বুধবার ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪


কলকাতায় বৃষ্টি

ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরে হাড়ের নানা সমস্যা দেখা দেয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সাধারণত পুরুষদের থেকে মহিলাদের হাড় সংক্রান্ত সমস্যা বেশি দেখা যায়। মহিলাদের ক্ষেত্রে অনেকেরই তিরিশ বছরের পরে থেকেই হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যায় ভোগেন। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, হাড় ভালো রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি নিয়মিত হাঁটাহাঁটি, ব্যায়াম, যোগাসন করার অভ্যাস জরুরি। প্রতিদিনের শরীরচর্চায় এমন কিছু যোগাসন রাখতে হবে যা শরীরের হাড়কে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করবে।
 

পদ্মাসন

● পদ্ধতি: প্রথমে দুই পা সামনের দিকে ছড়িয়ে দিয়ে কোন সমতল স্থানে বসুন। এবার ডান পা টেনে এনে বাম পায়ের উপর রাখুন। বাম পা ভাঁজ করে ডান উরুর উপরে তুলে আনুন। এরপর মেরুদণ্ড সোজা করে দুটো হাত সোজা করে উভয় হাঁটুর পাশে রাখুন। পায়ের পাতা আলগা করে দিন। একই সঙ্গে হাতের আঙুলগুলো আলগা করে দিন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে এ ভাবে ৩০ সেকেণ্ড স্থির থাকুন। তারপর পা বদল করে আসনটি আবার করুন।

● উপকারিতা: পায়ের পেশিতে যদি ব্যথা বা দুর্বলতা থাকে, হাঁটুতে ও পায়ের সংযোগ স্থলে ব্যথা থাকলে আথবা অল্প হাঁটলে হাঁফ ধরে গেলে এই আসনটি উপকারে লাগতে পারে। সিঁড়িতে উঠতে গেলে কষ্টবোধ করা, মেরুদণ্ডের আড়ষ্টভাব, অনিদ্রায় ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে এই আসন খুবই কার্যকরী। এছাড়াও স্মৃতি শক্তি ও মনের একাগ্রতা বৃদ্ধি পায় এবং অনিদ্রাজনিত অসুবিধা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন:

‘এত বড় তারকা হয়েও একটুও বদলাননি’, রজনীকান্ত সাক্ষাতে মুগ্ধ অমিতাভ

গরমে সব্জি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন সব্জি ভালো রাখার উপায়

 

ভুজঙ্গাসন

● পদ্ধতি: বুকের উপর ভর দিয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের দু’টি তালু উপুড় করে বুকের দু’পাশে রাখুন। হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে কোমর থেকে পা অবধি মাটিতে রেখে শরীরের উপরের অংশটা ধীরে ধীরে মেঝে থেকে তুলুন। আস্তে আস্তে ঘাড় উঁচু করে মাথা উপরের দিকে হেলিয়ে দিন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে এই অবস্থায় মনে মনে দশ থেকে ক্রমশ বাড়িয়ে তিরিশ গোনার পর উপুড় হয়ে শবাসনে বিশ্রাম নিন।

● উপকারিতা: কোমরের ব্যথা, অজীর্ণ, গ্যাসট্রাইটিস, গ্যাসট্রিক আলসার, স্পন্ডিলোসিস, শিরদাঁড়ায় বক্রতা, মেয়েদর মাসিকের সমস্যা, লো ব্লাডপ্রেসার প্রভৃতিতে উপকার হয়।

আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮৭: কবির জন্মদিনে প্রিয়জনের উপহার

কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে কি না বুঝবেন কী করে? চোখ, পা, ত্বকের এই সব লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হন

 

বজ্রাসন

● পদ্ধতি: বজ্রাসন করার সময়ে সামনের দিকে পা ছড়িয়ে শিরদাঁড়া সোজা করে বসুন। এরপর আস্তে আস্তে হাঁটু মুড়ে গোড়ালি জোড়া করে বসুন। উরুর উপর সোজা করে হাত দু’টি রাখুন। আসন করার সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাস অবশ্যই স্বাভাবিক রাখতে হবে। ২০ সেকেন্ড পর আস্তে আস্তে পুরনো ভঙ্গিতে ফিরে যান।

● উপকারিতা: বজ্রাসন নিয়মিত করলে আপনার পায়ের পাতা ও হাঁটুর ব্যাথা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন:

আপনি কি চুল পাকার সমস্যায় জেরবার? তাহলে আজ থেকেই এই সব অভ্যাস পাল্টে ফেলুন

চিরতা খেতে পারেন না? পরিবর্তে এই পাতা চিবিয়ে খেলেও কমবে রক্তে শর্করার মাত্রা

 

উৎকটাসন

● পদ্ধতি: প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান। দু’ হাত সোজা করে সামনের দিকে বাড়িয়ে দিন। এবার মেরুদণ্ড সোজা রেখে চেয়ারে বসার মতো আস্তে আস্তে বসুন। লক্ষ রাখবেন বুক যেন সামনের দিকে ঝুঁকে না যায়। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে মনে মনে দশ গুনুন। ধীরে ধীরে সময় বাড়ান। শবাসনে বিশ্রাম নিন।

● উপকারিতা: হাঁটুর ব্যথা, পায়ের কব্জির ব্যথা, ঊরুর পেশির ব্যথায় উপকারী। হাত ও পায়ের পেশির দুর্বলতা, ধমনিপ্রাচীরে মেনোপজনন সারাতে সাহায্য করে।


Skip to content