শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি; প্রতীকী। সংগৃহীত।

আজকাল অনেকেই থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগেন। মানুষের শরীরে যে কটি প্রধান গ্রন্থি বা গ্ল্যান্ড রয়েছে, থাইরয়েড সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই গ্রন্থি আমাদের কণ্ঠযন্ত্রের ঠিক নীচে থাকে। এর আকৃতি অনেকটা প্রজাপতির মতো। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে হরমোনের বেশি মাত্রা বা কম মাত্রায় নিঃসৃত হওয়ার কারণেই থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দেয়। তাই থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তবে, ঘরোয়া উপায়ে যোগাসনের মাধ্যমেও থাইরয়েডের সমস্যা দূর করা সম্ভব।

থাইরয়েডের সমস্যা এড়াতে যে যোগাসনগুলি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো দেখে নিন একঝলকে।
 

ক্যাট কাউ

হাঁটু মুড়ে বসে হাত দুটো সামনের দিকে রেখে মাটিতে চাপ দিন। খেয়াল রাখবেন, হাত দুটো যেন কাঁধের সমান থাকে। দু’টো হাতের মধ্যে যতটা দূরত্ব আছে, দুটো পায়ের মধ্যেও সমান দূরত্ব থাকবে। এই অবস্থায় মাথা উঁচু করে রাখতে হবে। মাথা উঁচু করার সময় নিঃশ্বাস নিতে হবে। মাথা নীচের দিকে করার সময় নিঃশ্বাস ছাড়তে হবে। এ সময় পিঠ উঁচু থাকবে, মাথা ঝুঁকে থাকবে আর পেটটা যতটা সম্ভব ভিতর দিকে ঢুকিয়ে রাখতে হবে। এভাবে বেশ কয়েকবার করার পর একটু বিশ্রাম নিতে হবে।

আরও পড়ুন:

রিভিউ: চারজন সাহসী নারীর গল্প—ধক ধক

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৪২: দো নেয়না আউর এক কাহানি, থোড়া সা বাদল থোড়া সা পানি…

 

জানুশীর্ষাসন

এই শীর্ষাসনটি করার সময় প্রথমে দুটো পা ছড়িয়ে বসতে হবে। এরপর একটা পা ভাঁজ করে আরেকটা পায়ের থাইয়ে ঠেকিয়ে রেখে দিতে হবে। এরপর দুটো হাতকে উপরে রেখে নিঃশ্বাস নিতে নিতে হাত নামিয়ে পায়ের পাতার কাছে নিয়ে গিয়ে ওইভাবেই পায়ের চেটো ধরতে হবে। এভাবে কিছুক্ষণ থাকার পর আবার হাত দুটো উপরে তুলে নামিয়ে নিতে হবে। এরপর একইরকমভাবে অপর পা ভাঁজ করে জানুশীর্ষাসনটি করতে হবে। এরপর কয়েক সেকেন্ড বিশ্রাম নিয়ে পরের যোগাসনটি করতে হবে।

আরও পড়ুন:

দশভুজা, শক্তিরূপেন সংস্থিতা, পর্ব-৩: মালতীর কথা…

এই দেশ এই মাটি, অসমের আলো-অন্ধকার, পর্ব-৩: ইতিহাসের পাতায় লাচিত বরফুকোন

 

ভুজঙ্গাসন

ভুজঙ্গাসন করার সময় উপুড় হয়ে শুয়ে বুকের ঠিক দু’পাশে হাত রেখে বুক থেকে মাথা উপরের দিকে করে কয়েক সেকেন্ডের জন্য একইভাবে থাকতে হবে। মনে রাখবেন, আমাদের কনুই যেন হৃৎপিণ্ডের সঙ্গে আটকে থাকে। এইভাবে কয়েক সেকেন্ড থাকার পর মকরাসনে কয়েক সেকেন্ডের জন্য বিশ্রাম নিতে হবে।
 

সেতুবন্ধাসন

এটি করতে হলে সোজা হয়ে শুয়ে পা ভাঁজ করতে হবে। এছাড়াও পায়ের ঠিক গোড়ালিটা আমাদের এতটাই কাছে থাকবে যাতে আমরা গোড়ালিটকে স্পর্শ করতে বা ধরতে পারি। এরপর কোমরটা উঁচু করতে হবে। এতটাই উঁচু করতে হবে যাতে আমাদের থুতনি বুককে স্পর্শ করে। এভাবে কয়েক সেকেন্ড থাকতে হবে। তারপর আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে হবে। বেশ কয়েকবার করার পর বিশ্রাম নিতে হবে।

আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-২৫: উদ্যানবাটিতে সারদা মায়ের ঠাকুরের শুশ্রূষা

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৭৭: আস্তাবলে সহিসদের রাখি পরাতে রবীন্দ্রনাথ ছুটে গিয়েছিলেন

 

মৎস্যাসন

কনুইয়ের উপর ভর করে অর্ধেক শুয়ে বুককে যতটা সম্ভব উঁচু করতে হবে। এরপর মাথাটা একদম নীচের দিকে করে পিছন দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। এভাবে কয়েক সেকেন্ড থাকতে হবে। যদি কেউ মনে করেন মাথাটা মাটিতে ঠেকাতে পারছেন না, তবে তাঁরা মাথাটা নীচের দিকে রাখলেই হবে, মাটি স্পর্শ করার প্রয়োজন নেই।

যোগাযোগ : ৮০১৭৬৩২১৬১

* মিতালী দে, ফিটনেস এক্সপার্ট, ইকুইনক্স ফিট এন ফ্যাব।

Skip to content