শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


ছবি : প্রতীকী।

আজকাল বহু মানুষই কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগেন। কোলেস্টেরল পরিবারে রয়েছে ট্রু কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, এইচডিএল (হাইডেনসিটি লিপোপ্রোটিন) এবং এলডিএল (লোডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন)।
 

বেশিরভাগ মানুষের ধারণা

বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার জন্যই কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। এ ধারণা যে একেবারেই ভুল তা ঠিক নয়। মনে রাখতে হবে, আমাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ হয় আমাদের বিপাক হারের উপর। আবার ডায়াবিটিস থাকলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৭৫: সত্যব্রত সকাশে

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৭৩: দুই মহর্ষির দ্বন্দ্বে কি ‘ইতি ও নেতি’র বিরোধেরই প্রতিফলন?

 

কী ভাবে সমস্যা তৈরি হয়

কোলেস্টেরল অনেকটা বেড়ে গেলে তা রক্তবাহের মধ্যে জমা হতে থাকে। শুধু তাই নয়, রক্তবাহী নালিকে সরু এবং শক্ত করে দেয়। ফলে স্বাভাবিক ভাবে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। বাড়ে হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা। সেই সঙ্গে ঝুঁকি বাড়ে স্ট্রোকের।
 

কোলেস্টেরলের সঠিক মাত্রা

আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা থাকা উচিত ২০০ মিলিগ্রাম/ ডেসিলিটারের মধ্যে। আর থাকতে হবে এলডিএল-এর ১০০ মিলিগ্রাম/ ডেসিলিটারের মধ্যে। কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে আমাদের চর্বিজাতীয় খাবার, চিপস, ভাজাভুজি এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে কয়েকটি ফলও। যেগুলি নিয়মিত খেলে আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫৬: নান্দনিক শিক্ষায় উৎসাহী ছিলেন শ্রীমা

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫০: পুত্রস্নেহে অন্ধ হলে পিতাকেও ধৃতরাষ্ট্রের মতো দুর্দশা ভোগ করতে হয়

 

কী কী ফল খাবেন?

 

আঙুর

আঙুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই এই ফল কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক রেখে হৃদরোগের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়।
 

লেবু

শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো নয়, ভিটামিন-সি যুক্ত লেবু কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও আমাদের সাহায্য করে।

আরও পড়ুন:

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-৩: কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৫: বার্নার্ড শ ও শার্লটি—যদি প্রেম দিলে না প্রাণে/১

 

কিউয়ি

আমাদের শরীরে দু’ ধরনের কোলেস্টেরল থাকে। একটি খারাপ কোলেস্টেরল, অন্যটি ভাল কোলেস্টেরল। কিউয়ি এই ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে।
 

আপেল

কোলেস্টেরল বা হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যায় চিকিৎসকরা সাধারণত আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। আসলে আপেল হৃদযন্ত্রে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। সেই সঙ্গে আমাদের কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখে।


Skip to content