বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

নতুন যাঁরা বাবা হয়েছেন তাঁদের প্রায়ই শুনতে হয় বাবা-মা হওয়া অত সহজ কথা নয়। হঠাৎ করেই যেন দু’জনের নির্ঝঞ্ঝাট জীবনে গুরুদায়িত্ব এসে হাজির হয়। সন্তান কিছুটা বড় হয়ে গেলে তা-ও খানিক চিন্তামুক্ত হওয়া যায়। কিন্তু একরত্তির যত্ন নেওয়া মোটেই সহজ নয়। বিশেষ করে সদ্যজাতের ক্ষেত্রে। কারণ এই সব শিশুরা তাদের সমস্যার কথা বলতে পারে না। কারণ তখনও তাদের মুখে কথা ফোটেনি।
ফলে কী সমস্যা হচ্ছে, তা প্রকাশ করতে না পেরে শিশুরা শুধুই কেঁদে চলে। তাই বাবা-মাকেই সন্তানের সুবিধা-অসুবিধা বুঝে নিতে হয়। তা ছাড়া তাদের সুবিধা অসুবুধার পাশাপাশি বাবা-মাকে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর যত্নআত্তিতে বেশ সচেতন থাকতে হয়। বিশেষ করে শিশুর পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। নতুন বাবা-মা হলে একরত্তির পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে কী করবেন এবং কী করবেন না?
আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৭৫: মহাভারতের অন্তর্লোকে কি শুধুই হিংসা ও প্রতিহিংসার ঘৃণা বিদ্বেষ?

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬০: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— দুধি লতা ও পঞ্চরতি লতা

 

আলাদা করে শিশুর পোশাকআশাক কাচুন

বাজারচলতি ডিটারজেন্ট দিয়ে শিশুর পোশাক এবং ব্যবহৃত জিনিসগুলি কখনওই কাচবেন না। তাতে শিশুর শরীরে র্যা শ, চুলকানি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শিশুর পোশাক পরিষ্কার করার জন্য আলাদা ডিটারজেন্ট বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলি দিয়ে শিশুর জামাকাপড় কেচে নিন। শিশুর পোশাক পরিষ্কারের জন্য সব সময় তরল কোনও ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।

আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৩৪: সরলাদেবী—নির্ভীক এক সরস্বতী

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫৪: স্বার্থান্বেষীকেও চিনতে শেখায় এই গ্রন্থ

 

শিশুর ত্বক যেন আর্দ্র থাকে

সদ্য জন্মানো শিশুর জন্য ক্ষারহীন ময়েশ্চারাইজার কিনতে পাওয়া যায়। স্নান করানোর পর শিশুকে ভালো করে ময়েশ্চারাইজার মাখাতে পারেন। এতে শিশুর ত্বকে বাইরে থেকেও আর্দ্র থাকবে। সুগন্ধিযুক্ত কোনও ক্রিম অথবা ময়েশ্চারাইজার শিশুকে না মাখানোই ভালো।
 

মাথায় মালিশ করে দিন

মাঝেমাঝেই শিশুর মাথায় একটু মাসাজ করে দিন। এতে রক্ত চলাচল ভাল থাকবে। এর ফলে শিশুর মাথায় চুলও গজাবে দ্রুত। শুধু মাথায় নয়, হাত এবং পায়েও মালিশ করে দিন। পেশিগুলি শক্তিশালী হবে এর ফলে ধীরে ধীরে। নারকেল তেল অথবা একেবারেই বাচ্চাদের জন্য তৈরি কোনও তেল দিয়ে মাসাজ করে দিতে পারেন। তবে মালিশ করার সময়ে কখনওই খুব বেশি চাপ দেবেন না।

আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৭: কী করে গল্প লিখতে হয়, ছোটদের শিখিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ

এই দেশ এই মাটি, ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-২৩: রাজসভায় মিথিলার সঙ্গীতজ্ঞ

 

বাইরে গেলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে রাখুন

শিশুকে নিয়ে কোনও কাজে বাড়ির বাইরে যেতে হলে সন্তানের ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি সঙ্গে করে নিয়ে যান। ওয়াইপস, দুধের বোতল, তোয়ালে, প্রয়োজনীয় ওষুধ— কখন কী দরকার হবে আগে থেকে তা কিছুই বলা যায় না। ফলে সবগুলি সঙ্গে রাখুন।

আরও পড়ুন:

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৭: জোসেফ কনরাড ও জেসি কনরাড—ভালোবাসিবে বলে ভালোবাসিনে/২

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৯: বেশি ঘুম শরীরের পক্ষে ভালো?

 

প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখুন

আপনার শিশু যা যা সারাদিনে ওষুধ খেয়ে থাকে, সেগুলো সবসময় বাইরে গেলে সঙ্গে রাখবেন। কারণ বাইরের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তেও পারে। তাই তার প্রয়োজনীয় ওষুধ সবসময় সঙ্গে নিয়ে যাবেন।


Skip to content