রবিবার ৬ অক্টোবর, ২০২৪


এসো হে বৈশাখ, এসো, এসো
তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক॥
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে-যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক॥


আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। আসছে বাংলার নববর্ষ। বছরের এই প্রথম দিনটা অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ প্রত্যেক বাঙালির কাছেই একটা আবেগ, একটা উৎসব। এই দিন নতুন জামাকাপড় পরা আর মিষ্টি খাওয়ার কথা ভোলেন না কেউই। নিজেকে নববর্ষের সাজে সাজিয়ে তুলতে ডিজাইনার পোশাকই বেছে নেন আপামর বাঙালি। আর সেই কারণে বাঙালিদের পছন্দের কথা মাথায় রেখে নববর্ষের নতুন কালেকশন নিয়ে হাজির সুরুচি বুটিক। কটন, তাঁত, মলমল বাটিক, হ্যান্ডলুম, ঘিচা, তসর, সিল্কের শাড়ি—কী নেই এখানে। এছাড়াও সুরুচি বুটিকে রয়েছে কটন কুর্তি, পালাজো। বুটিকের কর্ণধার মালা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এখানে বিশেষভাবে তৈরি করা হয় মলমল বাটিক। ব্লাউজ পিস সমেত এর দাম পড়বে ৮৫০ টাকা। এই ধরণের শাড়ি ১ পিস করেই পাওয়া যায়। তাঁতের মধ্যেও কিছু ডিজাইনার শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। দাম শুরু ১০০০ টাকা থেকে। এই ডিজাইনার শাড়িও ১ পিস করেই পাওয়া যায় সুরুচি-তে। তাঁতের ওপর অ্যাপ্লিকের কাজ করা শাড়িও রকমারি কালেকশন পেয়ে যাবেন। এদের মলমল বাটিকের সম্ভার আলাদা করে নজর কাড়বে। প্রিন্ট করা নয়, মলমলের ওপর একেবারে হ্যান্ড বাটিকের কাজ করা শাড়িতে নতুনত্ব পাবেন। দাম শুরু ৬০০ টাকা থেকে।
৮৫০ টাকা দামের মধ্যে মলমল বাটিক বেশ ভালো। ২৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে কটন কুর্তিতে অভিনবত্ব রয়েছে। কুর্তির পাশাপাশি কাঁথাস্টিচের কাজ করা পালাজো পছন্দসই। দাম ৬০০ টাকা থেকে শুরু। কেনাকাটার জন্য অনলাইন ও অফলাইন দুয়েরই বন্দোবস্ত আছে। অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপে ১৫ দিন আগে বুক করতে হবে পছন্দের পোশাক। আর আপনি যদি শাড়ি, কুর্তি, পালাজো এক ছাদের তলায় পেতে চান, তাহলে একবার ঢুঁ মেরে দেখতে পারেন ‘সুরুচি’-র অন্দরমহলে। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ক্রেতাদের জন্য খোলা থাকে সুরুচি বুটিকের দরজা।

ঠিকানা: ১১৯বি আর বি জিটি রোড, দোলতলা, ভদ্রকালি, উত্তরপাড়া, হুগলি, পিন: ৭১২২৩২, ফোন: ৯৮৩০৫৫০১৪৪

Skip to content