সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।

পাদুকায় আনুন নতুনত্ব
বসন্তের ফ্যাশনে জুতোয় অভিনবত্ব আনাটাও বর্তমান সময়ে অত্যন্ত জরুরি। হালফিলের ফ্যাশনে শাড়ি, প্যান্ট, স্কার্টের সঙ্গে মানানসই জুতোই এখন সকলে ব্যবহার করে। আবার উৎসব, বিয়েবাড়ি, পার্টি এগুলোর প্রত্যেকটায় আলাদা আলাদা স্টাইলের জুতো পরার চল রয়েছে এ যুগে। একটা জুতো আর সবকিছুর সঙ্গে মানানসই হয় না। তাই কলকাতার বসন্ত আরও স্পেশাল করতে আপনার তালিকায় রাখতে হবে বিশেষ কিছু ধরনের জুতো। বসন্তকে আরও রঙিন করতে কী কী জুতো রাখবেন আপনার সংগ্রহে? দেখে নিন।

১) ইংল্যান্ডের রানির মতো সাজতে হলে পায়ে পরুন কাউগার্ল বুট
এই ধরনের বুট ব্যবহার করলে পা পুরোপুরি ঢাকা থাকবে। এই জুতোর দৈর্ঘ্য গোড়ালির একটু উপর থেকে শুরু হয়ে হাঁটুর একটু নীচ পর্যন্ত। বর্তমান সময়ে স্কার্ট, জিন্সের পাশাপাশি শাড়ির সঙ্গেও অনেকে এমন জুতো পরে। খুব গরমকালে এগুলি আরামদায়ক নয়। তবে এই বসন্তের বিশেষ কোনওদিনে সাজটাকে আরও সুন্দর ও রঙিন করে তুলতে একটু ব্যতিক্রম হওয়া প্রয়োজন। কাউগার্ল বুটই সেই ব্যতিক্রম নিয়ে আসতে পারে। এই বুটজুতোগুলি সাধারণত চওড়া হিল দেওয়া হয়। এই বুটজুতো ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পুরুষ-মহিলারা ঘোড়ায় চড়ার সময় পরতেন। ইংল্যান্ডের রানি এখনও ঘোড়ায় চড়তে গেলে এই রকম কাউগার্ল বুট জুতোই পায়ে দেন।

হালকা গরমে জমিয়ে পরুন ফ্লিপ-ফ্লপ
হালকা গরমে পাদুকাচরণে পরুন ফ্লিপ-ফ্লপ। এই ধরনের জুতো আপামর ভারতবাসীর কাছে চপ্পল নামেই পরিচিত। হাওয়াই চটি বা চপ্পল জাতীয় এই ধরনের ফ্ল্যাট জুতোয় ইংরেজি ‘ওয়াই’ ধাঁচের স্ট্র্যাপ থাকে। আগে বাড়িতে পরার জন্য কিংবা সমুদ্রের ধারে বেড়ানোর জন্য এই জুতো কেনা হত। কিন্তু এখন এই ধরনের জুতোও হয়ে উঠেছে রঙিন এবং ছাপা। তাই বিভিন্ন ডিজাইনের রঙিন এই ফ্লিপ-ফ্লপ জুতোর চাহিদা এখন আকাশচুম্বী। অফিস হোক বা কলেজ গরমে আরামদায়ক এই জুতোই ফ্যাশনে যোগ করেছেন সকলে।

সনাতনি পোশাকের সঙ্গে মানানসই জুত্তি
নতুন প্রজন্ম যতই আধুনিক হোক না কেন পুরনো দিনের পোশাক বা পুরনো দিনের সেই স্টাইল কিন্তু আবার ফিরে আসছে আধুনিক প্রজন্মের মাধ্যমে। বর্তমানে ফ্যাশনের জগতে সনাতনি পোশাকের জুড়ি মেলা ভার। আর এই ধরনের পোশাকের সঙ্গে মানানসই জুত্তিই এখন মহিলাদের প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে। জুত্তি মূলত উত্তরাঞ্চল থেকে আসা একটি জুতো, যা অনেকটা পুরনো দিনের পাদুকার মতো দেখতে। এখন এটি নানা ডিজাইন এবং নানা রঙের পাওয়া যায়। বসন্তে যদি চুড়িদার বা লেহেঙ্গা পরেন তাহলে অবশ্যই পায়ে দিন এই ধরনের বিশেষ জুতো। তবেই সম্পূর্ণ হবে আপনার বসন্তের বিশেষ সাজ।

যেকোনও পোশাকের সঙ্গেই মানানসই হবে স্টিলেটোজ
বসন্তে পায়ের সাজের জন্য স্টিলেটোজ একেবারে পারফেক্ট। তাই আর বেশি না ভেবে স্টিলেটোজ রাখুন আপনার সংগ্রহে। তিন থেকে পাঁচ ইঞ্চি হিল থাকে এই জুতো। টলিউড-বলিউডের নায়িকারা এই ধরনের জুতো আমজনতার ঘরে নিয়ে এসেছে। ফলে এর চাহিদাও এখন তুঙ্গে।

পা ঢাকা লোফার্স পরুন এই বসন্তে
কলকাতার বসন্তে রঙিন পোশাকের সঙ্গে লোফার্সের মতো পা ঢাকা বুট জুতোও ফ্যাশনে বেশ নতুনত্ব এনে দেয়। এই লোফার্সের সুবিধা হল ফিতে বাঁধার কোনও ঝামেলা নেই। পা গলিয়ে পরতে হয় এই জুতো। তাই স্বাভাবিকভাবেই লোফার্স খোলা পরা করতে কারওর কোনও অসুবিধা হয় না। এই ধরনের জুতো পা ঢাকা হলেও সারা বছরই পায়ের জন্য অত্যন্ত আরামদায়ক লোফার্স। এই ধরনের জুতো প্রায় সব পোশাকের সঙ্গেই পরা যায়। তাই এই বসন্তে আপনি লোফার্স একবার ব্যবহার করে দেখতেই পারেন।


Skip to content