সকাল হোক বা সন্ধে, প্রতিদিন মুড়ি খাচ্ছেন? রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ছে না তো

বছরের সব ঋতুতেই মুড়ি ছাড়া বাঙালির চলে না। সন্ধের জলখাবারে মুড়ি-চপ তো আছেই, কেউ কেউ আবার প্রাতরাশে মুড়ি পছন্দ। তবে এ ভাবে রোজ মুড়ি খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যের পক্ষে স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক নয় তো? চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, এক দিক থেকে মুড়ি খাওয়ার অভ্যাস শরীরের পক্ষে ভালো। চিকিৎসকরা অনেক সময় পেট খারাপ হলে পেট ঠান্ডা রাখতে প্রাথমিক ভাবে মুড়ি জল খাওয়ার পরামর্শ দেন।

 

মুড়ি কী ভাবে আমাদের শরীরের যত্ন নেয়?

 

রক্তচাপ বাড়ার ভয় থাকে না

● আজকাল বহু মানুষ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। এমনদের জন্য মুড়ি খুব উপকারী হতে পারে। কারণ, এই খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশ কম থাকে। ফলে মুড়ি খেলে রক্তচাপ বাড়ার কোনও ভয় থাকে না।

 

আয়রনের ঘাটতি মেটায়

● অনেকেরই হয় তো জানা নেই, মুড়িতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। আয়রন শীতকালে আমাদের হাড়ের বিশেষ যত্ন নেয়।

 

ওজন বাড়ে না

● অল্প বিস্তর খিদে পেলে পেট ভরাতে সত্যিই মুড়ির জুড়ি মেলা ভার। এতে ক্যালোরির পরিমাণও অনেক কম থাকে। ফলে ক্যালোরির মাত্রা কম থাকায় মুড়ি খেলে সহজে ওজনও বাড়ে না। তাই যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, তাঁরা নিয়মিত মুড়ি খেতেই পারেন।

 

অম্বলের সমস্যায়

● যাঁরা প্রায়শই অম্বলের সমস্যায় বেশ ভোগেন, তাঁদের জন্য মুড়ি একটি ভালো খাবার হতে পারে। নিয়মিত মুড়ি খেলে পেটে অ্যাসিডিটির ক্ষরণে ভারসাম্য তৈরি করে। তাই কোনও কারণে আচমকা খুব অম্বলের সমস্যায় ভুগলে মুড়ি জলে ভিজিয়ে খেতে পারেন, দ্রুত উপকার মিলবে।

যদিও, এটাও সত্যি যে, নিয়মিত বেশি পরিমাণ মুড়ি খেলে আমাদের ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। সে-কারণে বহু মানুষ খাবার হিসেবে মুড়ি এড়িয়ে চলেন। তবে যাঁদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা নেই, তাঁরা অবশ্য নিশ্চিন্তে মুড়ি খেতে পারেন।