ছবি: প্রতীকী।
হালের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দশ জনের মধ্যে অন্তত তিন জন মহিলা পিসিওএস-তে আক্রান্ত। শুধু তাই নয়, আক্রান্তদের গড়পরতা দশ জনের মধ্যে অন্তত ছ’জনই রয়েছেন বয়ঃসন্ধির সীমানায়। স্ত্রীরোগ-চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন, এখন মহিলাদের মধ্যে যে রোগটি বেশি নজরে পড়ছে, তা হল হরমোনের তারতম্যে তৈরি হওয়া পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম বা পিসিওএস। রোগটি দুরারোগ্য না হলেও একে নিয়ে বিস্তর ভুল ধারণা রয়েছে মানুষের মধ্যে। সে সব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকরাই।
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম বা পিসিওএস-এর লক্ষণ দেখা যায় মুখে ব্রণ বেড়ে যাওয়া, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ওজন বেড়ে যাওয়া, হরমোনের ভারসাম্যে বিচ্যুতি, শরীরে চুলের আধিক্য, ঋতুস্রাবে দুর্গন্ধ, শরীরে পুরুষ হরমোনের আধিক্য প্রভৃতি। চিকিৎসকরা মনে করেন, পিসিওএস মূলত জীবনযাত্রার ধরন বা শারীরবৃত্তীয় জটিলতার ফলস্বরূপ ঘটে থাকে।
সমীক্ষায় যা জানা গিয়েছে
● ১৮ বছরের উর্ধ্বে মহিলারা তাঁদের ঋতুবন্ধ হওয়া পর্যন্ত, যে কোনও বয়সেই পিসিওএস-এ আক্রান্ত হতে পারেন।
আরও পড়ুন:
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫১: জয়রামবাটির যথার্থ রক্ষয়িত্রী
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫৩: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—খলসি ও করঞ্জা
● অনেকেই মনে করেন, অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয় এমন মহিলাই পিসিওএস-এ ভোগেন। যদিও অনিয়মিত ঋতুস্রাব, থাইরয়েডের সমস্যা বা খাদ্যাভ্যাসের ত্রুটি থেকেও এই সমস্যা হতে পারে।
● বেশি ওজনও পিসিওএস-এর সম্ভাব্য কারণ,এই ধারণাও ভুল। ওজন যা-ই হোক, যে কেউই এতে আক্রান্ত হতে পারেন।
আরও পড়ুন:
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৭১: সাইকেল ও জীবন
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২৮: জ্ঞানদানন্দিনী দেবী—উনিশ শতকের বলিষ্ঠ লেখক এবং সমাজসংস্কারক
● পিসিওএস ছাড়াও ত্বকের নানান সমস্যার কারণে মুখে ব্রণ হতে পারে। পিসিওএস থাকলেই ব্রণ হবে, এই ধারণাও ভ্রান্ত।
● কোনও ওষুধই পিসিওএস-কে আগাগোড়া নির্মূল করতে পারে না। একে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজন সুষম খাদ্য, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং সুশৃঙ্খল জীবনযাপন।