শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


কলকাতায় বৃষ্টি

ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

শীতকালে বছরের আর পাঁচটা সময়ের তুলনায় আমাদের জল খাওয়া কিছুটা কমে যায়। কেউ এই ভুলটা জেনে করেন, কেউ আবার অজান্তেই জল কম খান। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না গেলে ডিহাইড্রেশনের আশঙ্কা থাকে। দীর্ঘ দিন কম জল খেতে থাকলে তার প্রভাব পড়া শুরু করে শরীরের উপর। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই আমরা সেগুলি বুঝতে পারি না। তবে আপনি যে জল কম খাচ্ছেন, শরীর কিন্তু বেশ কিছু লক্ষণের মাধ্যমে আমাদের বুঝিয়ে দেয়। সেগুলো কী কী? জেনে নিন একঝলকে।
 

হঠাৎ কারণে অকারণে মাথা যন্ত্রণা

মাইগ্রেনের ব্যথা অনেক সময় ডিহাইড্রেশন থেকেই শুরু হয়। তাই সারা ক্ষণ মাথা ধরে থাকলে চটপট বড় এক গ্লাস জল খেয়ে নিন।
 

যখন তখন হাত-পায়ে টান ধরা

ডিহাইড্রেশন হলে শরীরের মাংসপেশিগুলিতেও জল পৌঁছয় না। তাই চট করে হাত-পায়ে টান লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। হাঁটতে গেলে বা দৌড়তে গেলে বা ওঠাবসার সময়ে প্রায়ই পেশিতে টান লাগছে? তা হলে কিন্তু শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। আপনাকে আরও বেশি পরিমাণ জল খেতে হবে।

আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৩৯: ইন্দুমতী ও সুরবালা

মুভি রিভিউ: গড়পড়তা থ্রিলারের ভিড়ে মেরি ক্রিসমাস-এর কাহিনি স্বতন্ত্র

 

মুখে লেগে থাকা দুর্গন্ধ

মুখের লালায় অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ থাকে। কিন্তু শরীরে জল কম গেলে বেশি লালা তৈরি হয় না। পাশাপাশি মুখে ব্যাক্টেরিয়া বেড়ে যায়। তা থেকেই মুখে ভীষণ দুর্গন্ধ তৈরি হয়।
 

ত্বক ক্রমশ শুষ্ক হতে শুরু করে

শীতকালে এমনিতেই ত্বক রুক্ষ থাকে। তার উপর যদি শরীরে জলের ঘাটতি হয়, তা হলে এই সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। তখন ত্বক শুকিয়ে যায়। ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। উদাহরণ হিসাবে আপনি হাতে চিমটি কেটে দেখুন। ত্বক কি অনেকক্ষণ কুঁচকেই থাকছে? স্বাভাবিক হতে অনেক বেশি সময় নিচ্ছে? তা হলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে আরও বেশি পরিমাণ জল প্রয়োজন।

আরও পড়ুন:

পাকা বেদানা চেনতে জহুরি হওয়ার দরকার নেই, এই সব টিপস জানলেই হল

এই ৫ অভ্যাস অল্প বয়স থেকে করতে পারলে দূরে থাকবে রোগ

 

বেড়ে যায় মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা

● দীর্ঘ দিন শরীরের জল কম গেলে আপনার লিভার ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। লিভার জলের সাহায্যে গ্লাইকোজেন তৈরি করে, যা আমাদের শক্তি জোগায়। কিন্তু তা ঠিক মতো না হলে শরীরের আরও বেশি খাবারের প্রয়োজন হবে। তাই তখন আপনার শরীরে নোনতা, স্ন্যাকস, চকোলেট, মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।


Skip to content