ছবি: প্রতীকী।
সারা দিন চূড়ান্ত ব্যস্ততায় কাটে। তার পর আবার রাতে ওয়েব সিরিজ না দেখলেই নয়। আর পর আর ঘুম আসতে চায় না? পরের দিন আবার অফিস রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সব মিলিয়ে চার-পাঁচ ঘণ্টার বেশি ঘুম হচ্ছেই না। এটা তো সবারই জানা, ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণে না হলে শরীরে হাজারও সমস্যা দেখা দেয়।
এ নিয়ে ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটি একটি গবেষণা করেছে। সেই গবেষণা অনুযায়ী, যাঁদের ব্যস্ততার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় না, তাঁরা তখন ধ্যানের মাধ্যমেও শরীরে শক্তির চাহিদা মিটিয়ে নিতে পারেন।
এ নিয়ে ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটি একটি গবেষণা করেছে। সেই গবেষণা অনুযায়ী, যাঁদের ব্যস্ততার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় না, তাঁরা তখন ধ্যানের মাধ্যমেও শরীরে শক্তির চাহিদা মিটিয়ে নিতে পারেন।
এ বিষয়ে একতি গবেষণা পত্র জার্নাল অফ বিজনেস ভেনচারিং-এ। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমাদের শারীরিক ক্লান্তি কমাতে প্রতি সপ্তাহে ৭০ মিনিট ধ্যান করা দরকার। ৭০ মিনিটের এই ধ্যান আমাদের প্রতি রাতে অতিরিক্ত প্রায় ৪৪ মিনিট ঘুমের সমতুল্য।’ অর্থাৎ প্রতি দিন শুধু দশ মিনিট ধ্যান করলেই ফল মিলবে হাতে নাতে। এ ক্ষেত্রে অনুলোম বিলোমও ভালো বিকল্প হতে পারে।
আরও পড়ুন:
গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-৪: যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাই না?
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৭৩: দুই মহর্ষির দ্বন্দ্বে কি ‘ইতি ও নেতি’র বিরোধেরই প্রতিফলন?
অনুলোম বিলোম কেমন করে করতে হয়?
আরও পড়ুন:
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫৬: নান্দনিক শিক্ষায় উৎসাহী ছিলেন শ্রীমা
চোখের কী কী সমস্যা হলে বুঝবেন আরও গুরুতর কোনও রোগের সম্ভাবনা রয়েছে
অনেকেই হয় তো জানেন না, শক্তির মাত্রা বৃদ্ধির একটি দারুণ উপায় হল দিনের প্রাকৃতিক আলোতে নিজেদের উন্মুক্ত রাখা। আল্যার্মের শব্দের বদলে সূর্যের আলোতে ঘুম থেকে উঠুন। দেখবেন, অনেক বেশি চনমনে থাকবেন।
অফিসে দীর্ঘ ক্ষণ বসে কাজ করতে হয়? এক্ষেত্রে আপনার মোবাইলে এক ঘণ্টা অন্তর অ্যালার্ম সেট করে রাখুন। আর প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর চেয়ার থেকে উঠে হাঁটুন। সঙ্গে স্ট্রেচিংও করুন। এর ফলে আমাদের শরীরে রক্তের প্রবাহমানতা অনেকটা বাড়বে। দূর হবে শারীরিক ক্লান্তি। আরেকটি বিষয় হল, দুপুরে বেশি ভারী খাবার খাওয়া যাবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিমিত আহারে আমাদের কর্মদক্ষতা বাড়ে!