শনিবার ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫


ছবি: প্রতীকী।

মাছচাষের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু উৎপাদনের প্রতিবন্ধকতাও তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার জীবাণুঘটিত রোগ বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। প্রথাগত বা কিছুটা উন্নত চাষে এই প্রতিবন্ধকতা বিশেষ নেই। আধুনিক মাছ ও চিংড়িচাষে তাই নানা ধরণের রাসায়নিক প্রায়শই ব্যবহৃত হচ্ছে। এর ফলে আপাতত প্রতিকার পাওয়া গেলেও ভবিষ্যতে যে কুফল হাজির হবে না সেটা জোর দিয়ে বলা সম্ভব নয়।
একদিকে আমরা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের পদক্ষেপের কথা ভাবছি অথচ অননুমোদিত রাসায়নিকের ব্যবহার এড়িয়ে চলতে পারছি না। অনেকক্ষেত্রেই মাছচাষিদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে অবহিত করা গেলেও কার্যক্ষেত্রে তার প্রভাব থেকেই যাচ্ছে। এইসব রাসায়নিক জলজ প্রাণীদের খাদ্যরূপে গৃহীত হয়ে পেশীকোষে সঞ্চিত হয় এবং এর ফলশ্রুতি ওই মৎস্যগ্রহীতার শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি।
আরও পড়ুন:

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-১০৪: শুধু বেশি উৎপাদনই নয়, সমান গুরুত্ব দিতে হবে রোগবালাই নিরাময়েও

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৬৩: মহাভারতে উল্লিখিত মিথ্যাশ্রয়ের প্রাসঙ্গিকতা কী আজও আছে?

সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবে এই সব রাসায়নিক প্রয়োগের ফলে অনেক রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যেমন: অ্যালার্জি, ক্ষুদ্রান্তে উপকারী জীবাণুর বিনাশ, প্রাণদায়ী নিরাপদ ওষুধের প্রতিরোধ ক্ষমতা নাশ প্রভৃতি। এমন কি অস্থিমজ্জার শক্তিহ্রাস করে দুর্বলতাসৃষ্টি, জলজপরিবেশের বাস্তুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে জীববৈচিত্রের হ্রাসের সম্ভাবনা ত্বরান্বিত করা ইত্যাদি ক্ষতিকারক দিকগুলিও উপেক্ষা করার মতো নয়।
আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২৩: তরু দত্ত— এক আনন্দ বিষাদের তরুলতা

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮৮: ছবি আঁকতে আঁকতে অবনীন্দ্রনাথ টান দিতেন গড়গড়ায়, চিবোতেন পান

মাছচাষে ব্যবহৃত অনুমোদিত অ্যান্টিবায়োটিক ও রাসায়নিকের সর্বোচ্চ সীমা ও সেগুলির প্রত্যাহারকাল সম্বন্ধে সচেতনতা আবশ্যিক। কয়েকটি নিষিদ্ধ রাসায়নিকের উল্লেখ করা যেতে পারে। যেমন: ক্লোরাম ফেনিকল, নাইট্রো ফুরানটয়েন, ন্যালি ডিক্সিক অ্যাসিড, সালফোনামাইড, গ্লাইকোপেপটাইডস ইত্যাদি।
* বাঙালির মৎস্যপুরাণ (Bangalir Matsya Purana – Fish) : ড. প্রতাপ মুখোপাধ্যায় (Pratap Mukhopadhyay) অবসরপ্রাপ্ত প্রধান মৎস্যবিজ্ঞানী, ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ, ভারত সরকার।

Skip to content