ছবি প্রতীকী, ‘পোশাকি’র সৌজন্যে
বিয়ের দিন নিজেকে একেবারে অন্যরকমভাবে সাজিয়ে তুলতে চায় কনেরা। তাই মেকআপ থেকে শাড়ি, সবকিছুই খুব সিলেক্টিভ হয়। বিয়ে হোক বা বউভাত, কনেকে যে সকলের থেকে আলাদা লুক দিতে হবে, সেকথা মাথায় থাকে মেকআপ আর্টিস্টদের। কিন্তু যে দিকটা অনেক সময়ই নজর দেওয়া হয় না, তা হল ব্লাউজ। বিয়েতে পরার জন্য শাড়ি তো কিনে ফেললেন। কিন্তু এর সঙ্গে কোন ডিজাইনের ব্লাউজ পরবেন তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই। তাড়াহুড়ো করে যেকোনও ডিজাইনের ব্লাউজ তৈরি করান কনে। কিন্তু বর্তমান সময়ে সবকিছুই খুব সিলেক্টিভ হয়েছে। তাই এখন বিয়েতে পরার জন্য অভিনব ডিজাইনের ব্লাউজই বেছে নেন সবাই। কারণ, বিয়ের দিন যদি ব্লাউজ ঠিকঠাক ফিট না হয়, বা ডিজাইন ঠিক না হয় তাহলে পুরো সাজটাই মাটি হয়ে যায়। তবে এখন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কনেরাও কোনও কিছু নিয়ে কম্প্রোমাইজ করতে চান না। সেইজন্য আগে থেকেই ব্লাউজের ডিজাইন কেমন হবে, ব্লাউজের নকশা কেমন হবে, তা ঠিক করে নেন। এতে হাতে সময় নিয়ে ব্লাউজ তৈরি করা যায়। ফলে বিয়ের সময় এইসব নিয়ে কোনওরকম চিন্তা করতে হয় না। সম্প্রতি ব্লাউজের ডিজাইনেও এসেছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। তাই এবার দেখে নিন বিয়ে ও বউভাতে নতুন ডিজাইনের কোন কোন ব্লাউজ পরা যেতে পারে।
ঘটি হাতা ব্লাউজ
বিয়ের দিন কিংবা বউভাতের দিনও পরতে পারেন ঘটি হাতা ব্লাউজ। সাবেকিয়ানার সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে একটা নতুন লুক দেবে এই ব্লাউজ। ঘটি হাতা ব্লাউজের হাতায় যদি থাকে জরির পাড় তাহলে তো কোনও কথাই নেই। আপনাকে বাঙালি কনে হিসাবে এই ব্লাউজে মানাবে ভালো। লাল ঘটি হাতা ব্লাউজের সঙ্গে আটপৌরে শাড়ি একটু বেশিই ভালো মানানসই হবে।
কুঁচি হাতা ব্লাউজ
বিয়ের দিন কুঁচি হাতা ব্লাউজও ভালো মানাবে। পুরনো স্টাইলের এই ব্লাউজে নতুনত্বের ছোঁয়া দিলে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে এই ধরনের ব্লাউজগুলি। ব্লাউজের হাতার নীচে এবং গলার কাছে যদি কুঁচি দেওয়া হয় তাহলে অন্য সকলের থেকে আপনাকে আলাদা লাগবে। পুরনো পোশাকে অভিনবত্বের ছোঁয়া লাগলে বাঙালিয়ানার সেই ঐতিহ্য আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
শর্ট রাউন্ড নেক ব্লাউজ
শর্ট রাউন্ড নেক আর ফুল হাতা ব্লাউজ বিয়েতে পরার জন্য একদম পারফেক্ট। বেনারসির সঙ্গে এই ধরনের ব্লাউজ একেবারের মানানসই হবে। বেনারসি শাড়ি ও শর্ট রাউন্ড নেক ব্লাউজ, দুইয়ের মিলনে তৈরি হবে একটা রাজকীয় লুক। এই ধরনের নেক স্টাইল ব্লাউজ পরলে কলার বোন ঢাকা থাকবে। আর এই ব্লাউজ ফুলহাতা হলে সেই হাতা হাতের কবজি ছাড়িয়ে যাবে। ফলে কবজির কাছে যদি হাতাটা হুক দিয়ে আটকাতে হয় তাহলে হাতায় অল্প কুঁচি পড়বে। এই ধরনের ব্লাউজ তৈরি করলে হাতের দিকে সোনালি জরির জমকালো ফ্লোরাল কাজ রাখতে পারেন। পাশাপাশি ব্লাউজের পুরো বডিতেও জরির কাজ বেশ ভালো মানাবে।
বোটনেক ব্লাউজ
হালফিলের ফ্যাশনে বোটনেক ব্লাউজের চাহিদা প্রচুর। বেনারসির সঙ্গে কনট্রাস্ট কালারের বোটনেক ব্লাউজ বিয়ের দিন কনেকে একেবারে অন্য লুক দেবে। বোটনেক ব্লাউজের থ্রি-কোয়ার্টার হাতা তৈরি করে পরলে দারুণ মানাবে। এই ব্লাউজের বোতাম থাকে পিছনে। বোটনেক ব্লাউজের পিঠের ধারে কিংবা হাতার ধারে সরু জরির ডিজাইন থাকলে আরও ভালো মানাবে এই ব্লাউজ।
লিফ স্টাইল ব্লাউজ
বিয়ের দিন কিংবা বউভাতের দিন আপনি যদি হালকা কাজ করা শাড়ি পরেন, তাহলে লিফ স্টাইল ব্লাউজ ভালো মানাবে। এই ব্লাউজের পিঠের আকার পাতার মতো হবে। হুক থাকবে পিছনেই। এই ধরনের ব্লাউজের হাতা গ্লাস হাতা অর্থাৎ কনুই পর্যন্ত হাতা রাখাই শ্রেয়। এই লিফ স্টাইল ব্লাউজে যেমন অভিনবত্ব রয়েছে তেমনই ভিড়ের মাঝে নজর কাড়তে এক পা এগিয়ে এই ব্লাউজ।
ব্যাকলেস ব্লাউজ
বেনারসির সঙ্গে ব্যাকলেস ব্লাউজ ভালো মানাবে। এটা আপনাকে ক্লাসিক লুক দেবে। তবে মনে রাখবেন, ব্যাকলেসের মতো সিল্কের ব্লাউজে কোনও ভারী কাজ থাকা চলবে না। এই ব্লাউজে ঘাড়ের দিকে বা কোমরের দিকে ট্যাসেল দিয়ে একটা লটকন ঝুলিয়ে দিলে বেনারসির সঙ্গে দারুণ মানাবে এই ব্যাকলেস ব্লাউজ।
সুতোর কাজ করা বাহারি ব্লাউজ
বিয়ের দিন কিংবা বউভাতের দিনও পরতে পারেন ঘটি হাতা ব্লাউজ। সাবেকিয়ানার সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে একটা নতুন লুক দেবে এই ব্লাউজ। ঘটি হাতা ব্লাউজের হাতায় যদি থাকে জরির পাড় তাহলে তো কোনও কথাই নেই। আপনাকে বাঙালি কনে হিসাবে এই ব্লাউজে মানাবে ভালো। লাল ঘটি হাতা ব্লাউজের সঙ্গে আটপৌরে শাড়ি একটু বেশিই ভালো মানানসই হবে।
বিয়ের দিন কুঁচি হাতা ব্লাউজও ভালো মানাবে। পুরনো স্টাইলের এই ব্লাউজে নতুনত্বের ছোঁয়া দিলে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে এই ধরনের ব্লাউজগুলি। ব্লাউজের হাতার নীচে এবং গলার কাছে যদি কুঁচি দেওয়া হয় তাহলে অন্য সকলের থেকে আপনাকে আলাদা লাগবে। পুরনো পোশাকে অভিনবত্বের ছোঁয়া লাগলে বাঙালিয়ানার সেই ঐতিহ্য আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
শর্ট রাউন্ড নেক আর ফুল হাতা ব্লাউজ বিয়েতে পরার জন্য একদম পারফেক্ট। বেনারসির সঙ্গে এই ধরনের ব্লাউজ একেবারের মানানসই হবে। বেনারসি শাড়ি ও শর্ট রাউন্ড নেক ব্লাউজ, দুইয়ের মিলনে তৈরি হবে একটা রাজকীয় লুক। এই ধরনের নেক স্টাইল ব্লাউজ পরলে কলার বোন ঢাকা থাকবে। আর এই ব্লাউজ ফুলহাতা হলে সেই হাতা হাতের কবজি ছাড়িয়ে যাবে। ফলে কবজির কাছে যদি হাতাটা হুক দিয়ে আটকাতে হয় তাহলে হাতায় অল্প কুঁচি পড়বে। এই ধরনের ব্লাউজ তৈরি করলে হাতের দিকে সোনালি জরির জমকালো ফ্লোরাল কাজ রাখতে পারেন। পাশাপাশি ব্লাউজের পুরো বডিতেও জরির কাজ বেশ ভালো মানাবে।
হালফিলের ফ্যাশনে বোটনেক ব্লাউজের চাহিদা প্রচুর। বেনারসির সঙ্গে কনট্রাস্ট কালারের বোটনেক ব্লাউজ বিয়ের দিন কনেকে একেবারে অন্য লুক দেবে। বোটনেক ব্লাউজের থ্রি-কোয়ার্টার হাতা তৈরি করে পরলে দারুণ মানাবে। এই ব্লাউজের বোতাম থাকে পিছনে। বোটনেক ব্লাউজের পিঠের ধারে কিংবা হাতার ধারে সরু জরির ডিজাইন থাকলে আরও ভালো মানাবে এই ব্লাউজ।
বিয়ের দিন কিংবা বউভাতের দিন আপনি যদি হালকা কাজ করা শাড়ি পরেন, তাহলে লিফ স্টাইল ব্লাউজ ভালো মানাবে। এই ব্লাউজের পিঠের আকার পাতার মতো হবে। হুক থাকবে পিছনেই। এই ধরনের ব্লাউজের হাতা গ্লাস হাতা অর্থাৎ কনুই পর্যন্ত হাতা রাখাই শ্রেয়। এই লিফ স্টাইল ব্লাউজে যেমন অভিনবত্ব রয়েছে তেমনই ভিড়ের মাঝে নজর কাড়তে এক পা এগিয়ে এই ব্লাউজ।
বেনারসির সঙ্গে ব্যাকলেস ব্লাউজ ভালো মানাবে। এটা আপনাকে ক্লাসিক লুক দেবে। তবে মনে রাখবেন, ব্যাকলেসের মতো সিল্কের ব্লাউজে কোনও ভারী কাজ থাকা চলবে না। এই ব্লাউজে ঘাড়ের দিকে বা কোমরের দিকে ট্যাসেল দিয়ে একটা লটকন ঝুলিয়ে দিলে বেনারসির সঙ্গে দারুণ মানাবে এই ব্যাকলেস ব্লাউজ।
ব্লাউজের পিছনের দিকে সুতোর কাজ থাকলে বউভাতের দিন আপনার উপর অতিথিদের বিশেষ নজর থাকবে। সুতোর কাজেও ডিজাইন করতে পারেন। টোপর, প্রজাপতি, গাছকৌটোর মতো ডিজাইনও সুতো দিয়ে করতে পারেন। সাধারণত, লাল ব্লাউজের পিছনেই এই ধরনের নকশা ভালো মানাবে।
বিয়েতে পরতে পারেন লম্বা হাতার ব্লাউজ। শীতকালে এই ধরনের ব্লাউজ পরলে ঠান্ডাও কম লাগবে আবার আকর্ষণীয়ও হয়ে উঠবেন আপনি। এছাড়া, বিয়েতে নিজেকে একটু অন্যরকমভাবে সাজাতে হলে আপনি পরতেই পারেন এই ধরনের লম্বা হাতার ব্লাউজ। এক্ষেত্রে আপনি যদি গয়না কমও পরেন তাহলেও আপনি থাকবেন সেরা কনে সাজের তালিকায়। লম্বা হাতার ব্লাউজ পরলে আপনাকে যেমন সুন্দর দেখাবে তেমনই আপনার বিয়ের পোশাকে থাকবে অভিনবত্বের ছোঁয়াও।