সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


কলকাতায় বৃষ্টি

ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা এখন প্রায় প্রতি বাড়িতে। আমাদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ হল, অনিয়মিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া। পাশাপাশি লাগামছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়াও এর কারণ হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই সমস্যাকে ‘হাইপারইউরিসেমিয়া’ বলা হয়।

অনেকেরই গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা হয়। এর অন্যতম কারণ হতে পারে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি। ইউরিক অ্যাসিড মূলত হাড় ও কিডনির উপরেই বেশি প্রভাব ফেলে। তবে নিত্যদিনের খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনলেই এই সমস্যা এড়ানো যায়।
বহু মানুষের ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেই। একটু সতর্ক হলেই রক্ত পরীক্ষা না করেও বোঝা সম্ভব রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়েছে কিনা। কীভাবে?
 

তলপেটে ব্যথা

দেহে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেড়ে গেল পিঠের নীচের অংশে, তলপেটে অথবা কুঁচকিতেও ব্যথা অনুভব হতে পারে। সে কারণে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে।

আরও পড়ুন:

পাকা বেদানা চেনতে জহুরি হওয়ার দরকার নেই, এই সব টিপস জানলেই হল

এই ৫ অভ্যাস অল্প বয়স থেকে করতে পারলে দূরে থাকবে রোগ

 

পাতায় তীব্র যন্ত্রণা

রক্তে ইউরিক অ্যাসিড অনেকটা বেড়ে গেলে রাতে ঘুমোনোর সময়ও পায়ের পাতায় তীব্র যন্ত্রণা হতে পারে। অনেক সময় হালকা জ্বালাভাবও হয়। এমন হলে সতর্ক হতে হবে। কারও কারও যন্ত্রণার তীব্রতায় রাতে ঘুমেরও ব্যাঘাত হয়। পায়ের পাতায় এই তীব্র যন্ত্রণাও ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার কারণে হতে পারে।

আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৩৯: ইন্দুমতী ও সুরবালা

মুভি রিভিউ: বড়পর্দায় সোনাক্ষী-হুমার জোড়া ধামাকা ‘ডবল এক্সএল’

 

ঘন ঘন প্রস্রাব

অনেকের হয় তো জানা নেই, রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। এর কারণ হল, কিডনি সব সময়ই চায় দেহ থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডকে প্রস্রাবের মাধ্যমে বার করে দিতে। তবে ঘন ঘন প্রস্রাব ছাড়াও, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা অনেকটা বেড়ে গেলে প্রস্রাবের সঙ্গে হতে পারে রক্তপাতও হয় ক্ষেত্র বিসেসে। এ ছাড়া, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হয়। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় প্রস্রাবের সময়ে জ্বালাও করতে পারে। কারও এরকম এই লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
 

ত্বক রুক্ষ, ক্লান্তি ও বমি ভাব

অনেকের ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। আবার কেউ কেউ ক্লান্তি অনুভব করেন। কারও কারও আবার বমি বমি ভাব হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে বার বার ঢেকুর ওঠে। অনেকের আবার ঘন ঘন পেশিতে ক্র্যাম্প হয়। এ সব উপসর্গও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধির লক্ষণ হতে পারে।


Skip to content