানলা দরজায় যদি ফাঁক থেকে থাকে তাহলে সারারাত এসি চললেও ঘর ঠান্ডা হবে না এবং বিদ্যুতের বিলও বেশি আসবে।

রাতে ঘুমোনোর আগে এসি চালালে তার দু-ঘণ্টার মধ্যেই ঘর ঠান্ডা হয়ে যায়। গভীর ঘুমে অনেক সময় আমাদের এসি বন্ধ করার কথা মনে থাকে না, যার জন্য সারারাত এসি চলতে থাকে। তাই ঘুমোনোর আগে আপনি যদি এসিতে দু-ঘণ্টার টাইমার দিয়ে রাখেন নির্দিষ্ট সময়ের পর তা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে সারারাত এসিও চলবে না এবং বিদ্যুতের বিলও বাড়বে না।

এসির তাপমাত্রা যত কমাবেন, কম্প্রেসার ততবেশি চলবে এবং বিদ্যুতের খরচও বেশি হবে। তাই এসির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। এসির তাপমাত্রা সর্বদা ২৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের ওপরেই রাখুন। রাতে ঘুমোনোর সময় আপনি যদি এসি স্লিপ মোডে দিয়ে রাখেন, তাতে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে।

আপনার এসি যদি পুরনো হয়ে থাকে তাহলেও বিদ্যুতের বিল বেশি আসবে। কারণ অনেকদিন ধরে ব্যবহার করার ফলে যেকোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্রই খারাপ হতে থাকে। তাই এসি যত পুরনো হবে বিদ্যুৎ খরচও বেশি হবে।

অনেকদিন ধরে এসি ব্যবহার করার ফলে এসির ফিল্টারে ধুলো-ময়লা জমে যায়, যার ফলে ঘর ঠান্ডা হতে সময় লাগে। খুব দ্রুত ঘর ঠান্ডা করার জন্য এসির ফিল্টার পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। এতে আপনার বিদ্যুৎও সাশ্রয় হবে।

Skip to content