এক মুহূর্তও ফোন, ল্যাপটপ ছাড়া থাকতে পারেন না! জানেন কি, নিজের অজান্তেই ত্বকের ক্ষতি করছেন?

অনেকেই নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগনি রশ্মি হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে। তবে স্মার্টফোন, ডেস্কটপ বা ল্যাপটপের নীলচে আলো থেকে কী ভাবে ত্বককে বাঁচাবেন, তা অনেকেরই জানা নেই। বিনোদন, পড়াশোনায় বা কাজের জন্য, এখন সব জায়গাতেই ডিজিটাল ডিভাইজ ছাড়া উপায় নেই। একটানা দীর্ঘ ক্ষণ মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ক্রিনে চোখ রাখার ফলে এখন অনেকেই চোখের নানা সমস্যায় ভুগছেন।

বেশিরভাগই জানেন না, দীর্ঘ ক্ষণ ফোন স্ক্রোল করার জন্য ত্বকের উপরেও এর প্রভাব পড়ে। অল্পবয়সিদের ত্বক কুঁচকে যাচ্ছে। কারও কারও কম বয়সেই বলিরেখা পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগনি রশ্মির মতো একই রকম ক্ষতি করতে পারে ফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থেকে বিচ্ছুরিত নীলচে রশ্মিও। চিকিৎসকদের একাংশের কথায়, মোবাইল, ল্যাপটপ থেকে বিচ্ছুরিত নীল আলোর প্রভাব, সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির চেয়ে কোনও অংশে কম ক্ষতিকারক নয়। চোখ এবং চোখের চারপাশে থাকে স্পর্শকাতর ত্বক। মোবাইল, ল্যাপটপ থেকে বিচ্ছুরিত নীল আলোর জন্যে চোখের সেই সব অংশে নিজের অজান্তে বলিরেখা, দাগ-ছোপের সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে।

সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি নিয়ে মানুষের সতর্ক থাকলেও, ফোন বা ল্যাপটপ থেকে নির্গত ক্ষতিকারক নীল আলোর প্রভাব নিয়ে তারা ততটা সচেতন নন। কারণ, এ নিয়ে আমজনতার কোনও ধারণাও নেই। একাধিক গবেষণা বলছে, ওই নীলচে আলোর সংস্পর্শে দীর্ঘক্ষণ থাকলে আমাদের ‘অক্সিটেসিভ স্ট্রেস’-এর মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। তবে এ নিয়ে আরও নিশ্চিত হতে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে বলা হয়েছে।

 

মুক্তি পেতে কী করবেন?

● অনেকেই হয়তো জানেন না, একটানা দীর্ঘ ক্ষণ মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করলে আমাদের শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। শুষ্ক হয়ে যায় ত্বক। এ জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জলপান করা উচিত। এছাড়াও ত্বকে ময়েশ্চারাইজার এবং সানস্ক্রিন মেখেও ত্বককে নিরাপদের রাখা যায়।

● পছন্দের ডিজিটাল ডিভাইজের পর্দার উপর অবশ্যই স্ক্রিন প্রোটেক্টর লাগান। এতে তীক্ষ্ণ নীল আলো থেকে ত্বক নিরাপদে থাকে।

● ত্বককে বাঁচাতে একটানা মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার না করে মাঝেমধ্যে বিরতি নিয়ে আবার কাজ করুন।