ভারত এক বৈচিত্র্যময় দেশ। এই বৈচিত্র্যময় দেশে মানুষ নিজেদের শখ ও শৌখিনতার জন্য তাঁরা এমন অনেক কিছু সংগ্রহ করেন যা যেঁগুলি তাঁদের সংগ্রহশালায় জায়গা পায়। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ডাকটিকিট।
এখন ডাকটিকিটের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়লেও আজও বিশ্বের সর্বত্র এর প্রচলন রয়েছে। চিঠি পাঠানোর জন্য যে মাশুল বা শুল্কের প্রয়োজন সেই শুল্ক বা মাশুলের মাধ্যম হিসাবে ডাকটিকিটের প্রচলন ঘটেছিল। চিঠি প্রেরকের কাছ থেকে সরাসরি অর্থ সংগ্রহের পরিবর্তে এই ডাকটিকিটের প্রচলন করা হয়েছিল।
১৮৪০ সালের ৬ মে ব্রিটেনে প্রথম প্রচলন হয় ডাকটিকিটের। তার ১৪ বছর পর অর্থাৎ ১৮৫৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে প্রথম ডাকটিকিটের ব্যবহার শুরু হয়। সর্বভারতীয় ডাকটিকিটে প্রথম যে প্রতিকৃতি দেওয়া হয় তা হল, মহারানি ভিক্টোরিয়ার। সেই টিকিটের মূল্য ছিল আধ আনা।
পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে এই ডাকটিকিটের বিবর্তন শুরু হয়। টিকিটে দেখা গেল প্রকৃতি ও মনীষীর প্রতিকৃতি-সহ বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভ। ডাকটিকিটে এই ধরনের প্রতিকৃতি যখন ছাপা হতে শুরু হল, তখন ডাকটিকিট সংগ্রাহকদের মধ্যে বিপুল সাড়া পড়ে গিয়েছিল। সংগ্রাহকদের চাহিদার ফলে আবার ডাকটিকিটের মূল্য বাড়তে লাগলো। সেই দিক দিয়ে বিচার করলে দেখা যায়, ডাক টিকিট সংগ্রাহকদের কাছে মূল্য আজও বর্তমান।
তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকই ছিল এই ধরনের ভাবনার মূলে। মহারানি ভিক্টোরিয়ার প্রতিকৃতির পাশাপাশি বিভিন্ন মনীষী, প্রকৃতি ও স্মৃতিস্তম্ভকে ডাকটিকিটে আনলেন তাঁরা। এভাবে যখন প্রকৃতি, মনীষী, পশু-পাখি-সহ বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভের প্রতিকৃতি ডাকটিকিটে স্থান পেল, তখন মনে হল ডাকটিকিটে মাছের প্রতিকৃতি থাকলে কেমন হয়। ভাবনা অনুযায়ী হল কাজ। মাছ ঠাঁই পেল ডাকটিকিটে। তখন বিশ্বের বহু দেশ ডাকটিকিটে মাছের প্রতিকৃতি দিতে শুরু করল।
এখন ডাকটিকিটের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়লেও আজও বিশ্বের সর্বত্র এর প্রচলন রয়েছে। চিঠি পাঠানোর জন্য যে মাশুল বা শুল্কের প্রয়োজন সেই শুল্ক বা মাশুলের মাধ্যম হিসাবে ডাকটিকিটের প্রচলন ঘটেছিল। চিঠি প্রেরকের কাছ থেকে সরাসরি অর্থ সংগ্রহের পরিবর্তে এই ডাকটিকিটের প্রচলন করা হয়েছিল।
১৮৪০ সালের ৬ মে ব্রিটেনে প্রথম প্রচলন হয় ডাকটিকিটের। তার ১৪ বছর পর অর্থাৎ ১৮৫৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে প্রথম ডাকটিকিটের ব্যবহার শুরু হয়। সর্বভারতীয় ডাকটিকিটে প্রথম যে প্রতিকৃতি দেওয়া হয় তা হল, মহারানি ভিক্টোরিয়ার। সেই টিকিটের মূল্য ছিল আধ আনা।
পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে এই ডাকটিকিটের বিবর্তন শুরু হয়। টিকিটে দেখা গেল প্রকৃতি ও মনীষীর প্রতিকৃতি-সহ বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভ। ডাকটিকিটে এই ধরনের প্রতিকৃতি যখন ছাপা হতে শুরু হল, তখন ডাকটিকিট সংগ্রাহকদের মধ্যে বিপুল সাড়া পড়ে গিয়েছিল। সংগ্রাহকদের চাহিদার ফলে আবার ডাকটিকিটের মূল্য বাড়তে লাগলো। সেই দিক দিয়ে বিচার করলে দেখা যায়, ডাক টিকিট সংগ্রাহকদের কাছে মূল্য আজও বর্তমান।
তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকই ছিল এই ধরনের ভাবনার মূলে। মহারানি ভিক্টোরিয়ার প্রতিকৃতির পাশাপাশি বিভিন্ন মনীষী, প্রকৃতি ও স্মৃতিস্তম্ভকে ডাকটিকিটে আনলেন তাঁরা। এভাবে যখন প্রকৃতি, মনীষী, পশু-পাখি-সহ বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভের প্রতিকৃতি ডাকটিকিটে স্থান পেল, তখন মনে হল ডাকটিকিটে মাছের প্রতিকৃতি থাকলে কেমন হয়। ভাবনা অনুযায়ী হল কাজ। মাছ ঠাঁই পেল ডাকটিকিটে। তখন বিশ্বের বহু দেশ ডাকটিকিটে মাছের প্রতিকৃতি দিতে শুরু করল।
সামুদ্রিক মাছ থেকে শুরু করে মিষ্টি জলের মাছচাষে আমাদের দেশ বরাবরের মতো আজও এগিয়ে রয়েছে। বর্তমানে ভারতের স্থান দ্বিতীয়। আমাদের দেশে মাছের গুরুত্ব এত বেশি হওয়ার জন্য হয়তো ডাকটিকিটে মাছের প্রতিকৃতি জায়গা পেয়েছে বলে মনে করা হয়। ডাকটিকিটে মাছের প্রতিকৃতি আসার ফলে মাছ সংরক্ষণ করার তাগিদ বাড়তে লাগলো। সেই সঙ্গে শুরু হল মাছের গুরুত্ব সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানানো উদ্যোগ। আবার যে সব মাছের রূপলাবণ্য অনেক বেশি, সেই সব মাছকেও দেখা গেল ডাকটিকিটে।
পরবর্তীকালে এই ডাক টিকিট গুলির দুটি ভাগ দেখা গেল। একটি ভাগকে বলা হল—ডেফিনিটিভ স্ট্যাম্প। এই স্ট্যাম্প আকারে ছোট, মূল্য কম এবং ছাপা হয় অনেক বেশি। রোজকার যে সমস্ত চিঠিপত্র যায় তাতে এই টিকিটই ব্যবহার করা হতো। অপর একটি ভাগ হল—কমেমোরেটিভ স্ট্যাম্প। এটি আকারে বড়, মূল্য বেশি, ছাপা হয় কম। প্রকৃতি, মনীষী-সহ বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভকে সম্মান দেওয়ার স্বার্থে এই টিকিটের প্রচলন। মাছের প্রতিকৃতি পড়ে এই টিকিটের মধ্যে।
মাছকে এ ভাবে ডাক টিকিটের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে তাকে গুরুত্ব দেওয়া, প্রচার করা এবং সংরক্ষণের জন্য মানুষকে সচেতন করা এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে বিশ্বের দরবারে মাছের প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে আমজনতার কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরা হল এই ডাকটিকিটের মাধ্যমে।
* বাঙালির মৎস্যপুরাণ (Bangalir Matsya Purana – Fish) : ড. প্রতাপ মুখোপাধ্যায় (Pratap Mukhopadhyay) অবসরপ্রাপ্ত প্রধান মৎস্যবিজ্ঞানী, ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ, ভারত সরকার।
পরবর্তীকালে এই ডাক টিকিট গুলির দুটি ভাগ দেখা গেল। একটি ভাগকে বলা হল—ডেফিনিটিভ স্ট্যাম্প। এই স্ট্যাম্প আকারে ছোট, মূল্য কম এবং ছাপা হয় অনেক বেশি। রোজকার যে সমস্ত চিঠিপত্র যায় তাতে এই টিকিটই ব্যবহার করা হতো। অপর একটি ভাগ হল—কমেমোরেটিভ স্ট্যাম্প। এটি আকারে বড়, মূল্য বেশি, ছাপা হয় কম। প্রকৃতি, মনীষী-সহ বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভকে সম্মান দেওয়ার স্বার্থে এই টিকিটের প্রচলন। মাছের প্রতিকৃতি পড়ে এই টিকিটের মধ্যে।
মাছকে এ ভাবে ডাক টিকিটের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে তাকে গুরুত্ব দেওয়া, প্রচার করা এবং সংরক্ষণের জন্য মানুষকে সচেতন করা এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে বিশ্বের দরবারে মাছের প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে আমজনতার কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরা হল এই ডাকটিকিটের মাধ্যমে।
* বাঙালির মৎস্যপুরাণ (Bangalir Matsya Purana – Fish) : ড. প্রতাপ মুখোপাধ্যায় (Pratap Mukhopadhyay) অবসরপ্রাপ্ত প্রধান মৎস্যবিজ্ঞানী, ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ, ভারত সরকার।